ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কার্পাসডাঙ্গায় সরকারীভাবে চলছে ১০ দিনব্যাপী নজরুল উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৪ মে ২০১৫

কার্পাসডাঙ্গায় সরকারীভাবে চলছে ১০ দিনব্যাপী নজরুল উৎসব

রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা ॥ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসালামের নানা স্মৃতি জড়িয়ে আছে চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা গ্রামে। এখানে বসে তিনি লিখেছেন পদ্মগোখরোর মতো বিখ্যাত গল্প ও লিচু চোর কবিতা। থাকতেন আটচালা যে বাড়িতে, সে বাড়িটি আজও স্মৃতি বহন করে চলছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজও নজরুলের স্মৃতি বিজরিত সেই আটচালা ঘরটি সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নজরুলের স্মৃতি ধরে রাখতে এবারই সরকারীভাবে ১০ দিনের মেলাসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রত্যাশা স্মৃতি বিজরিত এ স্থানটিকে নজরুল গবেষণাগার ও মিউজিয়াম স্থাপন করা হলে নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসী তার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবে। চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে দর্শনাÑমুজিবনগর সড়কের পাশে কার্পাসডাঙ্গার অবস্থান। কবি নজরুল ১৯২৬ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি কয়েকবার কার্পাসডাঙ্গায় আসেন। তৎকালীন সময়ে স্বদেশী আন্দোলন চলার কারণে কংগ্রেসের নদীয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের আমন্ত্রণে চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় আসেন এই বিদ্রোহী কবি। সেই সময় যুবক নজরুল ভৈরব নদীর মিশন ঘাটে বসে কবিতা ও গান লিখতেন এবং গাইতেন শ্যামাসঙ্গীত। এখানে বসে তিনি লিখেছেন পদ্মগোখরো, কলসি ডুবে যায়, মৃত্যু ক্ষুধা, লিচু চোরসহ নানান বিখ্যাত গল্প ও কবিতা। সারাদেশে যখন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালন করতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় বিখ্যাত কবিতা লিচু চোর ও পদ্মগোখরো মতো উপন্যাস যে স্থানটিতে বসে রচিত করেছেন সেই কার্পাসডাঙ্গাবাসী ১০ দিনব্যাপী পালন করছেন নজরুল উৎসব। মেলায় স্থান পেয়েছে মাটির ও কাঠের তৈরি জিনিসপত্র, নাগরদোলাসহ নানান ধরনের স্টল। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ১০ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী শুরু হয়েছে। ১৬ মে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা আসনের এমপি হাজী আলি আজগর টগর। এর মধ্যে রয়েছে মেলা, কবিতা পাঠের আসর, সঙ্গীতা অনুষ্ঠান, নাটক ও আলোচনা সভা। এদিকে হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের নাতি ছেলে প্রকৃত বিশ্বাস বকুল বলেন, বিদ্রোহী কবির স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি এসে যে আট চালা ঘরে থাকতেন, পুকুর পাড়ে গল্প কবিতা ও গান লিখতেন সেই স্থানগুলোতে সরকার কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে আমারা জমি দান করতে প্রস্তুত আছি। নওগাঁয় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা চার শিশুর নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৩ মে ॥ নওগাঁর সাপাহারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে। জানা গেছে, শনিবার উপজেলার চহেড়া আলাদীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র কবিরের (১৪) সঙ্গে একই গ্রামের শওকত আলীর কন্যা স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহিমা খাতুন (১৩) এবং ওই গ্রামেরই আবু জাক্কারের পুত্র স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবু জারের (১৫) সঙ্গে একই গ্রামের আজিজুল হকের কন্যা ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজার পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। সে অনুয়ায়ী এ দিন সকাল থেকে বিয়ের সকল প্রস্তুতি চলতে থাকে বর-কনের বাড়িতে। কনের বাড়িতে বর পক্ষ বরযাত্রী বেশে চলে আসে। শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। কর্মকর্তারা গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
×