ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তালমা নদীর ভাঙ্গনে সেতু ঈদগাহ হুমকিতে

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২০ মে ২০১৫

তালমা নদীর ভাঙ্গনে সেতু ঈদগাহ হুমকিতে

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ জেলা সদরের তালমা নদীর ভাঙ্গনে একটি ঈদগাহ মাঠের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়েছে। বাকি অর্ধেকও বিলীন হওয়ার পথে। পাশের আরেকটি ঈদগাহ মাঠেও ফাটল ধরেছে। ভাঙ্গনের কারণে হুমকির মধ্যে পড়েছে একটি সেতুও। স্থানীয়রা বলছেন, আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই বাঁধ বা প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা না হলে অনেক এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, পঞ্চগড় জেলা সদরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তালমা নদী। গত কয়েক বছর আগে দক্ষিণ তালমা বাজারের কাছে এই নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডি। বর্ষার পর কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থার জন্য রাবার ড্যামের বেলুন ফোলানো হলে নদী পানিতে ভরে যায়। বর্ষার আগ পর্যন্ত এই পানি থাকে। রাবার ড্যামের কয়েক কিলোমিটার উজানেও সারাবছর পানি থাকে বর্ষাকালের মতো। নদীর দিক পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোত পঞ্চগড়-হাঁড়িভাসা সড়কে তালমা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দক্ষিণ অংশে আঘাত করে। বর্তমানে নদীতে স্রোত না থাকলেও নিচের বালি সরে গিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুর দক্ষিণ অংশের একটি ঈদগাহ মাঠের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়েছে। বড় ধরনের ফাটল ধরায় বাকি অর্ধেকও বিলীন হওয়ার পথে। সেই সাথে পাশের আরেকটি ঈদগাহ মাঠও রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। সেখানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে বাঁধ বা প্রতিরক্ষামূলক কাজ করতে না পারলে দু’টি ঈদগাহ মাঠ ভেঙ্গে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে একমাত্র সেতুটি। এ ব্যাপারে এলজিইডির পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ রফিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব সত্বরই কাজ করা যাবে। আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আটক ॥ বিচার দাবিতে ক্লাস বর্জন নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৯ মে ॥ জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা আরেফা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারীর অভিযোগ তুলে ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা বুড়িমারী মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক চার সন্তানের জননী জনৈকা লাইলী বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। তাকে শনিবার রাতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় গ্রামবাসী আটক করে রাখে। গৃহবধূর স্বামী ওয়াজেদ আলী গ্রামবাসীর সহায়তায় নারীলোভী প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তারকে ধোলাই দিয়ে ঘরের খুঁটিতে বেঁধে রাখে। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। লম্পট শিক্ষককে দেখতে নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রঞ্জু, বাউরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মিরন, সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান মিঠুসহ আওয়ামী লীগ নেতারা লম্পট প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তারের বিচার করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
×