ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কৃষকের উঠানে গিয়ে ধান মাড়াই

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২১ মে ২০১৫

কৃষকের উঠানে গিয়ে ধান মাড়াই

সমুদ্র হক ॥ এখন আর ধান মাড়াইয়ে গরু ব্যবহার করতে হয় না। যন্ত্রই সব করে দেয়। একটা সময় এই যন্ত্র আমদানি করে আনতে হতো বিদেশ থেকে। দাম পড়ত কয়েক লাখ টাকা। হারভেস্টার নামের এই যন্ত্র বছর তিনেক আগে বগুড়া পল্লী উন্নযন একাডেমির (আরডিএ) মেলায় প্রদর্শিত হলে বগুড়ার হাল্কা শিল্পের কারিগররা তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। একটা সময় যারা নৌকায় শ্যালো ইঞ্জিন বসিয়ে স্পিডবোটের মতো দ্রুত চালানোর ব্যবস্থা করেন, তাঁরাই আবার শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সড়কপথের যান বানান। এ কারিগররাই শ্যালো ইঞ্জিনে ইট ভাঙ্গার মেশিন বানান। একই কারিগররা এবার বানিয়েছেন ধান মাড়াইয়ের যন্ত্র। বগুড়া-নাটোর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় নন্দীগ্রাম এলাকায় দেখা যায় স্থানীয় ভাবে তৈরি হারভেস্টার মেশিন ভাড়া নিয়ে এলাকার কৃষক বাড়ির উঠানে ধান মাড়াই করছে। প্রতিবিঘা জমি ধান মাড়াই করতে নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। এক বিঘা জমির ধান মাড়াই করতে সময় লাগে মাত্র আধা ঘণ্টা। কৃষক হারভেস্টার মালিককে মোবাইল ফোনে ডাক দিলেই ঘরের দুয়ারে গিয়ে হাজির হয়।একটি হারভেস্টার যন্ত্রে দিনের ১০ ঘণ্টায় অন্তত ২০ বিঘা জমির ধান মাড়াই করা যায়। হারভেস্টারের মাড়াই ক্ষমতানির্ভর করে শ্যালো ইঞ্জিনের হর্সপাওয়ারের (এইচপি স্থানীয়ভাবে বলা হয় ঘোড়া) ওপর। ৭ থেকে ১০ এইচপি ক্ষমতার শ্যালো ইঞ্জিনের হারভেস্টারে এক বিঘা জমির ধান ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয়ভাবে নির্মিত হারভেস্টারের দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে সোয়া লাখ টাকা। মধ্যমসারির কোন কৃষক হারভেস্টার কিনে ভাড়া দিয়ে বাড়তি টাকা রোজগার করতে পারেন। এতে একদিকে ধান মাড়াইয়ে কৃষকের সময় সাশ্রয় আরেকদিকে যন্ত্রকৃষি কৃষকের বাড়তি রোজগারের পথ তৈরি করে দিয়েছে।
×