ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৫ মে ২০১৫

ঝলক

পাগড়ির বদলে ‘হেলমেট’ ইচ্ছে ছিল ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাবেন। পূরণও হয়েছিল সেই ইচ্ছে। কিন্তু এই রাজকীয় ইচ্ছে কি আর দলিতদের মানায়? দলিত ছেলের এমন ইচ্ছা মানতে পারেনি সমাজের উচ্চ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই দলিত বরকে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যেতে দেখে ঢিল ছুড়তে শুরু করে তারা। কিন্তু শেষমেশ সমাজপতিদের বর্বরোচিত এই কা-ের কাছে মাথা নত না করে আত্মরক্ষার্থে পাগড়ির বদলে ‘হেলমেট’ পরে বিয়ে করতে গেলেন বর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাতলাম জেলার নেগরুন গ্রামে। দলিত সম্প্রদায়ের ওই বরের নাম পবন মালব্য। আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত এখন সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষের দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে নিচু শ্রেণীর মানুষ। এ বিষয়ে মামলা নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। আর আসামি করা হয়েছে ৭০ জনকে। মানেকা গান্ধীর চড়? ক্ষমতার দাপটে মানুষ কখনও কখনও সীমা অতিক্রম করে যায়। সাম্প্রতিক উদাহরণ ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুরানপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে মানেকা দেখতে পান, বনের কাছে অবস্থিত গমক্ষেতে আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তলব করেন সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা রুপলালকে। এরপর আগুন লাগার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় অভিযোগে রুপলালকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এরপর রুপলালের গায়েও হাত তোলেন মানেকা। এ ঘটনায় রুপলাল সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করেছেন। যদিও এ নিয়ে কোন এফআইআর হয়নি। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক ও উত্তর প্রদেশ সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াজ আহমেদকেও বিষয়টি জানিয়েছেন রুপলাল। বেকসুর খালাস হিসাবের ভুলে! জয়ললিতা জয়রাম। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সাবেক মুখমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় রাজনীতির এক প্রতাপশালী চরিত্রও বটে। নিজেকে ‘খাঁটি সোনা’ বলেও দাবি করেন। তবে এ ‘খাঁটি সোনা’ কতটা খাঁটি তা নিয়ে বরাবরের মতো আরও একবার প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির অসঙ্গতির মামলায় সম্প্রতি মুক্তি পান জয়ললিতা। তবে মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মামলার রায় নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকে এ রায়কে নজিরবিহীন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। এই মামলার অভিযোগকারী সুব্রহ্মন্যম স্বামী ও কর্নাটক হাইকোর্টে মামলার সরকারী আইনজীবী বি ভি আচার্য দাবি করেছেন, স্রেফ পাটিগণিতের ভুলে জয়ললিতাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। সুব্রহ্মন্যম স্বামী আরও দাবি করেন, জয়ললিতার সম্পদের হিসাবে অসঙ্গতি রয়েছে। এই অঙ্ক ১১ কোটি টাকা হলেও যোগফলে তা ২৪ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এটা কি স্রেফ করণিক ভুল, না ইচ্ছাকৃত ভুল। এ নিয়েও বেশ সরব জয়ললিতাবিরোধীরা। তারা দাবি করছেন, এ ভুলই জয়ললিতাকে খালাস পেতে সাহায্য করেছে। তবে হাল ছাড়তে চান না সুব্রহ্মন্যম। ঘোষণা দিয়েছেন এ ‘ভুল’কে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাবেন সুপ্রীমকোর্টে। অবিশ্বাস্য ভুল! ‘ভুল’ সব সময় ভুলই। সেটা ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক। আর এই ভুলের কারণে কখনও কখনও সৃষ্টি হয় বড় সমস্যার। তেমনই ভুল হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি পাসের ক্ষেত্রেও। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ লোকসভায় বিলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য সদস্যদের প্রতি জানিয়েছিলেন আকুল আবেদন। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে লোকসভার সকল সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু ব্যতিক্রম সুষমা নিজেই! অর্থাৎ বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, ভুলবশত লাল বোতামে চাপ দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তা সংশোধন করেও নেন তিনি। স্থল সীমান্ত চুক্তিসংক্রান্ত ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়ায়ও ভুল ছিল। ভুলটি ছিল ক্রমিক নম্বরের। এটি হওয়ার কথা ভারতের সংবিধানের ১০০তম সংশোধনী। কারণ এর আগে ৯৯টি সংশোধনী অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু ভুল করে বিলটির ক্রমিক নম্বর দেয়া হয়েছিল ১১৯। আর এতেই দেখা দিয়েছিল বিপত্তি। এ ভুলটি প্রথমে নজরে এসেছিল ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর। একে তিনি অবিশ্বাস্য ভুল বলে আখ্যা দেন। পরে অবশ্য আবার বিলটির ভুল শুধরে তোলা হয় রাজ্যসভায়। সেখানে আবার পাস হয় বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে।
×