ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নেমে আসবে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৭ মে ২০১৫

২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নেমে আসবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৯ সাল নাগাদ দেশে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেক্ষেত্রে চার বছর পর দেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না বলে জানান তিনি। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা : দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতা এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক দুদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সাধারণ সভার সভাপতি ড. এ কে মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয়, জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রবি ও সোমবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ (এসডিজি)। এ বৈঠকে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও এর বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেশকিছু লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী। এর একটি হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে কোন অতি দারিদ্র্যগোষ্ঠী থাকবে না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ২০১৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নেমে আসবে। বর্তমানে এই হার ২৪ শতাংশ। মুহিত বলেন, সাধারণভাবে কোন দেশে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশে নেমে এলে সে দেশে দারিদ্র্য নেই বলে ধরে নেয়া হয়। সেদিক থেকে আর চার বছর পর বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকবে না। তবে কিছু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী, বয়স্ক নারী ও পুরুষ সব দেশেই থাকে যারা এক শ্রেণীর বঞ্চিত গোষ্ঠী, এরা সাধারণত রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে যোগ দিতে ৪৫টি দেশ থেকে মন্ত্রী, সচিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৩ জন প্রতিনিধি ঢাকায় আসছেন। এ সম্মেলনে তিনটি প্ল্যানারি সেশন ও তিনটি ইমপেক্ট সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলন শেষে একটি ঢাকা ঘোষণা তৈরি করা হবে, এটা আগামী জুলাইয়ে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠেয় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার তৃতীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্মেলনে’ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। ড. এ কে মোমেন বলেন, এসডিজির আওতায় ১৭টি গোল ও ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু শুধু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেই তো হবে না, এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। টেকসই অর্থনীতি, টেকসই সমাজ ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
×