ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বন্ধ করে দেয়া হতে পারে সফটওয়ার কোম্পানিটি

পাকিস্তানের ভুয়া ডিগ্রী প্রতিষ্ঠানে অভিযান

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২১ মে ২০১৫

পাকিস্তানের ভুয়া ডিগ্রী প্রতিষ্ঠানে অভিযান

পাকিস্তানের তদন্তকারীরা মঙ্গলবার একটি বিশ্বব্যাপী ভুয়া ডিগ্রী সাম্র্রাজ্য পরিচালনার জন্য অভিযুক্ত করাচির একটি প্রতিষ্ঠানে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানান। তারা বহু কম্পিউটার জব্দ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কর্মচারীদের আটক করেন। এদিকে এই কেলেঙ্কারির ঘটনা আরও ঘনীভূত হয়েছে। খবর এএফপির। নিউইয়র্ক টাইমসে এ্যাক্রাক্ট নামে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শত শত ওয়েবসাইটের নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগ এনেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রমোশনাল ভিডিও তৈরির জন্য বেতনভুক অভিনেতাদেরও রেখেছে। এই বিস্তারিত বাণিজ্যের ফাঁদ পেতে তারা বছরে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করছে। ফেডারেল তদন্তকারী সংস্থার (এফআইএ) কর্মকর্তারা করাচিতে কোম্পানির সদর দফতরে আকস্মিকভাবে হানা দিয়ে সাজ-সরঞ্জামও রেকর্ড আটক করেন এবং ভবন থেকে কর্মচারীদের বের করে দেন। অভিযান পরিচালনাকারী দলের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে একথা জানান। ওই কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির রাওয়ালপিন্ডি অফিসও সিল করে দেয়া হয় এবং কর্মচারীদের অকুস্থলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই কর্মকর্তা ইতোপূর্বে জানান, দু’জন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি পরে ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং কোন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়নি। এফআইএর সাইবার অপরাধ শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেহমুদ উল হাসান বলেন, অভিযান এখনও চলছে। আমাদের টিম সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছে। অভিযান শেষ হলে আমাদের মহাপরিচালক বিস্তারিত সবকিছু প্রকাশ করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান বলেন, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এ ধরনের কোন বেআইনী কাজে জড়িত আছে কিনা, যার দ্বারা বিশ্বে দেশের ভাল ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে পারে সে ব্যাপারে সংস্থাকে তদন্ত চালাতে বললে দ্রুত এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের সাবেক কর্মচারীদের উদ্বৃতি দেয়া হয় ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ৩৭০ এরও বেশি ওয়েবসাইট। এ্যাক্রেডিটেশন সংস্থাও অন্যান্য সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠান পর্যালোচনা করে যে খবর প্রকাশিত হয় তাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবুও কোম্পানি কোন অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে। এ্যাক্রাক্ট বিওএল নামের মিডিয়া উদ্যোগ নেতৃস্থানীয় টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিকদের নিয়ে একটি নিউজ চ্যানেল চালু করার প্রস্তুতি নেয়, যাতে যোগদান করার জন্য উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেয়া হয়। এতে বিষয়টির আগ্রহ আরও বেড়ে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউএইর খরিদ্দারদের উদ্বৃতি দেয়া হয়, যারা তাদের প্রার্থিত ডিগ্রীর জন্য হাজার হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার প্রদান করেছে। তাদের অনেকেই বিশ্বাস ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসল এবং শীঘ্রই তারা কোর্সওয়ার্ক লাভ করবে। এ্যাক্রাক্ট ও তার সিইও শোয়ের আহমদ শেখ সোম অথবা মঙ্গলবার অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য এএফপির অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে কোম্পানির ওয়েবসাইটের এক বার্তায় অভিযোগকে ভিত্তিহীন নিম্ন মানসম্পন্ন, কুৎসামূলক, মানহানিকর ও ভুয়া দোষারোপভিত্তিক বলে ঘোষণা করা হয়। কোম্পানিটি আরও জানায়, তারা নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
×