ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গরমে শিশুরোগের প্রকোপ ॥ মির্জাপুরে তিন সপ্তাহে ১২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৪ মে ২০১৫

গরমে শিশুরোগের প্রকোপ ॥ মির্জাপুরে তিন সপ্তাহে ১২ শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৩ মে ॥ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ ও অত্যধিক গরমে মির্জাপুরে শিশুরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা তাপপ্রবাহের কারণে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে শিশুরোগীদের চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে নানা উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে কুমুদিনী হাসপাতালে গত তিন সপ্তাহে ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। শনিবার কুমুদিনী হাসপাতালে শিশু বিভাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু রোগীদের নিয়ে বাবা ও মায়েরা চিকিৎসার জন্য ভিড় করছেন। শিশু রোগীরা সকলেই প্রচণ্ড দাবদাহ ও গরমের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ঠা-াজ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, খিঁচুনি ও ভাইরাল ফিবারসহ নানা উপসর্গের শিশুরোগী রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মির্জাপুর উপজেলার কদিম দেওহাটা গ্রামের এক বছরের শিশু আব্দুল্লার মা রাজিয়া বেগম বলেন, অত্যধিক রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরমে আমার শিশুর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। একই কথা জানালেন চিকিৎসা নিতে আসা এক বছরের শিশু রাব্বির পিতা আরিফুল ইসলাম। নাগরপুরের এক বছরের শিশু মোশারফের মা পারভীন জানালেন, অসহনীয় গরমে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে তার শিশু ঘন ঘন পাতলা পায়খানায় কাহিল হয়ে গেছে। কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স অঞ্জলি হালদার জানান, প্রচ- তাপ ও গরমের কারণে শিশু রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। রোগীর চাপ সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান। এছাড়া প্রতিদিন এই শিশু ওয়ার্ডে দেড় থেকে দুই শ’ শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। এদিকে কুমুদিনী হাসপাতালে শিশু বিভাগে গত তিন সপ্তাহে ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল মতিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেছে। এছাড়া রয়েছে প্রচ- ভ্যাসপা গরম। বড়রা এই তাপ ও গরম সহ্য করতে পারলেও শিশুরা পারছে না। এজন্য শিশুরা শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময় শিশুদের নিয়ে মা ও অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। প্রতিবন্ধীদের অর্থ সহায়তা স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত গৌরনদী উপজেলার ১৫ অসহায় প্রতিবন্ধীর মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বরাদ্দকৃত ২০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন। গৌরনদী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহআলম খান, পৌর মেয়র হারিছুর রহমান প্রমুখ। গভীর নলকূপ স্থাপন নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৩ মে ॥ জেলার নিকলীতে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে উপজেলায় ১৫টি গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় কারপাশা ইউনিয়নে ১০টি নলকূপ স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সবুজ। এ সময় সাইদুল হক খান সাজন, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, প্ল্যান-ওয়াশের সমন্বয়কারী মোঃ ইকবাল হোসাইন, প্রকৌশলী রাজিবুল হাসানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
×