ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গা গণনা প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৫ মে ২০১৫

২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গা গণনা প্রকল্প

এম শাহজাহান ॥ প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা গণনার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক শুমারি-২০১৫’। আগামী অর্থবছরের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গণনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের একটি পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এর ফলে তাদের প্রকৃত সংখ্যা, আয়ের উৎস, সামাজিক অবস্থান এবং প্রকৃত আবাসস্থলসহ বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্র পথে মানব পাচার এবং দেশে জঙ্গী তৎপরতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ইস্যুটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। প্রতিবছর মিয়ানমার থেকে অসংখ্য রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। এই বাস্তবতায় জাতীয় কৌশলপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শুমারি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে দেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সঠিক সংখ্যা জানতে পারবে সরকার। বিবিএস সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এবার এদের গণনা করা হবে। দেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের গৃহীত কৌশলপত্র বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারী পরিসংখ্যান দ্রুত প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নীতি-নির্ধারণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে। জানা গেছে, রোহিঙ্গা গণনার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠি পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এই প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশে বর্তমানে কী পরিমাণ এবং কোন কোন জায়গায় রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব বের করবে সরকার। পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এ অবৈধ অধিবাসীদের ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
×