ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুলবাড়ী থানা হাজতে আসামির মৃত্যু ॥ নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৭ মে ২০১৫

ফুলবাড়ী থানা হাজতে আসামির মৃত্যু ॥ নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ফুলবাড়ী থানা হাজতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে আনিছুর রহমান নামে এক যুবকের। ফুলবাড়ী অনন্তপুর বিজিবি তাকে মাদকসহ আটক করার ৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ১১টায় পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। পরে দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ী থানা হাজতে আনিছুরের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি আনিছুর থানা হাজতে কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দিন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ফুলবাড়ী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুড়িগ্রাম ৪৫ অনন্তপুর বিওপি’র হাবিলদার শফিকুল ইসলাম শনিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটের সময় উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের ৯৪৭/৪ এসের পিলারের নিকটে মৃত আজা বক্তর ছেলে ময়ছার আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের কৃষ্ণপুর গাড়িয়ালপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মোঃ আনিছুর রহমানকে (৩৫) ২ কেজি ৪ শ’ গ্রাম গাঁজা ও একটি বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি মোটর সাইকেলসহ তাকে আটক করে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করেন। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। আসামিকে হাজতখানায় রাখলে কিছুক্ষণ পর এসআই শফিউল আলম দেখতে পান কম্বল ছিঁড়ে গলায় পেঁচিয়ে দরজার গ্রিলে ঝুলে আছেন। তাকে দ্রুত ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাঃ এফতেখার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফুলবাড়ী হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ইফতেখার জানান, হাসপাতালে আসার আগেই আনিছুরের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষা করলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের মা আনোয়ারা বেগম জানান, আনিছুর ছিল চাল ব্যবসায়ী। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ফুলবাড়ীতে পাওনা ২৪ হাজার টাকা আনতে যায়। এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানায় সে ফিরছে। এর পর থেকে আর কোন খবর পাচ্ছিলেন না তারা। তার দাবি বিজিবি ও পুলিশ মিলে তার সন্তানকে হত্যা করেছে। স্ত্রী জুঁই জানায়, একটা ফোন পেয়ে সে ফুলবাড়ীতে যায়। শুনেছি পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছে। পুলিশ তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এর বিচার চান। আর তাদের আড়াই বছর বয়সী এক মাত্র পুত্র জিম শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে দেখছে বাড়িতে এত মানুষের আনাগোনা।
×