ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বিউটিফুল মাইন্ড’ গণিতবিদের বিদায়

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৬ মে ২০১৫

‘বিউটিফুল মাইন্ড’ গণিতবিদের বিদায়

প্রবাদপ্রতিম গণিতবিদ এবং ১৯৯৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন ফোর্বস ন্যাশ জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর জীবন কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছিল ২০০১ সালের অস্কারজয়ী সিনেমা ‘এ বিউটিফুল মাইন্ড’। গণিতের অসম্ভব প্রতিভাবান অধ্যাপক, যিনি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন সিজোফ্রেনিয়ায় এবং যার উদভ্রান্ত, ব্যথাতুর অথচ চমৎকার একটি সুন্দর মন ছিল, সেই জন ন্যাশ ৮৬ বছর বয়সে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউজার্সির মনরো টাউনশিপের কাছে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এতে মারা যান তার স্ত্রী এ্যালিসিয়াও (৮২)। নিউজার্সি পুলিশ জানিয়েছে, ন্যাশের ট্যাক্সিটি নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান দুজনে। বিপুল প্রতিভার অধিকারী, উপন্যাসের মতো উত্থান-পতনসমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী ন্যাশ সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন ২০০১ সালে রন হাওয়ার্ড নির্মিত চলচ্চিত্র ‘এ বিউটিফুল মাইন্ড’-এর নায়ক হিসেবে। ওই বায়োপিক তৈরি হয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমসের অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা সিলভিয়া নাশার রচিত একই নামের বইটি থেকেই। ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড’ সেরা ছবির পুরস্কারসহ পেয়েছিল চারটি অস্কার। অস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে কালো টাই পরে মুখে স্মিত হাসি নিয়ে বসেছিলেন জন ন্যাশ। বায়োপিকে ন্যাশের চরিত্রে অভিনয় করা রাসেল ক্রো দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টুইট করেছেন, ‘মর্মাহত...আমার সমবেদনা ন্যাশ পরিবারের প্রতি। আশ্চর্য দাম্পত্য! চমৎকার মন, চমৎকার হৃদয়!’ পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ব্লুফিল্ড শহরে ১৯২৮ সালের ১৩ জুন জন্মগ্রহণ করেন ন্যাশ। বাবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মা ল্যাটিন ভাষার শিক্ষিকা। -এএফপি ও আজকাল
×