থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলার শুরুতে আদালতে হাজির হন। মামলায় তাঁর ১০ বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে। পর্যবেক্ষকরা একে তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করেছেন। সাবেক ধনাঢ্য পলাতক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাকের বিরুদ্ধে এটি সর্বশেষ আইনি পদক্ষেপ। প্রায় এক বছর আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ইংলাককে অপসারণ করা হয়। খবর এএফপির।
তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তা হবে তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আঘাত। তবে এতে তাদের তৃণমূলের রেডশার্ট সমর্থকদের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার ঝুঁকিও রয়েছে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে তারা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
ব্যাংককের উত্তর উপকণ্ঠে থাইল্যান্ড সুপ্রীমকোর্টের বাইরে তাঁর ৫০ জনের মতো সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন ইংলাকের ফিউথাই পার্টির ১২ জনেরও বেশি সদস্য। যে দেশের জান্তা ৫-এর বেশি লোকের রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সেখানে এটি ছিল অত্যন্ত অস্বাভাবিক দৃশ্য। ইংলাকের গাড়িবহর বিচারের জন্য আদালত ভবনের বাইরে এসে থামলে সেখানে উপস্থিত অনেকে হর্ষধ্বনি করে- ইংলাক, লড়াই কর, লড়াই কর’! বলে চেঁচিয়ে ওঠে। এই মামলা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ইংলাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আস্থাশীল যে, আমি নির্দোষ এবং আমি আশা করি আদালত ন্যায়বিচার করবেন এবং সবকিছু আইনানুযায়ী চলতে দেবে না’।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: