ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি গিটারবাদক বি বি কিং আর নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৬ মে ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি গিটারবাদক বি বি কিং আর নেই

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ গিটারবাদক ও গায়ক বি বি কিং আর নেই। বিশ্বজোড়া ভক্তদের কাছে যিনি ছিলেন ‘কিং অব দ্য ব্লুজ’। তার আইনজীবীর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে লাস ভেগাসে নিজের বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ‘লুসিল’, ‘সুইট ব্ল্যাক এ্যাঞ্জেল’ আর ‘রক মি বেইবি’ গানসহ অসংখ্য গানের জন্য বিখ্যাত এই শিল্পী। বলা হয়, বি বি কিংয়ের গিটারেই ব্লুজ সঙ্গীতধারা কালো আমেরিকানদের গানের আসর থেকে মূলধারায় আসে। একপর্যায়ে এরিক ক্ল্যাপটন, স্টিভ রেসহ রকশিল্পীদের পুরো একটি প্রজন্মকে তিনি প্রভাবিত করেন নিজের আলোয়। নিজের প্রিয় গিবসন গিটারকে আদর করে বি বি কিং ডাকতেন লুসিল নামে। সেই গিটারের তারেই তিনি এক সুরে বেঁধেছেন জ্যাজ আর ব্লুজ। মৃত্যুর কিছু দিন আগে পর্যন্ত বছরে এক শ’টির বেশি কনসার্ট মাতাতে দেখা গেছে এই শিল্পীকে। সম্প্রতি ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতা নিয়ে বি বি কিংকে হাসপাতালে যেতে হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরলেও অল্প দিনের মধ্যেই সঙ্গীত বিশ্বকে তিনি চিরবিদায় জানালেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে জন্ম নেয়া কিং মঞ্চে গিটার বাজানো শুরু“ করেন গত শতকের চল্লিশের দশকে। সাবেক এই খামারকর্মী জীবনের পঞ্চদশ গ্র্যামিটি ঝুঁলিতে ভরেন ২০০৯ সালে, ‘ওয়ান কাইন্ড ফেভার’ এ্যালবামের জন্য। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন তাদের সর্বকালের সেরা ১০০ গিটারবাদকের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে জিমি হেন্ড্রিক্স ও ডুয়ান অলম্যানের পরেই ছিল বি বি কিংয়ের নাম। ব্লুজ ফাউন্ডেশন হল অফ ফেম এবং রক এ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন একই সঙ্গে। সঙ্গীত জীবনের শুরুর দিকে মূলত কৃষ্ণাঙ্গরাই ছিল বি বি কিংয়ের শ্রোতা। কিন্তু হৃদয়াহী কণ্ঠ আর মেধা তাকে সত্বরই পৌঁছে দেয় বিশ্বজোড়া আরও বহু শ্রোতার কাছে, তার গান উঠে আসে টপ চার্টে। এরিক ক্ল্যাপটন ও স্টিভ মিলারের মতো কমবয়সী শিল্পীদের সঙ্গে কাজের মধ্য দিয়ে ১৯৬০ এর দশকে নতুন এক প্রজন্মের শ্রোতাদের সঙ্গে পরিচিত হন কিং। সে সময় তার ‘দ্য থ্রিল ইজ গন’ দারুণ জনপ্রিয় হয়। এরপর আসে ‘লাইভ এ্যাট কাউন্টি কুক জেইল’ ও ‘বি বি কিং ইন লন্ডন’-এর মতো এ্যালবাম। ব্রিটিশ ব্যান্ড ইউটুর সঙ্গে কাজের মধ্য দিয়ে আশির দশকের শেষভাগে আবারও আলোচনায় আসেন বি বি কিং। আর নতুন শতকের শুরুতে কিংয়ের বয়স যখন ৭৫, ক্ল্যাপটনের সঙ্গে তার ‘রাইডিং উইথ দি কিং’ দারুণ ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘দি হিস্ট্রি অফ দ্য ব্লুজ’ বইয়ে সঙ্গীত সমালোচক ফ্রান্সিস ডেভিস লিখেছেন, ‘আজ ব্লুজ আর কিংয়ের নাম যেন সমার্থক; যেমনটি ছিল লুই আর্মস্টং আর জ্যাজ। কিংকে শুনতে হলে আপনাকে ব্লুজভক্ত না হলেও চলবে।
×