ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাথাপিছু আয় বেড়ে ১,৩১৪ ডলার

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৫ মে ২০১৫

মাথাপিছু আয় বেড়ে ১,৩১৪ ডলার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। এখন এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার? গত বছর ছিল ১ হাজার ১৯০ ডলার? গত প্রায় এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১২৪ ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত এক বছরের বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাথাপিছু আয়ের হিসাব নমিনাল মূল্যের ভিত্তিতে করা। নমিনাল মূল্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫৮তম। অন্যদিকে, ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ১৯০ ডলার। এ হিসাব একটি দেশের স্থানীয় মুদ্রায় জনগণের ক্ষয়ক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে করা। এ হিসেবে এ দেশের অর্থনীতি বিশ্বে ৩৬তম। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশে মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১১৯০ ডলার থেকে বেড়ে ১৩১৪ ডলার হয়েছে। পারচেজিং পাওয়ার প্যারাইটির (পিপিপি) ভিত্তিতে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৯০ ডলার।’ উল্লেখ্য, মাথাপিছু আয় হচ্ছে নির্দিষ্ট বছরে একটি দেশের উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাসমূহের মোট পরিমাণকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ফল। প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ॥ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে। চলমান বাজেটে এ বছর ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। বছরের একটা বড় অংশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে এ বছর প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, জ্বালাও-পোড়াও না হলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারতাম। তা সত্ত্বেও ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও কম নয়। গত অর্থবছর শেষে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হলেও চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে ৬ দশমিক ০৬ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি বাজার মূল্যে বর্তমানে দেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘টানা ছয় বছর ৬ এর উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৃথিবীর মাত্র চারটি দেশ অর্জন করতে পেরেছে। সম্মিলিত প্রয়াসে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এদেশের ব্যবসায়ী সমাজ অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি। এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বেশ কিছু সিএনজি ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন। তাদের আত্মাহুতির বিনিময়ে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।’
×