ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২২ মে ২০১৫

ঝলক

চলচ্চিত্রে গাভাস্কার চলচ্চিত্রের সঙ্গে ক্রিকেটারদের গভীর সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। মহসিন খান থেকে সলিল আঙ্কোলা, হালে অজয় জাদেজা, হরভজন সিংও রয়েছেন এই তালিকায়। সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ভাল গান করেন। আছে ব্যক্তিগত এ্যালবামও। ব্রেট লির রয়েছে নিজস্ব ব্যান্ড দল। আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি মিউজিক এ্যালবামেও অভিনয় করেন ব্রেট। এসব তো অনেকেরই জানা। কিন্তু সুনীল গাভাস্কার সিনেমায় অভিনয় করেছেন, এটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। ১৯৭৪ সালে মারাঠী ছবি ‘সালভি প্রেমাচি’তে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। নায়িকা ছিলেন মধুমতি। আম্পায়ার পিলু রিপোর্টারকে মনে আছে? মধুমতি হলেন তাঁরই বোন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নায়িকার সঙ্গে গাছের নিচে হাত ধরে গান করা, গানের মাঝে বাঁ হাতে ব্যাট করে নায়িকার বল মাঠের বাইরে পাঠানো ইত্যাদি দৃশ্যে দেখা যায় সুনীলকে। তবে যে সময়ে উনি এই গানের দৃশ্যে পা মিলিয়েছেন, সেই একই সময়ে বড় বড় বোলারকেও ব্যাট হাতে শাসন করেছেন। অলঙ্কারের বদলে টয়লেট! বিয়ের উপহার হিসেবে কনের অলঙ্কারের চাহিদা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিয়েতে দামী গহনা কিংবা অলঙ্কার নয়, টয়লেট সেট চাইলেন সদ্য বিবাহিত এক তরুণী। সেটি আদায়ও করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে। নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অনুপ্রাণিত মেয়েটি বিয়ের আগে শর্ত দেয়, শ্বশুরবাড়িতে আর কিছু থাকুক না থাকুক, টয়লেট থাকা চাই। চৈতালি নামের ওই নববধূর ভাষায়, ‘বিয়ের কথা পাকা হওয়ার পাঁচ দিন পর জানতে পারি, শ্বশুরবাড়িতে টয়লেট নেই। বাবা-কাকাকে বলি, টয়লেটের ব্যবস্থা না হলে এ বিয়ে হবে না। ওরা আমার কথা শুনেছে।’ বিয়ের আসরে হাজির হয়েই অতিথি-অভ্যাগতদের চক্ষু চড়কগাছ। গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপহারসামগ্রীর ভিড়ে তাদের নজর কাড়ে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। এদিকে চৈতালির এমন কাণ্ডে খুশি হয়ে তাকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির হয়ে স্যানিটেশন বিষয়ক সচেতনতা নিয়েও কাজ করবেন চৈতালি। বসই বটে! চাকরিজীবীদের জীবনে অনুযোগ-অভিযোগের শেষ নেই। কাজ আছে তো অবসর নেই, অবসর আছে তো টাকা নেই, আবার টাকা আছে তো ছুটি নেই। কাজের পরিবেশ, বস ও মালিকপক্ষ নিয়েও আফসোসের অন্ত নেই কারও কারও। তবে ব্যতিক্রমও যে নেই তা বলা যাবে না। এমনই ব্যতিক্রমী এক বস চীনের বহুজাতিক কোম্পানি তিয়েনস গ্রুপের মালিক লি জিনিউয়ান। কর্মীদের খুশি করতে নিজের প্রতিষ্ঠানের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৬ হাজার ৪০০ কর্মীকে ছুটি কাটাতে উড়িয়ে নিয়ে গেলেন ফ্রান্সে! সবাইকে ঘুরিয়ে দেখালেন আইফেল টাওয়ার, ল্যুভর জাদুঘরসহ নয়নাভিরাম সব পর্যটনস্থল। খরচ হয়েছে আড়াই কোটি পাউন্ড। এতেই ক্ষান্ত হননি লি জিনিউয়ান। কর্মীদের ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলও ঘুরিয়ে আনেন তিনি। এজন্য তাকে কিনতে হয় ৭ হাজার ৬০০টি ট্রেন টিকিট। আর এর মাধ্যমেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু পদবিতেই নয়, হৃদয়টাও হওয়া চাই বসের মতো! চাকরি করলে ১০০ বেত! মূর্খতা আর পশ্চাৎপদতার শিকার এখনও নারী। সভ্যতার এই পর্যায়ে এসেও চাকরি করার অপরাধে নারীকে হতে হয় তিরস্কৃত ও দণ্ডিত- তা বিস্ময়করই বটে! এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মেরঠে জেলার পিপলিখেড়া গ্রামে। অভাবের তাড়নায় এই গ্রামের তিন নারী প্রেমবতী, গীতা ও পিঙ্কি বেরিয়েছিলেন কাজের সন্ধানে। কিন্তু ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দুনিয়ায় পা রাখা ভালভাবে দেখেনি গ্রামের পঞ্চায়েত। তাই পঞ্চায়েত তাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ফতোয়া জারি করে। কিন্তু পেটের তাগিদে তারা ধার ধারে না এই ফতোয়ার। তাই তারা বের হয় কাজের সন্ধানে। দিন শেষে গ্রামে ফিরলে তাদের তোলা হয় পঞ্চায়েতের কাঠগড়ায়। আর সেখানেই তাদের প্রত্যেককে মারা হয় ১০০ বেত। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলে তাদের বিপদ আরও বাড়ে। পঞ্চায়েতের তরফে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়, পুলিশে অভিযোগ জানালে ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। তাই এ ব্যাপারে পুলিশের কিছুই করার নেই।’ ধুতি খোলা নিয়ে বিতর্ক! ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় ভারতের মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুলাল গৌড়। এবার তার বক্তব্যে খাটো করা হয়েছে সমগ্র নারী জাতিকে, অভিযোগ কংগ্রেসের। ঘটনার সূত্রপাত বিজেপির এক দলীয় সভায়। ওই সভায় ৮৫ বছর বয়সী এই নেতা সহকর্মীদের জানিয়েছেন, রাশিয়ার এক নেতার স্ত্রী একদা তার কাছে ধুতি পরার কৌশল জানতে চান। বাবুলালের ভাষায়, আমি তাকে বললাম, ধুতি পরা শেখাতে পারব না, তবে আপনাকে ধুতি খোলার কায়দা অবশ্যই দেখাতে পারি। কিন্তু এখন নয়, পরে। বিজেপির এই মন্ত্রীর মন্তব্যে দারুণ চটেছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের নেতা শোভা ওঝা বলেন, ‘গৌড় যা বলেছেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মহিলাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য উনি আগেও করেছেন। এতেই পরিষ্কার তিনি ও তার দল মহিলাদের কী নজরে দেখেন! নিজের মন্তব্যের জন্য এই মুহূর্তে গৌড়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, অতীতে ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহ সম্পর্কে বেশকিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।
×