ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাসীর মামুন

নিত্য লড়াইয়ে শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৮ মে ২০১৫

নিত্য লড়াইয়ে শেখ হাসিনা

স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বাধাবিঘœ ও সমস্যাসঙ্কুল পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এমনকি একাধিকবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টাও করা হয়। তা সত্ত্বেও শত প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে তিনি দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন অকুতোভয় চিত্তে, সুদৃঢ় নেতৃত্বে। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ১৭ মের সম্পাদকীয় পাতার পর আজ পড়ুন তৃতীয় কিস্তি ... ঐ সময় তারা যে কাজটি করেছিল গণতন্ত্রের নামে, তা’হলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বদলে দেয়া এবং ১৯৪৭ সালকে ১৯৭৫ সালের সঙ্গে যুক্ত করা। পাকিস্তানী মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য আবার তারা ফিরিয়ে এনেছিল, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল অর্থাৎ হিন্দুদের দালাল অর্থাৎ এরা ধর্মবিরোধী। এই মিথ্যা প্রচারে বড় ভূমিকা পালন করেছে মোল্লা-মৌলবী নামের তথাকথিত অর্ধশিক্ষিত ‘আলেমরা’ও। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ বা সেক্যুলারপন্থীদের দমনের জন্য ফ্রন্ট হিসেবে জঙ্গীদের সৃষ্টি করা হয়েছে সুচতুরভাবে। সরকারী উদ্যোগে বিরোধী দলের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছে। নাজি জার্মানিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটত। ঐ পাঁচ বছরে তারা যা করেছিল, তাতে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা দলের পক্ষে টিকে থাকা মুশকিল হতো। আওয়ামী লীগ বা হাসিনাকে তখন কোন বিদেশী সরকার এমনকি ভারত সরকারও সমর্থন করেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা দলকে ধরে রেখেছিলেন, নিজেও টিকেছিলেন স্রেফ আদর্শের জোরে। অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক শাসকরাও তাঁকে দমাতে পারেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের জয় অনিবার্য ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত খালেদা-নিজামী-মইনের অত্যাচার ও লুটপাটে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল। কারণ তাদের কাপড় চোপড় ধরেও তারা টানাটানি করছিল। তারা যদি সেই সব কাপড় চোপড় ধুয়ে টুয়ে গরিবদের অধিকার স্বীকার করত তা’হলে হয়ত তারা টিকে যেত। কিন্তু ঐ কাপড়-চোপড় লুটে নিজেরাই পরতে চেয়েছিল। ফলে বিএনপি-জামায়াতরা এমনভাবে পরাজিত হলো যে, দল হিসেবে টিকে থাকাও কষ্টসাধ্য ছিল। ঠিক তখনই যদি শেখ হাসিনা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতেন তা’হলে অনেকেরই গোলাপী নেশা টুটে যেত। কিন্তু মুখে শেখ হাসিনা যত কিছুই বলেন, অপার নিষ্ঠুরতা তিনি তেমনভাবে দেখাতে পারেননি। বরং যারা ভুলত্রুটি স্বীকার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেননি তেমনভাবে। এই প্রতিশোধ না নেয়ার কারণেই পরবর্তীকালে আরো কয়েক দফা বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে পেরেছে। হাসিনা যখন কঠোরভাবে জঙ্গী সন্ত্রাস দমন করেছেন, তখন আবার আন্তর্জাতিক সমর্থন ফিরে পেতে থাকেন। কারণ পাশ্চাত্যে এবং অনেক জায়গায় ধর্মের নামে সন্ত্রাসের সংখ্যা বাড়ছিল। নিজেরা সন্ত্রাসের শিকার হওয়ায় তারা অনুধাবন করতে পেরেছিল কিছুটা যে, সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল সমর্থন করা যায় না। কিন্তু নষ্ট মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে এখনও সন্ত্রাসের স্থান আছে। যারা জামায়াতকে এখনও মডারেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মনে করে, ২০১৩-১৪ সালের সন্ত্রাসকে সমর্থন দেয়, তাদের পুরোপুরি বিশ্বাস করলে যে আখেরে পস্তাতে হবে, এটি আমাদের রাজনীতিবিদ ও আমলাকুলকে অনুধাবন করতে হবে। জঙ্গীবাদ নির্মূল ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বর্তমান সরকার শুরু করেছিল। এটি আমার পর্যবেক্ষণ, ভুলও হতে পারে যে, শুরুতে এ বিচার নিয়ে আওয়ামী লীগেও মতভেদ ছিল। শেখ হাসিনা দলের ও সরকারের নেতৃত্বে না থাকলে এ বিচার যে হতো না, এ ব্যাপারে আমরা অনেকেই নিশ্চিত। এটি একটি আদর্শগত অবস্থান। একই সঙ্গে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমেও যে ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলো সংবিধানে সংযোজন করেছেন, তাও একটি অর্জন। অনেকে বলেন, হ্যাঁ, আমরাও বলি যে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখে তার সঙ্গে চারনীতি বলবৎ করা সাংঘর্ষিক। বাস্তবটা হচ্ছে, আমরা যারা একথা বলি, তারাও তো এর পক্ষে প্রবল জনমত সৃষ্টি করতে পারিনি। আরো বাস্তব হচ্ছে, শেখ হাসিনা আদর্শের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতার রাজনীতিও করেন। তিনি ভোটের রাজনীতি করেন। আমাদের অবস্থানটা এখানে আদর্শগত তো বটেই, আবেগজাতও। এক্ষেত্রে তার সঙ্গে একটি আলোচনার কথা মনে পড়ছে। যদিও প্রসঙ্গটি ব্যক্তিগত কিন্তু যে প্রসঙ্গ আলোচনা করছি সে প্রসঙ্গে এটি বলা যেতে পারে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি আমদের অনেকেরই মনঃপূত নয়। এমনকি রেনিগেড রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও সমঝোতা নয়। তিনি নির্বাচনের আগেই বলেছিলেন [১৯৯৬] হ্যাং পার্লামেন্ট হবে। ‘কম খারাপের সঙ্গে যদি সমঝোতা না করি আমি ক্ষমতায় যেতে পারব না। জামায়াত-বিএনপি তো আরো খারাপ। তাদের সঙ্গে কি সমঝোতায় যাওয়া সম্ভব? আর আমি ক্ষমতায় না গেলে কি আপনাদের দাবি পূরণ করা যাবে?’ এ কথার বলা বাহুল্য, উত্তর দিতে পারিনি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় না গেলে যে রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্তগুলো নিতে পেরেছেন শেখ হাসিনাÑ তা কি সম্ভব হতো? পদ্মা সেতু নিয়ে যে কা- হলো তা ছিল সুপারপাওয়াররা যা চায় দুর্বল দেশ তা মেনে নেবে কি নেবে না তার পরীক্ষা। এই দ্বন্দ্বে আমরা জিততে না পারলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হতো না। কিন্তু শেখ হাসিনা সে সাহস দেখিয়েছিলেন। ১৯৭১-৭২ সালে সে সাহস দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদ। হ্যাঁ, তার ফল প্রথমোক্ত দু’জন ভোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডিকটাট শেখ হাসিনা মানেননি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের এস্টাবলিশমেন্ট কখনও ভুলবে না। তারা প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু তিনি তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি। শুধু তাই নয়, নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির উদ্যোগ ও বিশ্বব্যাংকের বিপরীতে চীনের নেতৃত্বে যে ব্যাংক গড়ে উঠছে, তাতে যুক্ত হওয়া সাহস ও প্রজ্ঞার ব্যাপার। কারণ এ শতাব্দী হবে এশিয়ার। ইউরোপ বা আমেরিকার নয়। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ও সমুদ্র নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ১৯৪৭ সাল থেকে ধরলে প্রায় ৭০ বছরের। কিন্তু সেই দ্বন্দ্বও সমাধান করলেন শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত দ্বন্দ্ব আগেই মিটিয়েছিলেন। তারপর সমাধান হলো সমুদ্র বিরোধের। এ জয় অপ্রত্যাশিত। তেমনি অপ্রত্যাশিত ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বা সীমান্ত এবং সমুদ্র দ্বন্দ্বের সমাধান। ভারত যদি সমুদ্র দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য সালিশী আদালতে না যেত, তাহলে বাংলাদেশের করার কিছুই ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনার কারণে ভারত রাজি হয়েছিল। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন হবে এটি কেউ ভাবেননি। কিন্তু সেই দ্বন্দ্বও ৭০ বছর পর শেখ হাসিনাই নিরসন করেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সীমান্ত এভাবে তিনি শুধু নির্ধারণই নয়, সংরক্ষণও করেছেন। তিন. এলেন, দেখলেন, জয় করলেনÑ এ ভাগ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু বা তাঁর কন্যা জন্মগ্রহণ করেননি। এ রাষ্ট্র নির্মাণে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে আত্মত্যাগ শুধু নয়, রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁর দল ও বিরোধীদের থেকে। এবং নিজ (পরিবারেরও) প্রাণ দিয়ে তিনি তার মূল্যও দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা যখন দেশে ফেরেন, তখন তার নিকটজন কেউ এদেশে ছিলেন না স্বামী ছাড়া। বিশ্বাস করার মতো লোকও ছিল না। জেনারেল জিয়া তাঁকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরশাদ পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। সেই আমল থেকে এ পর্যন্ত তাঁকে বারবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরশাদ আমলে প্রথম তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এরশাদ পুলিশের সাহায্যে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। ঐ দিন সেখানে ৮ দলের এক সমাবেশ ছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন। বিনা উস্কানিতে পুলিশ, আর্মড পুলিশ আর বিডিআর মিছিলের ওপর গুলি চালায়। ১১ জন সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন, আহত হন ৫৬ জন। ঐ ৫৬ জনের মধ্যে পরে আরও অনেকের মৃত্যু হয়। এটি চট্টগ্রাম হত্যাকা- নামে পরিচিত। এ নিয়ে মামলা হয়েছিল। সে মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। শেখ হাসিনাও সে মামলার নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নেননি। যারা তাঁর জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের হত্যার বিচারটা তাঁর আমলে হওয়া কি জরুরী নয়? খালেদা জিয়া এবং খালেদা জিয়া ও নিজামীর আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য কয়েকবার চেষ্টা চালানো হয়। এতবার চেষ্টা হয়েছে যে তার সংখ্যা আর মনে নেই। সবচেয়ে বড় চেষ্টা ছিল টুঙ্গিপাড়া ও গুলিস্তানে। গুলিস্তানে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য খালেদা ও তার পরিবার এবং গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি জড়িত ছিল। তিনি প্রাণে বেঁচেছেন। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। কোন মামলাই নিষ্পত্তি হয়নি। এটি গ্রহণযোগ্য কোন ব্যাপার নয়। হয় শেখ হাসিনার আইনমন্ত্রীরা এ ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন না বা এখনও নন। আমরা মনে করি, তাঁর জন্য তাঁর যে সমর্থক ও কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন তাদের বিচারগুলোর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। এটি উপেক্ষা করা তার মাপের মানুষের জন্য বাঞ্ছনীয় নয়। কেননা এর সূত্রে এই রাষ্ট্রের বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ধারাটা উন্মোচিত হবে। শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় থেকেছেন, ততবারই তাঁকে অজস্র প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ দেশের সামরিক, বেসামরিক আমলাকুলের এবং এলিটদের আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি গোপন একটি বিদ্বেষ ভাব আছে। ২০০৭ সাল থেকে প্রতিকূলতার সম্মুখীন তাঁকে বেশি হতে হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই বিডিআর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তারপর খালেদা-নিজামীর জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসের রাজনীতি। হেফাজতের ঢাকা দখল চেষ্টা। মিডিয়ার বিরুদ্ধাচরণ। আন্তর্জাতিকভাবে বিরুদ্ধাচরণ। সব প্রতিকূলতা তিনি মোকাবেলা করেছেন। এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো আবার পুনর্¯’াপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু এই রাষ্ট্র গঠন ও তার কাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছিলেন, তাঁর কন্যা তা দৃঢ় করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, গত প্রায় ৪৫ বছরে শেখ হাসিনার সময়ই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধি সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কি শুধু শুধু না সঠিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ ও প্রণোদনার কারণে। বাংলাদেশ এখন যত সমৃদ্ধ গত ৫০০ বছরে তত সমৃদ্ধ ছিল না। খুব শীঘ্রই তা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। এটিও ভেবে দেখা দরকার, কেন সামরিক এবং বাংলাদেশ বিরোধীদের আমলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। গত ৯২ দিন দেশের বিরুদ্ধে অবরোধ-হরতাল চালিয়েও খালেদা কিছু করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ আমলে বা শেখ হাসিনার আমলে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, এমন বলব না। আমলাতান্ত্রিক শাসন দৃঢ় হচ্ছে। একটা উদাহরণ দিই। আগে সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো অর্থাৎ ৪০ হাজার টাকায় আমলা-শিক্ষকরা সবাই ছিলেন। বর্তমান পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবস্থান চতুর্থে। এই একটি বিষয়ই প্রমাণ করে আমলাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামরিক-বেসামরিক আমলাকুলের আধিপত্য ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়। আমরা কি পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাঙালীদের শাসন দেখিনি! (চলবে))
×