ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান-জিম্বাবুইয়ে দ্বিতীয় টি২০ আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৪ মে ২০১৫

পাকিস্তান-জিম্বাবুইয়ে দ্বিতীয় টি২০ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লাহোরে পাকিস্তান ও সফরকারী জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি২০ আজ। এরপর রয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে। এই সিরিজ দিয়ে দেশটিতে দীর্ঘ ছয় বছর পর ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। শুক্রবার প্রথম টি২০ ম্যাচ ঘিরে তাই গোটা পাকিস্তানেই ছিল উৎসবের আমেজ। যেটিকে ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘আবেগময়’ বলে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। ‘বুম বুম’ আফ্রিদির দুরন্ত চারে ৫ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে স্বাগতিকরা। আজ সিরিজ জয় করতে মরিয়া তারা। দীর্ঘ বিরতির পর ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরায় যারপরনাই সন্তুষ্ট কোচ ওয়াকার ইউনুস এবং বোর্ড (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খানও। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বহু প্রতীক্ষার ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া জিম্বাবুইয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। জবাবে অভিষেকেই ‘নায়ক’ বনে যাওয়া ওপেনার মুক্তার আহমেদ (৪৫ বলে ৮৩) ও অভিজ্ঞ সরফরাজ আহমেদের (৩৯ বলে ৫৫) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৮০ বলে ১৪২ রানের ওপেনিং জুটিই মূলত স্বাগতিকদের পথ তৈরি করে দেয়। পাকিস্তানের হয়ে টি২০তে ওপেনিংয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে একই রান করেছিলেন কামরান আকমল-সালমান বাট জুটি। একটি মাত্র বল মোকাবিলায় দারুণ এক চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে অধিনায়ক আফ্রিদি। উল্লাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। ম্যাচটি ঘিরে খেলার চেয়ে বাইরের বিষয় নিয়েই আগ্রহ ছিল বেশি। কারণ ২০০৯ সালে এই লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর প্রথম কোন বিদেশী দল পাকিস্তান সফর করছে। ‘এটা বিরাট এক উপলক্ষ, সেই উপলক্ষকে আরও বড় কর তুলেছে এই জয়’Ñ ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া আফ্রিদির। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আবহ। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ, চারিদিকে হজারও অস্ত্রধারী পুলিশÑ এমন কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও উল্লাসে মেতে ওঠেন ক্রিকেটপাগল পাকিস্তানীরা। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি কোচ ওয়াকারও। সাবেক পাকিস্তান গ্রেট বলেন, ‘সমর্থকের চিৎকারে প্রকম্পিত গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের গ্যালারি। এমন দিনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। ধন্যবাদ জিম্বাবুইয়েকে, তাদের সৌজন্যে দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে এসেছে। আমার মনে হয় এখন অন্য সব দলও আমাদের দেশে খেলতে আসবে।’ জিম্বাবুইয়ে পা রাখার আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান বলেছিলেন, এবার শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সেই সম্ভাবনা খুব দূরে নয় বলে আশাবাদী তিনি। শাহরিয়ার বলেন, ‘জিম্বাবুইয়ে আসায় দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমি খুবই ইতিবাচক মানুষ। বিশ্বাস করি খেলাধুলা, বিশেষ করে উপহাদেশে ক্রিকেট এখন একটা জাতির চিত্র বদলে দিতে পারে, যেমনটা জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে সিরিজের মধ্য দিয়ে ঘটেছে।’
×