ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাসুদা ভাট্টি

নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ॥ দুটোই চাই

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৬ মে ২০১৫

নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ॥ দুটোই চাই

বাংলাদেশের অগ্রগতি আধুনিক অর্থনীতিবিদদের কাছে বিস্ময়কর। অন্তত এই মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ডজনখানেক বিশ্ববিদ্যালয় বা ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের এই অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করছে বলে প্রমাণ রয়েছে। এসব গবেষণার অনেকগুলোরই মূল প্রশ্ন হচ্ছে, কী করে সম্ভব হচ্ছে এটা? যখন বাংলাদেশের মতো একটি আয়তনে ক্ষুদ্র দেশ জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও ততটা শক্তিশালী নয়, গণতান্ত্রিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও দেশটি কী করে অর্থনৈতিকভাবে এতটা এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে দেখার প্রয়োজন অনুভব করছেন অনেক বিশ্লেষকই। বিশেষ করে বাংলাদেশের এই অগ্রগতির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভারত কিংবা চীনের অগ্রগতির কোন মিলই নেই। মূলত এ দুটি দেশের উন্নয়নের মডেলও সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করছেন যাঁরা তাঁরা মূলত এ প্রশ্নটিও একইসঙ্গে উচ্চারণ করছেন যে, এ দেশটিতে যদি সর্বতোভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা যেত তা হলে ফলটা কী দাঁড়াত? আমি অবশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ প্রশ্নটি নিয়ে কাউকেই নাড়াচাড়া করতে দেখিনি এখন অবধি। আমরা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির নানাবিধ বিশ্লেষণ শুনে থাকি। কিন্তু সুশাসন বিষয়ে কথাবার্তা যা শোনা যায় তা সাধারণত সরকারকে আঘাত করার লক্ষ্যেই হয়ে থাকে। এর বাইরে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা, গবেষণা ও বিশ্লেষণের অভাবও অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে ফুটে ওঠে সর্বত্র। কিন্তু বাংলাদেশের এই বিস্ময়কর অগ্রগতি প্রায় সর্বাংশে ম্লান হয়ে যাচ্ছে দেশের ভেতরকার নানাবিধ অসহিষ্ণুতা ও অব্যবস্থাপনার কাছে। ধরা যাক, এই কিছুদিন আগেই প্রকাশিত দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথাটি। মাত্র এক বছরের মধ্যেই গড় আয় ১০০ মার্কিন ডলারের কিছু বেশি বাড়ার মতো সংবাদটি দেশের ভেতর কারও কাছেই খুুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে একের পর এক নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশের কোথাও কোন নারী নিরাপদ নয়, এমনকি নারীটির বয়স যদি পাঁচ বছরও হয়, তাহলেও তার নিস্তার নেই এই সন্ত্রাসের হাত থেকে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে সকলেই মনে করেন। আমার এই কলামে আমি প্রায়ই যে বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে থাকি তা হলো, সরকারের স্থিতিশীল আচরণ ও সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষকে স্থিতিশীল আচরণে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। আমরা একটি ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ থেকে বেরুনোর চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোর ভেতর দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি লক্ষ্য, সন্দেহ নেই। অনেক গবেষণায়ই প্রমাণিত হয়েছে যে, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন না ঘটিয়ে যতই গণতন্ত্রের বুলি কপচানো হোক না কেন, তা আসলে শেষ পর্যন্ত কোন ফল দেয় না। অপরদিকে যদি মানুষের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায় তা হলে খুব অল্প চেষ্টাতেই গণতন্ত্রকে সুসংহত করা সম্ভব হয়, যেমন সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে এখন গণতন্ত্রের চীনা মডেল নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। অনেক প-িতই হয়ত চীনের উন্নয়নের মডেল নিয়ে সমালোচনামুখর, কিন্তু চীনেও যে সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বা সামাজিক সেবার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের হাত একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে চলেছে ক্রমশ সেটা কেউই অস্বীকার করতে পারছে না। বরং যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে যখন পেনশন, সামাজিক বীমা কিংবা চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক সেবাক্ষেত্রগুলোতে রাষ্ট্রের অর্থ বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যহারে কমছে, সেখানে চীনে তা রীতিমতো উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবাদের অধিকার আগে, নাকি বেঁচে থাকার আধুনিক উপকরণে জনগণের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা আগে? যদি রাষ্ট্রই জনগণের জীবনের নিরাপত্তা থেকে সকল প্রকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দেয়, তাহলে আর জনগণের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার সুযোগ কতটুকু থাকে বা কিসে থাকে? কিংবা পশ্চিমা বিশ্বে যেভাবে রাজনীতি, গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে ওপর থেকে মানুষের আস্থা যেভাবে কমতে শুরু করেছে, তাতে গণতন্ত্রের চীনা মডেল প্রতিনিয়ত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে এ দশক ও আগামী দশক ধরে নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক চলবে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জরুরী হয়ে উঠেছে ক্রমশ। আমরা ওয়েস্টমিনিস্টার ডেমোক্র্যাসির জন্য এতকাল কথা বলে এসেছি। এখনও বাংলাদেশ সে অবস্থান থেকে সরে গেছে বলে মনে করার কোন সুযোগ নেই। বরং বলা ভাল যে, বাংলাদেশে পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাসিকে অত্যন্ত কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই টিকিয়ে রাখা হয়েছে। না হলে ২০১৩ সাল থেকেই এই পদ্ধতিকে হুমকির ভেতর ঠেলে দেয়া হচ্ছিল ক্রমশ। সর্বশেষ আঘাতটি আমরা দেখেছি এ বছরের শুরুতেই পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করার ভেতর দিয়ে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশে এবার আর গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। কিন্তু সে অবস্থা অনেকটাই কেটে গেছে বলে ধরে নেয়া যায়। রাজনৈতিক বিরোধিতা ও রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে যে গুরুতর পার্থক্য রয়েছে, তা এদেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে। বুঝতে পেরেছে বলেই সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং মানুষ সরকারকে সকল প্রকার সুযোগ দিতে কোন কার্পণ্য করছে না। কিন্তু কোথাও কোথাও মনে হচ্ছে যে, সরকার সে সুযোগ পেয়েও তা গ্রহণ করতে সমর্থ হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের ভেতর থেকে সুকৌশলে মানুষের বিপক্ষে যায় এমন সব আচরণকে প্রোমোট করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি পহেলা বৈশাখের নারীকে আক্রমণ করার বিষয়টির কথা। পরিস্থিতিকে অতি সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ছিল সে সময়, কিন্তু সেটা হয়নি। বরং উল্টো এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামা মানুষের ওপর সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিপীড়ন মানুষকে আহত করেছে। এরপর নারীকে আক্রান্ত করার বেশ ক’টি ঘটনাই ঘটেছে দেশব্যাপী। খোদ রাজধানীতে সন্ধ্যার সময় একটি মেয়েকে গাড়িতে তুলে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানোর যে মধ্যযুগীয় ঘটনা ঘটেছে এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলীতে যখন জানা যায় যে, তিন তিনটি থানা এ ঘটনার মামলা নিতে গড়িমসি করছে তখন দেশের মানুষের মনে প্রাথমিক যে প্রশ্নটির জন্ম নেয় তা হলো, সরকার আসলে কোথায় থাকে? বাংলাদেশের ব্যাপকভাবে রাজনীতি-আক্রান্ত মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে সর্বত্রই সরকারকে তালাশ করা। সে খাবার খেতে বসে হোক কিংবা খেলা দেখতে বসেই হোক। ফলে যখন এত বড় একটি নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটে তখন স্বাভাবিকভাবেই সরকারকে অত্যন্ত করিতকর্মা দেখতে চায় মানুষ। কিন্তু সে জায়গাটিতে সরকারকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মানুষের মনে যে হতাশার সৃষ্টি হয় তা কোন উন্নয়ন দিয়েই যে পূরণ করা সম্ভব নয়, সে কথা বলে ব্যাখ্যা করার মতো বিষয় নয়; বিষয়টি আসলে সম্পূর্ণই উপলব্ধির। দেশের মানুষ নিরাপত্তার ব্যাপারে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। একের পর এক হত্যাকা- (আমি দুঃখিত, আমি ব্লগারদের আর একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা করে দেখানোর পক্ষপাতী নই। বরং আমি মনে করি যে, এ হামলা যে কারও ওপরই ঘটতে পারে। ঘটনাক্রমে এরা লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত, এরা আলাদা কোন প্রাণী নয়, যেমনটি বিএনপি-জামায়াত বা হেফাজতীরা প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকে) ঘটছে দেশের বড় শহরগুলোতে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই খুন-খারাবিসহ নানা ঘটনা ঘটছে এবং কোন খবরই ইতিবাচক নয়, এগুলো কোনভাবেই উন্নয়নের লক্ষণ হতে পারে না এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্যও কোন সুলক্ষণ নয়। সরকারী দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা (যেমন এমপি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা) ক্রমশ লাগামহীন হয়ে উঠেছে। ধরেই নিচ্ছে যে, এরপর আর তাদের কোন সুযোগ থাকবে না। সুতরাং যতটুকু পারা যায় এই বেলা খেয়ে নেয়া যাক। এই যে মানসিকতা বা আচরণের বহির্প্রকাশ দেখা যাচ্ছে চারদিকে তার গুরুতর প্রভাব আসলে গিয়ে পড়বে সরকারের স্থিতিশীলতার ওপর। এটা এখন খুব তিক্ত শোনাচ্ছে হয়ত, কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্লেষণ বলছে। সুতরাং এই মুহূর্তেই যদি সাবধান না হওয়া যায়, যদি অত্যন্ত দ্রুততা ও দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়া না হয়, তাহলে রাজনৈতিক অপশক্তিগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে আবারও বড় ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য। সরকারের পক্ষে বার বার এই পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব হবে এমনটি ভাববার কোন কারণ আছে বলে মনে করার কোন সুযোগ নেই। সরকারের প্রতি যতই আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক না কেন, অভ্যন্তরীণ সমর্র্থন যদি কোনভাবে একবার ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করে এবং তা যদি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পুনর্প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হয়, তা হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে যে খুব অল্প সময় লাগে, অতীত থেকে তার ভূরি ভূরি উদাহরণ দেয়া সম্ভব। সামাজিক গণমাধ্যম নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁরা প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, জনগণের মনোভাব বোঝার জন্য এখন সবচেয়ে বড় সূচক হচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যম। এটা হয়ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সর্বৈব সত্য নয়। কারণ এদেশে সামাজিক গণমাধ্যমে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নেই। কিন্তু যারাই এতে অংশ নেয় তাদের মনমানসিকতা বা চিন্তা ভাবনা বিশ্লেষণেও পরিস্থিতি অনেকটাই আঁচ করা সম্ভব। মূলধারার মিডিয়া অনেক সময়ই সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় কোন বিশেষ পক্ষের হয়ে, কিন্তু তাদের আচরণও লক্ষ্য করাটা জরুরী। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি যাতে বলা যেতে পারে যে, সরকার আসলে মূলধারার মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্ত করা মানুষের মনোভাবের প্রতি কোন গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ বিষয়টি উল্লেখ করলে হয়ত বলবে যে, বেশিরভাগ মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ার মানুষই সরকারবিরোধী রাজনীতির সমর্থক। যদি তাই-ই হবে তা হলেও সেটা অনেক বেশি উদ্বেগের। কারণ আজকেই তো কেবল দিন নয়, দিন তো সামনেও আছে। সেসব দিনে এসব মানুষকে সরকারের পাশে রাখার প্রয়োজন পড়বে। তখন কী দিয়ে এদের ফেরানো যাবে তা নিয়ে কেউ ভাবছেন বলে মনে হয় না। অথচ ভাবনাটা অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি। কেউ ব্যক্তিগতভাবে ডুবতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া যায় না হয়ত। কিন্তু কারও নিজের পদক্ষেপের জন্য সমষ্টির ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা যদি তৈরি হয় তা হলে তার সেই পদক্ষেপের সমালোচনা তো জরুরীই, সেইসঙ্গে অবিলম্বে তাকে থামানোরও প্রয়োজন রয়েছে। আমার মনে হয়, সরকারের জন্য এ কথাটি এখন অত্যন্ত জোরেশোরেই বলার সময় হয়েছে। আমরা বলছি এবং আশা করি সরকার সেটা শুনবেই। ২৫ মে, সোমবার ॥ ২০১৫ [email protected]
×