ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২১ মে ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা তিনদিন উর্ধমুখী প্রবণতার পরে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির বৃদ্ধির পরও ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কিছু কোম্পানির দর লোভনীয় পর্যায়ে চলে আসায় বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ বাজারে নতুন করে শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন। মূলত আকর্ষণীয় দর ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কারণেই বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি বেড়েছে। যার কারণে প্রতিদিনই লেনদেন বাড়ছে। এভাবে টানা বৃদ্ধির পরে মঙ্গলবারে ডিএসইতে মোট ৮শ’ কোটি টাকা লেনদেন ছাড়ানোর পরে বুধবারে ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ডিএসইতে ৭৮২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের চেয়ে ২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৩ শতাংশ কম। আগের কার্যদিবসে এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৮০৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনটিতে খাতভিত্তিক লেনদেনে এগিয়ে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৩৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ ভাগ। মোট ১০৮ কোটি টাকার লেনদেন করে সার্বিক লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতটি। সার্বিক লেনদেনের মোট ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ লেনদেন করেছে খাতটি। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতটি। দীর্ঘদিন পরে খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। মোট ১০২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে খাতটির। মোট ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ লেনদেন করেছে কোম্পানিগুলো। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, আরএকে সিরামিকস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বারাকা পাওয়ার, বেক্সিমকো, শাশা ডেনিম এবং এসিআই ফরমুলেশন। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : হাক্কার্নী পাল্প, এটলাস বাংলাদেশ, এইচ আর টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, ডেল্টা স্পিনিং, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, লিগাসি ফুটওয়ার, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও মেট্রো স্পিনিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সমতা লেদার, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, মডার্ন ডাইং, এ্যাপেক্স ট্যানারি, জিবিবি পাওয়ার, এসিআই ফর্মুলেশন, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, নাভানা সিএনজি ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। এদিকে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সেখানেও সূচকের ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। সারাদিনে সিএসইতে ১১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৯৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
×