ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টেন্ডুলকর, কুম্বলেই প্রেরণা হরভজনের

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৩ মে ২০১৫

টেন্ডুলকর, কুম্বলেই প্রেরণা হরভজনের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই বছর ধরে ভারত জাতীয় দলে নেই। এরপরও আশা ছাড়েননি। নিজেকে গড়েছেন। আবার জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেছেন। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পিনার হরভজন সিংয়ের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ ধরা দিয়েছে। আবারও নতুন করে শুরু করার ভাবনায় মশগুল হরভজন। তবে গত দুটি বছর লড়াই যে করে চলেছেন হরভজন, তাতে কাদের কাছ থেকে প্রেরণা খুঁজে পেয়েছেন? সেই প্রশ্ন যখন আসছেন। হরভজনই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘শচীন টেন্ডুলকর ও অনিল কুম্বলেই প্রেরণা।’ আবার টেস্ট দলে ডাক পেলেন এ স্পিনার। প্রায় সোয়া দুই বছরের ‘বনবাস’ শেষ করে হরভজন সিং ফিরেছেন দলে। না, দলে আছেন বলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটাও খেলবেন এই নিশ্চয়তা নেই। তবে ভারতীয় অফ স্পিনার মরিয়া। আর সে কারণেই এই সুযোগটাকে নিচ্ছেন নতুন করে শুরু করার চ্যালেঞ্জ হিসেবে। ডাক পাওয়ার পরই ভারতীয় একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, যেন আমি নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছি। আমার জন্য এটা নতুন ইনিংস, যেটি আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করতে চাই। সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে চাই।’ গত দুই বছরের কঠিন সময়টায় তাকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকর ও অনিল কুম্বলেকে, ‘ওরা দুজন সব সময় আমাকে প্রেরণা দিয়ে গেছে। টেন্ডুলকর তো সব সময় বলত, আমার ভারতের হয়ে আবার খেলার সামর্থ্য আছে। যেন আত্মবিশ্বাস না হারাই।’ দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পেছনে অবশ্য ফর্মটাই বড় কারণ ছিল। সর্বশেষ টেস্ট ২০১৩ সালে মার্চে হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সিরিজের দুই টেস্টে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। তার আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে ও প্রতিপক্ষের মাটিতে দুটি সিরিজের তিন টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন, উইকেট ৪। সর্বশেষ ১৮ টেস্টে একবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন, সেটি কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে (৭/১২০)। হরভজনের বাদ পড়া নিয়ে তাই সেভাবে কোন প্রশ্নই ওঠেনি। বরং ১০১ টেস্টে ৪১৩ উইকেটকেই তার ‘ক্যারিয়ার রেকর্ড’ ধরে নিয়েছিলেন প্রায় সবাই। হরভজন একদমই তা ভাবেননি। বরং অপেক্ষায় ছিলেন দলে ফেরার, ‘গত দুই বছর আমি এই দিনটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গেছি। একটা দিন কিংবা একটা মুহূর্তের জন্য আমার মনে হয়নি যে আমি আর ভারতের হয়ে খেলতে পারব না।’ এই ফেরাটা হরভজনের পরিশ্রমের পুরস্কার, এমন বলেছেন সুনীল গাভাস্কারও, ‘ওকে দলে নিয়ে নির্বাচকেরা দেখিয়েছেন ওরা ফর্মটাই বিচার করেন। কে সিনিয়র, কে জুনিয়র এটা তাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।’ হরভজন নতুন করে শুরু করতে চান, ঠিক আছে। তবে আগে তো শুরু করার সুযোগ পেতে হবে! বাংলাদেশের বিপক্ষে পারফর্মেন্স খুব আহামরি নয়, ৩ টেস্ট খেলে ৬ উইকেট। তার ওপর দলে আছেন আরেক অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। যার আবির্ভাবই ‘হরভজনকে ছাড়াও চলে’ আওয়াজ তুলে দিয়েছিল। ফতুল্লায় ১০ জুুন শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হরভজন দর্শক হয়ে থাকলে তা একদমই বিস্ময়কর কিছু হবে না। তবে সুযোগ পেলে অশ্বিনের চেয়েও অনেক ভাল নৈপুণ্য করে দেখাতে হবে। তা না হলে যে হরভজনের ‘ফেয়ারওয়েল’ ম্যাচ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টটি!
×