ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আনসারুল্লাহ বাংলাটিম নিষিদ্ধ হলো সন্ত্রাসবিরোধী আইনে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৬ মে ২০১৫

আনসারুল্লাহ বাংলাটিম নিষিদ্ধ হলো সন্ত্রাসবিরোধী আইনে

শংকর কুমার দে ॥ জঙ্গী সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’কে (এবিটি) নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারি করে জঙ্গী সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মে) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(২) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করা হলো। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার অনুসারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে একের পর এক মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যার দায় স্বীকার করে যাওয়ার এক পর্যায়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩ নামের জঙ্গী সংগঠন এর বরাত দিয়ে ১০ বিশিষ্টজনকে চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। দশ বিশিষ্টজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ৫ দিনের মাথায় নিষিদ্ধ করা হলো আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে। এ নিয়ে ৬টি জঙ্গী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করার আগে ২০০৫ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম (হুজি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি বি) ও শাহাদাত আল হিকমাতকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয় হিযবুত তাহ্রীরকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের চেয়েও বড় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তারা আল কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণ করে। গত সপ্তাহে পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী আনসারুলাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল সোমবার। গত ২০ মে সকালে ডাকযোগে পাঠানো ইংরেজী ভাষায় লেখা চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার, ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকারসহ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয় আল কায়েদার অনুসারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩। ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় অসীম সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। দেশের বিশিষ্ট ১০ ব্যক্তিকে সরকার বিশেষ নিরাপত্তা দেবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একটি সক্রিয় জঙ্গী সংগঠন। ২০১৩ সাল থেকে সংগঠনটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। বাংলাদেশের যুবকদের উগ্রপন্থী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে জিহাদের মাধ্যমে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়াই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। সংগঠনটি তাদের মতাদর্শ প্রচারের জন্য মসজিদকেও ব্যবহার করে থাকে। মুক্ত চিন্তার অনুসারী, ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা হচ্ছেন সংগঠনটির হামলার মূল লক্ষ্য। গত কয়েক বছরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা জেলার একটি মসজিদে জঙ্গী হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় পুলিশ সংগঠনটির নেতা মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৩০ জঙ্গীকে গ্রেফতার করে। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যা করে তারা। এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। একই বছরের ১৪ জানুয়ারি ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে এবং ৭ মার্চ সানিউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালানো হয়। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের বংশদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিত রায় ও তাঁর স্ত্রীর বন্যার ওপর হামলা চালায়। এতে অভিজিত রায় নিহত ও তাঁর স্ত্রী বন্যা গুরুতর জখম হন। একইভাবে গত ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াসিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র বলেছেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। দেশের নামকরা একাধিক সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক এই গোষ্ঠীর যাত্রা। তখন রাজধানীর কামাল আতাতুর্ক এ্যাভিনিউয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক ক্যাম্পাসের কাছাকাছি বনানীর একটি মসজিদকে ঘিরে আল কায়েদার মতাদর্শে বিশ্বাসী এ গোষ্ঠীর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানত ইংরেজী মাধ্যম বা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তাদের মতাদর্শ প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ চলত। পরে ফেসবুক, ব্লগসহ তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই সংগঠনের সদস্যরা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে নিজেদের আল কায়েদাপন্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু একই সময়ে হিযবুত তাহরীরের ব্যাপক কার্যক্রম থাকায় নতুন এই গোষ্ঠীর তৎপরতা আলাদাভাবে নজরে পড়েনি। হিযবুত তাহরীরকে জঙ্গী তৎপরতায় নিষিদ্ধ করা হলে তারাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ভেতরে ঢুকে পড়ে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ হওয়ার পর হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে জঙ্গী সংগঠন সৃষ্টি করে। তাদের প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা। শেখ হাসিনা ইসলামের শত্রু বলেও প্রচার চালাচ্ছে সংগঠনটি। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাদের অপারেশন সাকসেসফুল করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য তারা চালকবিহীন ড্রোন বানিয়ে তাতে বিস্ফোরক ভর্তি করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এমন পরিকল্পনা বহুদিনের। তবে বাস্তবায়নের জন্য গত ৬ মাস ধরে কাজ করছে জঙ্গী সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় তারা ড্রোন তৈরি করে। গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন শহীদ ফারুক হোসেন সড়ক এলাকা থেকে কোয়াড হেলিকপ্টার বা ড্রোনের কাঠের তৈরি একটি রেপ্লিকা, ড্রোন তেরির সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও উগ্রমতবাদ সংবলিত বইপত্রসহ ডিবির হাতে গ্রেফতার হয় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্য মোঃ তানজিল হোসেন বাবু (২৬) ও মোঃ গোলাম মাওলা মোহন (২৫)। ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা দুজনকে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র বলছে, ড্রোন তৈরির প্রযুক্তিটি তাদের বাজারে কিনতে পাওয়া খেলনা উড়োজাহাজ নির্মাণের প্রযুক্তি থেকে ধার করা। দেশে-বিদেশে অনেক খেলনা উড়োজাহাজ কিনতে পাওয়া যায়, সে সব উড়োজাহাজ অনেকক্ষণ ধরে আকাশে উড়তে পারে। কিন্তু ভারি কোন বস্তু বহনে সক্ষম নয়। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রেফতারকৃত সদস্যরা সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চালকবিহীন খেলনা উড়োজাহাজ বা ড্রোন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল। তারা প্রায় সে প্রযুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তৈরি সেই ড্রোন ২৫ থেকে ৩০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক নিয়ে ২৫ থেকে ৩০ তলা ভবনে হামলা চালাতে সক্ষম। ড্রোনে খুবই উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল। যাতে বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। ড্রোনটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো। তারা এক সঙ্গে অনেক ড্রোন তৈরি করে সিরিজ হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করছিল। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও তারা উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক আনার চেষ্টা করছে। এমন প্রচেষ্টার সূত্র ধরেই জঙ্গী সংগঠনটি বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের ছেলে রিসাদ কামাল খানকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়। রিসাদ কামাল খান রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লেখা সংবলিত হিযবুত তাহরীরের লিফলেটসহ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্র বলছে, পুরো নাশকতার ছকটি তারা কয়েকটি ধাপে সাজিয়েছে। এক বা একাধিক গ্রুপ ড্রোন তৈরি করছে। গ্রেফতারকৃতরা ড্রোন তৈরি গ্রুপের সদস্য। এ গ্রুপের আরও ৪ জন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আরেকটি গ্রুপ ড্রোনে বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। তারা উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক যোগাড় করতে নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে। এই গ্রুপটির আবার সাব গ্রুপ আছে। বিস্ফোরক দলের একটি অংশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের দলে ভেড়ানোর টার্গেট নিয়ে কাজ করছে। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ব্লগার ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন আর গত বছরের ৯ এপ্রিল বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা আরিফ রায়হান দ্বীপ হত্যার মধ্যদিয়ে আলোচনায় চলে আসে জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। রাজীব হত্যায় রাজধানীর বনানীর বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ (২২), মাকসুদুল হাসান ওরফে অনিক (২৩), এহসান রেজা ওরফে রুম্মন (২৩), নাইম শিকদার ওরফে ইরাদ (১৯) ও নাফিস ইমতিয়াজ (২২) আর দ্বীপ হত্যায় গ্রেফতার হয় বুয়েট ছাত্র মেজবাহ উদ্দিন (২৪)। গ্রেফতারকৃতরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ইমানী দায়িত্ব পালন করতেই হত্যাকা- দুইটি ঘটানো হয়েছে বলেও গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা ও তেহরিক-ই-তালেবানের অনুসারী। সংগঠনের অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা জসীম উদ্দিন রাহমানী কারাগারে। সংগঠনের অপারেশনাল দায়িত্বে রয়েছেন ইজাজ হোসেন। তিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পাকিস্তানী নাগরিক। বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। ২০০৮ সালে সামরিক প্রশিক্ষণ ও জঙ্গী কার্যক্রমে দীক্ষিত হওয়ার জন্য তিনি পাকিস্তানে যান। পাকিস্তান যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইজাজ হোসেন জামায়েতুল মুসলিমিনের বাংলাদেশ শাখার আমির ছিলেন। এ সংগঠনটির আন্তর্জাতিক আমির হচ্ছেন জর্ডান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শেখ আবু ইসা আলী আররিফাই আল হাশেমী আল কোরাইশি-ই-আবু ইসা। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বারিধারার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাশে একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া করে জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। পরে তিনি বৃটেনে ফিরে গিয়ে গ্রেফতার হন।
×