স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট এবারও ৫০টি ডিম দিয়েছে। প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড় থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে দীর্ঘ ৯০-৯১ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর ডিমগুলো হতে বাচ্চা ফুটে বের হবে। প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে জুলিয়েট এক সঙ্গে এ ডিমগুলো দেয়। এর আগে গত বছর জুলিয়েট ৪৪টি ডিম দিয়েছিল। এর মধ্যে বাচ্চা ফুটে বের হয় ৩১টির। কিন্তু এবার বাচ্চা ফোটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রের লোকজন। কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বে কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আবদুল রব চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। এরপর থেকে এই কেন্দ্রের পরিচর্যা ও বন্যপ্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কুমিরের ডিম সংগ্রহ ও অস্থায়ীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব পালন করছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার ফরেস্টার আজাদ কবির। তিনি বলেন, ‘আমাকে স্থায়ীভাবে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি, যেহেতু এর আগে ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে এই কেন্দ্রে আমি কাজ করেছে সেহেতু আমাকে মাঝে মাঝে দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়।’ এখানে স্থায়ীভাবে একজন অভিজ্ঞ লোক না রাখলে প্রজনন কেন্দ্রের কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এছাড়া কুমিরের ডিম নষ্ট হয়ে বাচ্চা ফোটার সংখ্যাও কমে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। রবিবার এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, কুমিরের ডিম সংগ্রহ ও বাচ্চা ফোটাতে তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: