ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুম্বাইর শিরোপা পুনরুদ্ধারে নেপথ্য নায়ক কোচ পন্টিং

ওয়াংখেড়েতে চ্যাম্পিয়ন বরণ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৬ মে ২০১৫

ওয়াংখেড়েতে চ্যাম্পিয়ন বরণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নদের মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচ। গতবারের শিরোপাজয়ী কলকাতা নাইটরাইডার্সের ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে তাই এবারের চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। তাতে বাজিমাত করে ইন্ডিয়ান্স শিবির। ২০১৫ আইপিএলের অষ্টম আসরে শেষ হাসি হাসে রোহিত শর্মার দল। সেটি রবিবারের ঘটনা। সোমবার ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে চ্যাম্পিয়ন রোহিতদের বরণ করে নেয় মুম্বাইবাসী। যেখানে সফল সেনাপতির সঙ্গে মধ্যমণি হয়েছিলেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর ও কোচ রিকি পন্টিং। নাচে-গানে, আতশবাজিতে মাতোয়ারা ওয়াংখেড়। ইডেনের আলোচিত ফাইনাল ছিল একতরফা। একেবারে ম্যাড়মেড়ে। ম্যাচের ‘নায়ক’ রোহিত (২৬ বলে ৫০) ও ওপেনার লেন্ডল সিমন্সের (৪৫ বলে ৬৮) দুরন্ত দুই হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ২০২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে মুম্বাই। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬১ রানে থেমে যাওয়া চেন্নাই হার মানে ৪১ রানের বড় ব্যবধানে! টি২০তে ফাইনালের মতো ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সমালোচিত ‘ক্যাপ্টেনকুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও টস নয়, হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তিনি! ২০১৩ সালের পর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পাওয়া মুম্বাই রোহিতদের বরণ করে নিতে ছিল অধীর। শিরোপা জয়ের পরই গোটা মুম্বাইয়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ। পরদিন সোমবার ব্যাপক আয়োজন হাতে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক নীতা আম্বানি। সন্ধ্যায় ওয়াংখেড়ে হয় মহা-সেলিব্রেশন। ফ্যানদের জন্য খুলে দেয়া হয় স্টেডিয়ামের গেট। ছিল নাচ-গান, বলিউড তারকাদের সরব উপস্থিতি। রোহিতদের সেলিব্রেট করতে সকল ব্যয় বহন করে আম্বানি এ্যান্ড কোং। বিনা টিকেটে, অর্থাৎ ‘ফাস্ট কাম ফাস্ট বেসিস’-এ গ্যালারিতে ঢুকতে কাল বিকেল থেকেই ওয়াংখেড়ের বাইরে জনসমুদ্রে রূপ নেয়। সমর্থকদের গগনবিদারী চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা মুম্বাই শহর। আগেরবার মুম্বাই শিরোপা জয়ের সময় মালিক নীতা আম্বানির পরিবার দেশে ছিলেন না। এবার তাই সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেন তারা। গর্বিত অধিনায়ক রোহিত যেমন বলেনÑ ‘এ আনন্দ গোটা মুম্বাইবাসীর সঙ্গে উপভোগ করতে পেরে আমি গর্বিত।’ পাশাপাশি শিরোপা ফিরিয়ে দেয়া ইডেনের প্রশংসা করেন তিনি। মুম্বাই সেনাপতি বলেন, ‘ইডেনে খেলাটা আমি বরাবরই উপভোগ করি। যখনই এখানে খেলেছি, দারুণ সব স্মৃতি নিয়ে ফিরেছি। অসাধারণ অনুভূতি। এর চেয়ে বেশি আর কি-ই বা চাইতে পারি।’ এটা সত্য, মাত্র আট বছরের ক্যারিয়ারে এই ইডেন তাকে দু’হাত উজার করে দিয়েছে। এখানেই পেয়েছিলেন টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরি, ওয়ানডের রেকর্ড ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরি। দু’বার তার হাত ধরে আইপিএলের শিরোপাও জিতল মুম্বাই। ২০১৩ সালে ইডেন গার্ডেন্সে এই চেন্নাইকে হারিয়েই প্রথম শিরোপা জিতেছিল রোহিত বাহিনী! ইডেনকে রোহিত ভুলবেন কী করে? এবার গ্রুপপর্বে প্রথম ৫ ম্যাচের ৪টিতে হেরে গ্রুপপর্বের তলানিতে ছিল মুম্বাই। তখন কেউ ভাবেনি তারাই শিরোপা জিতবে। এরপর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ ৮ ম্যাচের ৭টিতে জয়, প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচে এই চেন্নাইকে উড়িয়ে দিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকেট পায় তারা। আর ফাইনালে গড়ে ইতিহাস। চেন্নাই-কলকাতার পর তৃতীয় দল হিসেবে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্ডিয়ান্সরা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন ‘মেন্টর’ শচীন টেন্ডুলকর। তবে অনেকেই বড় কৃতিত্বটা দেন প্রধান কোচ রিকি পন্টিংকে। শুরুতে মুম্বাইর বড় সমস্যা ছিল ঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া।
×