ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিমানবন্দর না স্বর্ণখনি?

সম্পাদক সমীমে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীমে

এ কথা আমরা সবাই জানি যে, বাংলাদেশে কোন স্বর্ণের খনি নেই। কিন্তু দেশে যে হারে শাহজালাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে এবং কিছু কিছু চালান মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে তাতে মনে হয় বাংলাদেশের এ দুটি বিমানবন্দর যেন স্বর্ণের খনি। সোনা চোরাচালানের নিরাপদ ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিচিত হচ্ছে বাংলাদেশের দুই বিমানবন্দর। আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালানকারী চক্র বাংলাদেশকে এখন তাদের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারতে সোনার আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় চোরাই পথে এ দেশ দিয়ে সোনা পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান দুটি বিমানবন্দর সোনা চোরাকারবারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় দুর্নীতিবাজ কমকর্তার যোগসাজশে হাজার হাজার কোটি টাকার সোনার বার আসলেও ধরা পড়ছে দশ ভাগের এক ভাগ। বিভিন্ন সংস্থার কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও দেশী-বিদেশী চোরাচালান সিন্ডিকেটের সাহায্য-সহযোগিতায় হযরত শাহজালাল (রাঃ) ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরকে চোরাকারবারিরা তাদের চোরাচালানের নিরাপদ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। অবৈধভাবে অবাধে সোনা চোরাচালানের কারণে সরকার শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই সুযোগে রাতারাতি বিশাল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চোরাচালানকৃত সোনার বিনিময়ে দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। অনেক সময় চোরাকারবারিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বনিবনা না হলে মাঝে মধ্যে দু’একটি চোরাচালান আটকের নাটক করা হয়। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় সমস্ত চোরাকারবারিরা ও সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশকে তাদের আখড়ায় পরিণত করে ফেলবে। সোনার বাংলা তামা হয়ে যাবে। স্বর্ণের পাশাপাশি মাদকের ট্রানজিট হিসেবেও বাংলাদেশকে ব্যবহার করবে। নজরুল ইসলাম লিখন ষরশযড়হধষরভব@মসধরষ.পড়স। রাজনীতি যার যার মেয়র সবার সদ্য নির্বাচিত তিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের প্রতি শুভাশিস। লাখ লাখ ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির শপথ নেয়ার পর তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তারা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এখন নগরবাসী অপেক্ষা করছেন তারা কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সঙ্গে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অতীতেও নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে জনগণের বিপক্ষে কাজ করে অর্থ আত্মসাত করে নগরবাসীকে দুর্ভোগের মধ্যে পতিত করেছে। সরকারের শত শত কোটি টাকা নষ্ট করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে থাকা নতুন মেয়রদের প্রতি নগরবাসীর দাবি, আপনারা রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধে গিয়ে এমন জনকল্যাণমূলক কাজ করুন যাতে আপনাদের পরবর্তী মেয়ররাও এসে সেই নীতির আলোকে নগরবাসীর জন্য কাজ করে যেতে পারেন। ঢাকা দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন শপথ নেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে একটি চমৎকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনীতি যার যার, মেয়র সবার। তিন মেয়রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, তারা যেন সত্যি সত্যি নগরবাসীর যথার্থ মেয়র হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকেন। কাজী নুরুল আমিন কলেজ রোড, মুন্সীগঞ্জ। গ্যাস সরবরাহ আমাদের গ্যাসের মজুদ সীমিত। এখন গ্যাসের যেখানে অবকাঠামো আছে, শুধু সে সব এলাকায়ই দীর্ঘকাল গ্যাস সরবরাহ করা কঠিন। সে ক্ষেত্রে নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন- গ্যাস সঙ্কটের এই দেশে নতুন পাইপলাইন স্থাপন করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। রাজশাহীতে হাজার কোটি টাকা খরচ করে পাইপলাইন স্থাপন করে গ্যাস দেয়া হয়েছে হাতেগোনা কয়েকজনকে মাত্র। নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশের গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। বছরে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট। আর বাংলাদেশে মজুদ আছে মাত্র ১৫ ট্রিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি না করলে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। খুলনাতে গ্যাসের পাইপলাইন নিতে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু দেখা গেছে, যে সকল স্থানে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে সে সকল স্থানে সারাদিনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রেখে গ্যাস অপচয় করে বিল দিতে হয়েছে মাসে মাত্র পাঁচ শ’ টাকা। অথচ এক সিলিন্ডার এলপি গ্যাসের দাম নেয়া হয় ১৪০০-১৫০০ টাকা। সুতরাং আমার মতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ না করে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরি করে হোক অথবা কিনে এনে গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে রেশন কার্ডের মাধ্যমে বছরে পরিবার পিছু ৮-১০টি সিলিন্ডার গ্যাস নির্ধারিত দামে সরবরাহ করলে গ্যাসের সাশ্রয় হবে আর সরকারও বাড়তি টাকা গ্যাস বাবদ লাভ করতে পারবে। তাতে দেশে জ্বালানি সঙ্কট থাকত না। আর যে গ্যাস মজুদ আছে তা দিয়ে ২৫-৩০ বছর চালানো যেত। জনগণ জ্বালানি সঙ্কট থেকে রেহাই পেত। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া। অপরাধীদের কৌশল পরিবর্তন বারো আউলিয়ার পবিত্র ভূমি চট্টগ্রামে একের পর এক বিভিন্ন অপরাধে মানুষ হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী নির্যাতন ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েই চলেছে। ইদানীং ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, খুনীচক্র রিকশার ড্রাইভারবেশে ছিনতাই করার জন্য নারীকে ব্যবহার করছে। এসব নারী রাস্তায় পুরুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, গালিগালাজ করে, যাতে পুরুষ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করে। মারামারি, বাড়িঘর লুটপাট করে গা-ঢাকা দেয়। এরা তাদের নেতাদের কাছ থেকে আরও অসংখ্য অপরাধের কৌশল ট্রেনিং নিচ্ছে। তাই অপরাধীর অপরাধের কৌশল দ্রুত পরিবর্তন সম্বন্ধে সতর্ক থাকার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পলাশ চট্টগ্রাম। বুকের দুধে শিশুর পুষ্টি আজকের শিশু আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত। সদ্যজাত শিশুটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তাই প্রতিটি শিশুর রয়েছে সুস্থ সবলভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। আর শিশুর এ অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। সুস্থ সবল শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। তাই শিশুকে সঠিক নিয়মে ও সঠিক মেয়াদে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর পর মায়ের বুকের প্রথম দুধ থাকে শাল দুধ বা কলেস্ট্রোম বলা হয়, যাতে রয়েছে শিশুর জন্য অফুরন্ত প্রাণশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যে দুধকে শিশুর প্রথম টিকা বলা হয়। এ থেকে শিশুকে কোনভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। তাছাড়া শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধুই মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় পানিও প্রয়োজন নেই। ছয় মাস পর থেকে শিশুকে বাড়তি খাবারসহ পুরো দু’বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় দুগ্ধবতী মায়েরও যতœ নিতে হবে। কারণ সুস্থ মা সুস্থ শিশু। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুই মায়ের দুধ খাওয়ান এর হার ৬৪%। আর ৩৬% এখনও এর বাইরে রয়েছে। মায়ের দুধ শিশু মৃত্যু কমায়, রোগ প্রতিরোধক। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা তৈরিতে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধে ইমিউনোগ্লোবিন ও টরিন নামক উপাদান শিশুর বুদ্ধিমত্তা ও মস্তিষ্ক গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিশুর জন্য মায়ের দুধ নিরাপদ, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান। এক কথায় মায়ের দুধে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা শিশুর জন্য খুবই উপকারী। শ্যামল চৌধুরী মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের দেশের সমস্যার শেষ নেই। অনেক সমস্যার মধ্যে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়টিই প্রকট। বর্তমানে বিশেষ করে ঢাকা শহরে যানজট নিয়ে যদি কথা বলি, বলতে হবে কর্মস্থলে যেতে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আবার অফিস ছুটির পরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা জনজীবনকে অসুস্থ করছে। কর্মব্যস্ত মানুষের তুলনায় বাসের সংখ্যা যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারকে এককভাবে দোষ দেয়া যায় না। এ ব্যাপারে আমার কিছু অভিমতÑ নির্ধারিত সিটের অতিরিক্ত যাত্রী বাসে নেয়া বর্জন করা, বাসের সিটগুলোর একসারি মহিলাদের আর অন্যসারি পুরুষদের হওয়া উচিত। কারণ কর্মব্যস্ত মহিলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কোন কোন বাসে দেখা যায় মহিলা সিটে পুরুষ বসে আছে, মহিলা যাত্রী এলেও তারা সিট ছেড়ে দিচ্ছে না। তখন হেলপারকে রাখালের ভূমিকা পালন করতে হয়। আবার মহিলা সিটের পাশে মহিলা সিট কথাটা লেখা থাকে না, অর্থাৎ সুশৃঙ্খল পরিচালনার অভাবে বাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কিছু কিছু বাস চালক, হেলপার এবং যাত্রীর রূঢ় আচরণ সাধারণ যাত্রীকে অসুস্থ করে তোলে। এই রূঢ়ভাব দূর করার জন্য বাসে ও স্টপেজে ধর্মীয় বাণী, মনীষীদের বাণী প্রচারের ব্যবস্থা মানুষের মনে নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে। ট্রেন-লঞ্চেও একই ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ট্রেনেও একই অবস্থা দেখা যায়। ট্রেনে মহিলা ও পুরুষ সিটের সুষ্ঠু বণ্টনের অভাব রয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা যায়। এই ব্যবস্থার আরও উন্নত হওয়া দরকার। যেসব রুটে ট্রেন চালু করা যায় তা অতিসত্বর বাস্তবায়ন করলে সারাদেশ যানজটের কবল থেকে মুক্ত হবে। সেই সঙ্গে রেলচালক, বাসচালক, লঞ্চচালক এবং তাদের সহযোগীকে ট্রাফিক আইনের/সিগন্যালের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং যাত্রীর প্রতি সেবামূলক আচরণের ওপর কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনাম দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি বাসের কাউন্টার সিস্টেম করা এবং দুটো সারি মহিলা পুরুষদের জন্য সমবণ্টন যানজট দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজী কোহিনূর বেগম তিথি ঢাকা। সমুদ্রে ভাসছে মানুষ একটু সুখের আশায়, ভালভাবে বেঁচে থাকার আশায়, মানুষ পাড়ি জমাতে চায় দূরদেশে। মানব পাচারকারীরা তাদের সেই সুযোগটাই নিচ্ছে। দশ-পনেরো হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে তারা এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত হাজার হাজার মানুষকে ট্রলারযোগে সমুদ্রের মাঝপথে নিয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অপরাধী সংগঠনের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর এই অর্থের পুরো লেনদেন হচ্ছে মালয়েশিয়াতে। সম্প্রতি বিবিসিতে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কিছুদিন ধরে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে মানব পাচারকারীদের নৌযান থেকে হাজার হাজার বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের রবার বাগান থেকেও শত শত বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা করেছে। আবিষ্কৃত একাধিক গণকবর থেকে অসংখ্য মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মূলত বেশি আয়ের লোভে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য দালালদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সমুদ্র উপকূলে হাজার হাজার বাংলাদেশী উদ্ধার হওয়ার পর সরকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভাগগুলোকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলের মানব পাচারকারী দলের নেতাদের চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আশা করছে, তারা যেন উপকূলীয় জেলাগুলোতে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এই চিরুনি অভিযান অব্যাহত রাখে। আমরা আর সংবাদ মাধ্যমে অকূল দরিয়ায় ভেসে থাকা হাজার হাজার ভাগ্যবিড়ম্বিত বাংলাদেশেীর মুখ দেখতে চাই না। এভাবে সাগরে মানবতা ভাসতে থাক এটাও আমরা প্রত্যাশা করি না। নুরুদ্দিন সাভার, ঢাকা। বেতার কেন্দ্র চাই বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগর ছিল অস্থায়ী বাংলাদেশের রাজধানী। মুক্তিযুদ্ধকালে যে জেলার অবদান সবচেয়ে বেশি অথচ সে জেলায় বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্র নেই বিষয়টি ভাবতেই কষ্ট হয়। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করলে কুষ্টিয়া জেলা খুলনা বিভাগের একেবারেই শেষপ্রান্তে অবস্থিত, খুলনা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান মোটামুটি শোনা গেলেও রাজশাহী বেতার কেন্দ্র, ঢাকা ‘খ’, অপরদিকে পশ্চিম বাংলার কলকাতা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনা যায় একেবারেই অস্পষ্ট। এ কারণে এ জেলায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরী। এখানে বেতারের একটি কেন্দ্র স্থাপন করলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও এর আশপাশের জেলা থেকে বহু প্রতিভা তৈরি হবে। সরকারও বিপুল পরিমাণে রাজস্ব অর্জন করতে পারবে। কুষ্টিয়া জেলায় অনেক স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তির জন্মস্থান। জাতীয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, উপমহাদেশের প্রখ্যাত লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন, লালনকন্যা খ্যাত সালমা, বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এসআই টুটুল, বিশিষ্ট গীতিকার মিল্টন খন্দকারসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর বাড়ি এই কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত। বর্তমান তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের বাড়িও এ জেলায়। কুষ্টিয়া জেলা খুবই অবহেলিত। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু কুষ্টিয়া জেলায় উন্নতির ছোঁয়া কমই লাগে। বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় বসবাস করেও আমরা এর সুবিধাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। আমরা বেতারের পরিপূর্ণ সুবিধা উপভোগ করতে চাই। মেহ্নাজ জেরিন সাফা নিউটাউন, কুষ্টিয়া।
×