ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

আমাদের ‘সুশীল সমাজের’ আসল চেহারাটা কি?

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২০ মে ২০১৫

আমাদের ‘সুশীল সমাজের’ আসল চেহারাটা কি?

আমাদের ‘সুশীল সমাজের’ উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত। সংবাদপত্রে তার চিঠিটা পড়ে মনে হলো তিনি খোলাখুলি এই সুশীল সমাজের আসল ছবিটা তুলে ধরেছেন। তিনি আঠারো শতকের ফরাসী দার্শনিক জাঁ জ্যাক রুশোর মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। যেখানে রুশো বলেছেন, ‘সুশীল সমাজ হলো ধনীদের এমন এক ষড়যন্ত্র, যা ধনীদের লুণ্ঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে গ্যারান্টি প্রদান করে।’ রুশোর এই মন্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ সম্পর্কেই সঠিক। আবুল বারকাত নিজেও সুশীল সমাজের একজন। তবে কায়েমী স্বার্থের তল্পিবাহক সুশীল সমাজটির কেউ নন। তিনি মুষ্টিমেয় বিদ্রোহী সুশীলদের একজন, যারা দেশ ও জনগণের স্বার্থে সঠিক সময়ে নির্ভয়ে সঠিক কথাটি বলেন এবং এস্টাবলিসমেন্ট ও সুশীল সমাজের বৃহত্তর অংশ দুয়ের দ্বারাই সমালোচিত হন। সুশীল সমাজের এই বিভাজনটি সর্বযুগেই ছিল এবং এখনও আছে। সুশীল সমাজের এই বিদ্রোহী অথবা সৎ অংশই সর্বযুগে শাসক শক্তির অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে নির্যাতিত হয়েছেন, কিন্তু সমাজকে নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার পথ দেখিয়েছেন। গত শতকের প্রথম দিকে যখন ইতালিতে ফ্যাসিবাদের অভ্যুদয় ঘটে এবং ফ্যাসিস্ট একনায়ক মুসোলিনী ক্ষমতা দখল করেন, তখন ইতালির সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ তাকে স্তুতি জানাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি আমাদের রবীন্দ্রনাথও প্রথমে বিভ্রান্ত হয়ে মুসোলিনীর প্রশংসা করেছিলেন। পরে ভুল শুধরে নেন। এই দুঃসময়েও ইতালিতে একটি সৎ সুশীল সমাজ ছিল। যারা ফ্যাসিস্ট শাসকদের কাছে নতজানু হননি। তাদের মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত কথাশিল্পী আলবার্তো মোরাভিয়া। তিনি রাজনীতির ধার ধারতেন না। তার উপন্যাসেও আছে প্রেম, রোমান্স, সামাজিক সমস্যার কথা। তাতে রাজনীতি নেই। তবে তিনি যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদী ছিলেন। ইতালিতে মুসোলিনী ক্ষমতায় আসতেই তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন এবং শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে চলে যান। ঘোষণা করেন, যতদিন পর্যন্ত মুসোলিনীর মতো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তিনি ইতালিতে ফিরবেন না। মুসোলিনীর পতন না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশে ফেরেননি। এই আলবার্তো মোরাভিয়া সম্পর্কে একটি মজার কথা বলি। জেনারেল আইয়ুব খান তখন পাকিস্তানে ক্ষমতায় (বাংলাদেশ তখনও স্বাধীন হয়নি)। আইয়ুব দেশের বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজকে কেনার জন্য তার সেক্রেটারি কুদরতউল্লা শেহাবের মাধ্যমে (তিনিও একজন সাহিত্যিক) রাইটার্স গিল্ড নামে শিল্পী-সাহিত্যিকদের একটা সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তাতে ডান-বাম নির্বিশেষে (বামেরাই বেশি) বুদ্ধিজীবীরা দলে দলে গিয়ে ভিড়েছিলেন। এই রাইটার্স গিল্ডের বার্ষিক সম্মেলন হবে। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব তাতে হাজির থাকবেন। এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ইউরোপের বড় বড় সাহিত্যিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন আলবার্তো মোরাভিয়াও। তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জবাব পাঠালেন পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের কর্মকর্তাদের। লিখলেন, ‘স্বৈরাচারী মুসোলিনী ক্ষমতায় থাকাকালে আমি নিজের দেশ ইতালিতে থাকিনি। এখন আমি যাব দ্বিতীয় মুসোলিনীর দেশে লেখকদের সভায় যোগ দিতে? আমি তা পারব না। আমাকে ক্ষমা করবেন।’ জার্মানিতেও নাৎসিদের শাসনামলে সুশীল সমাজের সকল অংশ হিটলারের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। তারা বিদ্রোহী হয়েছেন, প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। নাৎসি কারাগারে তাদের অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক টমাস মান হিটলারের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। তার সকল উপন্যাস নাৎসি সরকারের আদেশে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। রোঁমা রোলার মতো বিশ্ববিখ্যাত মনীষী হিটলারের কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। কারাগারে বসেই তিনি লিখেছেন, ‘আই উইল নট রেস্ট’, আমি ক্ষান্ত হব না। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি জেলে বসেও ক্ষান্ত হবেন না। কারাগারে বসেও বুদ্ধিজীবীদের প্রতিরোধ সংগ্রামের মনোবলের পরিচয় পাওয়া যায় জুলিয়াস ফুচিকের ‘ফাঁসির মঞ্চ থেকে’ বইতে। ব্রিটিশ ভারতে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকা-ের তীব্র প্রতিবাদ কি জানাননি রবীন্দ্রনাথ? তিনি কি প্রতিবাদে ব্রিটিশদের দেয়া নাইট খেতাব ত্যাগ করেননি? পাকিস্তান আমলে বহু ভাষাবিদ প-িত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জানিয়েছিল, তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে অবস্থান পরিবর্তন না করলে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হবে না। ড. শহীদুল্লাহ্্ সরকারের দ্বারা নানাভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন, ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ পাননি; তথাপি সরকারের কাছে নতিস্বীকার করেননি; বাংলা ভাষার পক্ষে অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পরবর্তী প্রজন্মের সুশীল সমাজের দিকে তাকালেও দেখা যায়, তাদেরও একটা অংশ সরকার বা এস্টাবলিসমেন্টের অনুগ্রহভোগী হতে চাননি। অনেকে বাম রাজনীতির সমর্থক হয়ে কারা নির্যাতন থেকে নানা নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাদের মধ্যে অজিত গুহ, মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার, শহীদ সাবের, আলাউদ্দীন আল আজাদ, এ রকম আরও অনেকের নাম করা যায়। পরবর্তীকালে সুশীল সমাজের বাম অংশের অনেককে আবার আপোসবাদী হতে দেখা গেছে । তারা রাইটার্স গিল্ডে যোগ দিয়েছেন। এস্টাবলিসমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের একটা অংশ তাতে সরাসরি যোগ দিতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখিয়েছেন। তাতে ভবি ভোলেনি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে পাকিস্তানী হানাদার ও রাজাকারদের হাতে তাদের এক দলকে নির্মমভাবে আত্মাহূতি দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত চল্লিশ বছরে যে সুশীল সমাজটি গড়ে উঠেছে, তার বড় অংশের চরিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই সুশীল সমাজেরও একটি সৎ ও স্বচ্ছ অংশ আছে, যাদের মধ্যে আবুল বারকাত, জাফর ইকবালসহ আরও অনেকে পড়েন। কিন্তু তারা খুবই মুষ্টিমেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে বিশাল সামাজিক ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে, সমাজের মাথাওয়ালা শ্রেণী হিসেবে সুশীল সমাজই তার বড় ভাগিদার হয়েছেন। তাদের শ্রেণী চরিত্র বদলে গেছে। তারা এখন শোষিত শ্রেণীর অংশ নন, তাদের সমর্থকও নন। তাহলে তারা কি সর্বতোভাবে শাসক শ্রেণীর সঙ্গে? তাও তো নন। তারা রাজনৈতিক শাসকদের নয়, অরাজনৈতিক শাসকদের পক্ষে। গত চল্লিশ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে রাজনৈতিক শাসকেরা দুর্বল শাসক। তারাও চুরি দুর্নীতিতে কম যান না, কিন্তু অবাধ লুটেরা অর্থনীতির প্রকৃত নিয়ন্তা স্বাধীনতার পর গড়ে ওঠা নব্য ধনী শ্রেণী। তারা রাজনৈতিক সরকারের শাসন চায় না। চায় অরাজনৈতিক শাসন। রাজনৈতিক শাসনে তাদের অবাধ লুটপাটের সুযোগ-সুবিধা কিছুটা খর্ব হয়। এই নব্য ধনীদেরই প্রতিভু হিসেবে গড়ে উঠেছে বিগ এনজিও। বিদেশীরা এই এনজিওগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে। উন্নয়নশীল দেশে পশ্চিমা দেশগুলো এই এনজিওকে তাদের সাহায্য দ্বারা বিকল্প সরকার হিসেবে খাড়া করেছে। প্রমাণ করার চেষ্টা চলেছে, রাজনৈতিক সরকারই কেবল দুর্নীতিপরায়ণ এবং জনগণকে সুশাসন দিতে অক্ষম। এটা পারে কেবল বিগ এনজিও দ্বারা সমর্থিত অথবা পরিচালিত অরাজনৈতিক সরকার। এই প্রচারণাটি কেবল একটি সুশীল সমাজ দ্বারাই করানো সম্ভব। বাংলাদেশের সুশীল সমাজও এই কাজটি করতে আগ্রহী। দুর্বল রাজনৈতিক বা নির্বাচিত সরকার তাদের যে সুযোগ-সুবিধা দিতে সক্ষম, তার চাইতে অনেক বেশি দিতে পারে বিগ এনজিও এবং তাদের সাহায্যদাতা বিদেশী সংস্থা বা দেশগুলো। বিদেশে দশবার সফর, বিদেশী সংস্থায় বিলাসবহুল উচ্চপদ, দেশেও বিশাল আর্থিক প্রতিষ্ঠা এগুলো পশ্চিমা দেশ বা বিদেশী সংস্থাগুলো ছাড়া আর কে দিতে পারে? দেশেও অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতা পেলেই তাতে উপদেষ্টা পদগুলো থাকে এই সুশীল সমাজের জন্য বরাদ্দ। কোনো উন্নয়নশীল দেশের নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে সুশীল সমাজকে এত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষমতা নেই। তাই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশের বড় কাজ হলো কেবল রাজনৈতিক সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করা, তাকে বড় করে দেখানো। রাজনৈতিক সরকার যে সুশাসন দিতে পারে না এটা প্রমাণ করা। এ জন্যে নিয়মিত সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদি করা হয়। তারও অধিকাংশের খরচ জোগায় বিদেশী সংস্থা অথবা তাদের অনুগৃহীত এনজিওগুলো। তাদের মিডিয়াতেও চলে এই একই প্রচারণা। কিছুকাল সুশীল সমাজের এক নেতা ড. কামাল হোসেন সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অরাজনৈতিক অর্থাৎ সুশীলদের দ্বারা গঠিত সরকারের একটি থিয়োরি প্রচার করেছিলেন। ড. ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাংকের কায়দায় একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতায় বসার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ সবই গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম এবং পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তাদের দেশীয় অনুচরদের দ্বারা কার্যকর করতে চেয়েছে এবং এখনও চায়। এই দেশীয় অনুচর শ্রেণীর ভূমিকাতেই রয়েছে আমাদের বর্ণিত সুশীল সমাজটি। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের ভূমিকা তাই এখন এক্সপোজড, সমালোচিত এবং বহু ক্ষেত্রে নিন্দিত। এদের প্রচার প্রোপাগান্ডার স্বরূপও ধরা পড়ে গেছে। কিছুকাল আগে এক হাফ সাংবাদিক গু-ামির কবলে পড়ায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ডিসক্রেডিট করার জন্য সুশীল সমাজের একটি দৈনিক এমন প্রোপাগান্ডা শুরু করেছিল যে, মনে হয়েছিল এর চাইতে বড় সন্ত্রাস পৃথিবীতে আর কখনও ঘটেনি। ওই সাংবাদিকের চিকিৎসার নামে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করেছিল পত্রিকাটি। আজ বাংলাদেশ যখন সত্যই ভয়াবহ সন্ত্রাসকবলিত, প্রায় প্রতিমাসে একজন করে মেধাবী ব্লগারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তখন এই সুশীল সমাজ ও তাদের মুখপত্রটির মুখে আগের মতো সাড়াশব্দ আর নেই। এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ গড়ে ওঠা উচিত ছিল দেশের বুদ্ধিজীবী মহলে, তা নেই। একজন অর্ধ সাংবাদিক আহত হলে সুশীল সমাজ ও তাদের মুখপত্রের যে তীব্র প্রতিক্রিয়া, অভিজিত থেকে অনন্ত বিজয় পর্যন্ত মেধাবী ব্লগারদের নিষ্ঠুর হত্যায় সেই প্রতিক্রিয়া তাদের মধ্যে নেই। নেই টেলিভিশনের টকশোর অধিকাংশ বাকপটু বক্তাদের মধ্যেও। সম্প্রতি দেশের একজন সৎ বুদ্ধিজীবী ড. জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে তুচ্ছ কারণে একজন অর্ধশিক্ষিত রাজনীতিক অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি জেলায় মিছিল সমাবেশে অভব্য স্লোগান দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারেও সুশীল সমাজ বলতে গেলে প্রায় নীরব। তার কারণ কি? জাফর ইকবাল তাদের স্বগোত্রীয় সুশীল নন? এটাই কি বড় কারণ? মিসরের সামরিক সরকার শুধু নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফাঁসি দেয়ার ব্যবস্থা নয়, ব্রাদারহুডের শত শত নেতা ও কর্মীর প্রাণদ-ের ব্যবস্থা করেছে। তাতে না পশ্চিমা দেশগুলোর না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, না আমাদের সুশীল সমাজের মুখে কোন টু শব্দ আছে। কিন্তু বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে প্রাণদ- দিলে আমেরিকা, জাতিসংঘসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের মানবাধিকার কমিশন, সুজন, কূজন সংস্থাগুলো বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজতে শুরু করে। মানবাধিকার ক্ষুণœ হলো বলে হায় হায় করতে থাকে। আবুল বারকাত আমাদের সুশীল সমাজের কাছে একটি খোলাচিঠি লিখে ভালই করেছেন। তাতে তাদের ঘুম ভাঙবে মনে হয় না। কারণ, জেগে যারা ঘুমায় তাদের ঘুম ভাঙানো যায় না। তবে দেশের মানুষ জানবে এদের আসল চেহারাটা কি? নামে সুশীল সমাজ; কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এদের আসল ভূমিকা কি? এরা কাদের স্বার্থের ও ক্ষমতালোভের প্রতিনিধিত্ব করছে? সময় থাকতে দেশবাসীর তা জানা দরকার। লন্ডন, ১৯ মে, মঙ্গলবার ২০১৫
×