ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় আড়াই মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৭ মে ২০১৫

নেত্রকোনায় আড়াই মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৬ মে ॥ অপহরণের প্রায় আড়াই মাসেও বারহাট্টা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর সংখ্যালঘু ছাত্রী শিল্পী রানী দাসকে (১৫) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার করতে পারেনি অপহরণের দায়ে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক দোস্ত মোহাম্মদ খানকেও। এমনকি অদ্যাবধি তাকে সাসপে- পর্যন্ত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। অপহৃতার পরিবারের অভিযোগ, বারহাট্টা উপজেলার রায়মাধম গ্রামের নিখিল চন্দ্র দাসের মেয়ে শিল্পী রানী দাস গত ৪ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দোস্ত মোহাম্মদ খান (বিবাহিত) তাকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার পর (৭ মার্চ) নিখিল চন্দ্র দাস এ বিষয়ে বারহাট্টা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বারহাট্টা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং নারী সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা গত ১৮ মার্চ উপজেলা সদরে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু অদ্যাবধি অপহৃতাকে উদ্ধার এবং দোস্ত মোহাম্মদ খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া অপহরণ এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষক দোস্ত মোহাম্মদ খানকে সাসপে- করা হয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় এক মাস আগেও জনকণ্ঠকে একই কথা জানিয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। অভিযোগ ওঠেছে, একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে। তারা অপহৃতার পরিবারকেও নানা ধরনের চাপ দিচ্ছে। বারহাট্টা থানার ওসি মোঃ সালেমুজ্জামান শনিবার জানান, অপহৃতাকে উদ্ধার এবং কথিত অপহরণকারীকে গ্রেফতারের জন্য কয়েক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত আছে। শরীয়তপুরে শিশু পার্কের জমি দখল করে ঘর তৈরি নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৬ মে ॥ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে প্রস্তাবিত শিশুপার্কের জমি দখল করে ভাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। তবে তিনি কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে জানিয়েছেন। এলাকাবাসী ও নড়িয়া পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নড়িয়া বাজারের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে শিশুপার্ক (প্রস্তাবিত) তৈরি করার জন্য নড়িয়া মৌজাধীন প্রায় এক একর খাসজমি পৌরসভার উদ্যোগে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এখানে একটি শিশুপার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। এদিকে নড়িয়া পৌরসভার বারইপাড়া গ্রামের আদম আলী শেখের পুত্র ছাবেদ শেখ প্রস্তাবিত ওই শিশুপার্কের দক্ষিণ পাশের প্রায় ১০ শতাংশ জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে ছাবেদ শেখ বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হারুন-অর-রশীদের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছি। গত বছর নিজের নামে মিউটেশন করেছি। আমি খাসজমি দখল করিনি। আমার ক্রয় করা জমিতে আমি ঘর উত্তোলন করছি। নড়িয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ হায়দার আলী জানান, ছাবেদ শেখের দখল করা জায়গাটি খাস। আমরা নড়িয়ায় একটি শিশুপার্ক করার জন্য নড়িয়া মৌজাধীন ওই জমিতে পৌরসভার উদ্যোগে বালু দ্বারা ভরাট করেছি। শিশুপার্ক করার জন্য এ ব্যাপারে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। জমি দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিরা বেগম জানান, আমি বিষয়টি জানি না। আমি তহসিলদারকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। জমি দখলদারদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×