ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুই বছর সময় চেয়েছেন আনিসুল হক

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২১ মে ২০১৫

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুই বছর সময় চেয়েছেন আনিসুল হক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নগরবাসীর কাছে দুই বছর সময় চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক। মঙ্গলবার সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট ২৫টি সংস্থার নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছি। আশা করি, দুই বছরের মধ্যে ঢাকাবাসী ভাল রেজাল্ট পাবে। বুধবার রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘একশন এইডের’ উদ্যোগে ‘নিরাপদ নগরী নির্ভয় নারী’ প্রচারাভিযানের বৈশ্বিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরুর কথা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন মেয়রের ঢাকা উত্তরকেন্দ্রিক কার্যক্রম ‘সুনির্দিষ্ট রূপ’ পাওয়া শুরু করবে। আনিসুল হক বলেন, ছয় মাসের মধ্যে কাজকর্মগুলো একটা প্যাটার্ন পাবে। আপনাদের সহযোগিতা আমার এই কাজগুলোকে আরও এগিয়ে নেবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ভাগ হওয়ার পর ঢাকা উত্তরের প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ভোটের প্রচারের সময় বলেছিলেন, রাজধানীর সমস্যাগুলো সবারই জানা, এখন এর সমাধান করতে হবে। নিজের ভোটের প্রচারের শিরোনাম তিনি করেছিলেন ‘সমাধান যাত্রা’। তিনি বুধবার বলেন, আমরা চারটি বেসিক নিড ঠিক করেছি এই মুহূর্তের জন্য। ট্রাফিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি ও ফুটপাথ। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল বলেন, ছোটখাটো ত্রুটি কিছু ছিল। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় পারসেন্টেজ হিসেবে এটা ভাল নির্বাচন হয়েছে। অন্তত উত্তরের মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ কথা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি। মেয়রপ্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনকে ‘পর্যাপ্ত তথ্যনির্ভর নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, টিআইবি এই প্রতিবেদন ঠিক কী কী বিষয়ের ভিত্তিতে করেছে, তা আমার জানা নেই। আমার নির্বাচনী খরচ ব্যয়সীমার মাঝেই ছিল। সমর্থকরা অনেক সময় নিজের উদ্যোগে ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদিতে খরচ করে। সেগুলো তো আমার নির্বাচনী ব্যয়ের মধ্যে পড়ে না। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণ। সেই সঙ্গে তারা দাবি করেছে, কয়েকজন প্রার্থী তাদের নির্ধারিত ব্যয়সীমার বহুগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।
×