ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প

পাবনায় খাস জমি দখল করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাঁয়তারা

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১৮ মে ২০১৫

পাবনায় খাস জমি দখল করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাঁয়তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৭ মে ॥ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের কুলিং প্ল্যান্ট স্থাপনে রূপকণিকা চরের জমি অধিগ্রহণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। একটি প্রভাবশালীচক্র নদী পয়স্তি চরের খাস জমি দীর্ঘকাল দখলের পর এখন মালিকানা দাবি করে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাঁয়তারা করছে। অবৈধ দখলদারদের কারণে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কুলিং প্ল্যান্ট স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক এলাকা থেকে ৫ দশকে পদ্মা নদী ২ কিলোমিটার সরে যাওয়ায় এক বিশাল চরের সৃষ্টি হয়। এ চরের জমির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার একর। এলাকার প্রভাবশালী মহল চরের নদী সিকস্তি জমি দীর্ঘ ৩০ বছর দখল করে চাষাবাদ করে আসছে। নতুন এ চরের সরকারীভাবে নামকরণ করা হয়েছে রূপকণিকা। রূপকণিকা চরের ৮০০ একর জমিতে আনুবিক বিদ্যুত প্রকল্পের কুলিং প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় আনবিক শক্তি কমিশন। ভূমি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা গত বছর আগস্ট-অক্টোবরে দু’দফা পদ্মা চরের এ জমি পরিদর্শনে আসেন। আনবিক শক্তি কমিশনের সেক্রেটারি পাবনা জেলা প্রশাসককে এ জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে গত বছর চিঠি পাঠায়। ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শওকত আলী জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে চরের এ জমি ব্যবহারের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। অবৈধ দখলদাররা এখন এ জমির মালিকানা দাবি করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে চরের জমিতে নানা ফসলের আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এখানে তার ৪ বিঘা লিচু বাগান রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে এ জমির মালিকানা দাবি করে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুত প্রকল্পে তার জমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন, ২শ’ ৭৩ জন কৃষক এ জমির মালিক। সরকার এ জমি অধিগ্রহণ করলে ফসল ও জমির ক্ষতিপূরণ অবশ্যই দিতে হবে। তার মালিকানাধীন ১০০ বিঘা জমিও এখানে রয়েছে বলে তিনি জানান। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম সেলিম জানিয়েছেন, প্রকল্প সংলগ্ন পদ্মাচরের জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন চরের নামকরণ করা হয়েছে রূপকণিকা। যা দ্রুতই গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই প্রকল্পের এ জমি দখলমুক্ত করতে মাইকিং করে নোটিস জারি করেছে। এ ব্যাপারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, এ চর সরকারী সম্পত্তি। তাই ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
×