ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২২ মে ২০১৫

উবাচ

ভাবিনি দেখা হবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনেকটা কল্পনার মতো বিষয়টি! আশ্চর্যও বটে। তিনি নেই। কোথাও নেই। যাকে নিয়ে এত হইচই। গুঞ্জন। আলোচনা। সমালোচনা। হঠাৎ করেই সবার সামনে হাজির তিনি। রীতিমতো দু’মাস পর। চোখ কপালে ওঠার মতোই পুরো বিষয়টি। কারণ, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরিবারসহ দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অপহরণের পর তাকে হত্যা করারও। এজন্য দেশজুড়ে চলল তা-ব, হরতাল, পেট্রোল বোমাবাজিসহ নানা কায়দার নাশকতা। বলছি বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের কথা। কিন্তু ডুব দিয়ে থাকার পর আকস্মিকভাবেই তিনি উদয় হন ভারতের শিলংয়ে। নিজে নিজে পুলিশের কাছে যান। পরিচয় দেন। হয়ত তিনিও ভাবেননি বাস্তবে সবার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে। তাঁর খবর শুনে পরিবারের সদস্য ছুটে যান শিলংয়ের মানসিক হাসপাতালে। তখন স্ত্রীর কাছে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভাবিনি আবার দেখা হবে’। এর আগে তিনি স্ত্রীকে টেলিফোন করে বলেছিলেন, বেঁচে আছি। ভাল আছি। সবাইকে জানিয়ে দাও।’ কিছু কিছু ঘটনার বিবরণ দেন তিনি। রওশনের উপলব্ধি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুসময় যাচ্ছে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির। কারণ দীর্ঘদিন পর হলেও জাপা এখন বিরোধী দলে। মন্ত্রিপরিষদেও আছে। এ নিয়ে দলের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একটি পক্ষ বলছে বিরোধী দলে থেকে, সরকারে নয়। অন্য পক্ষ বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রকম নজির বহু। কিন্তু বিরোধী দল তো শক্তিশালী হওয়ার কথা। থাকবে জনমত। নেতাকর্মীও থাকবে সমান তালে। যা আছে তা নামমাত্র। এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন খোদ বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। তাই রাজনীতির শেষ সময়ে হলেও অবশেষে যৌক্তিক উপলব্ধি হয়েছে তার। অনেকটা হতাশা থেকেই হয়ত সান্ত¡না খুঁজতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দল ২৫ বছর ক্ষমতার বাইরে। এখনও যে দলটি টিকে আছে, এটাই বড় সাফল্য। এখনও যে দলের অস্তিত্ব আছে, এটাই তো বেশি’। এই হতাশার যথেষ্ট কারণও আছে। উপজেলা নির্বাচনে একটিতেও বিজয়ী হতে পারেনি জাপার প্রার্থীরা। জাপার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত খোদ রংপুরের ফলাফল আরও বেশি হতাশ করেছে দলের নীতি নির্ধারকদের। পরবর্তীতে যত নির্বাচন হয়েছে এর একটিতেও উল্লেখ করার মতো ফল নেই। সর্বশেষ তিন সিটি নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন দল সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীই। দল সমর্থিত ৮১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র একজন। নাছিরের হুঁশিয়ারি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি কর্পোরেশনের কাজে অভাব অভিযোগের কোন শেষ নেই। তেমনি অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগও সমানতালে। কিছু সত্য। কিছু মিথ্যে। এর মধ্য দিয়েই পথ চলা। এ রকম আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির। নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়রের ভাতা না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কর্পোরেশনের বাইরে বৈঠক করে মৌখিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ হোসেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলম তার নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। সোমবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। বৈঠকে নগরবাসীর নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আ জ ম নাছির। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এও বলেন, কেউ কারও বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলবেন না। অভিযোগ থাকলেও ভরা মজলিশে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করে একে-অপরকে অপমানিত করবেন না। সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিয়মমাফিকভাবে উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন মেয়র। বাস্তবে তাঁর দেয়া হুঁশিয়ারি কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তাই এখন দেখার বিষয়। একচোখা টিআইবি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ভাল কিছু চোখে দেখে না। শুধু নেগেটিভ দেখে। তিন সিটির নির্বাচনের পর টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। গত সপ্তাহে টিআইবি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করে। টিআইবির এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ জানান, টিআইবি ছাড়াও কিছু সংস্থা নেগেটিভ ছাড়া ভাল কিছুই দেখে না। পানি, বিদ্যুত, সড়ক ও বাণিজ্যে অগ্রগতি দেখতে পায় না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২১ বছরের স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রের নির্বাচনে বিজয় টিআইবি দেখতে পায় না। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি টিআইবির প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি তাও দেখতে পায় না। বিএনপির নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেননি, এসবও দেখতে পায় না টিআইবি।
×