ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বন্যা শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙ্গন ॥ বাঁধ হুমকিতে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৪ মে ২০১৫

বন্যা শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙ্গন ॥ বাঁধ হুমকিতে

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বন্যা মৌসুম শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জের উজানে এবং ভাটিতে প্রমত্তা যমুনায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জের উজানে সদর উপজেলার শিমলা, ইটালী, বালি ঘুগরী এবং ভাটিতে চৌহালী উপজেলার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৭ দিনে শিমলা, ইটালী, বালি ঘুগরী এলাকাসহ সাত গ্রামের কমপক্ষে দু’বর্গ কিলোমিটার এলাকার আবাদী জমি ও বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাটিতে চৌহালী উপজেলার পাতরাইল, হাটাইল এবং চৌবাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায় গত বছর নির্মিত পানি উন্নয়ন বিভাগের রিটায়ার্ড বাঁধও হুমকির সম্মুুখীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্তমান বাঁধের পশ্চিমে আরও একটি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে আগামী বর্ষায় গোটা সিরাজগঞ্জ ল-ভ- হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পানি উন্নয়ন বিভাগ এ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম প্রিন্স বুধবার সকালে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমও উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশিষ্ট পানি উন্নয়ন বিভাগের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। রাজবাড়ীর এক অসহায় পরিবারকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী, ১৩ মে ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামে অসহায় এক পরিবারকে মারধর করে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে প্রভাবশালীরা। পরিবারটি এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় মানবেতর দিনাতিপাত করছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী এলিজা খাতুন বলেন, ১৯৯৮ সালের ৭ জানুয়ারি ২৬ শতাংশ জমি ক্রয়ের পর ছাহাম বণ্টকসূত্রে জমির উত্তরাংশে আমি পরিবারপরিজন নিয়ে বসবাস করছি। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামী আমাকে ও চার সন্তানকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। এরপর কোনমতে দিনমজুরি করে সংসার চালাই। এক বছর আগে এলাকার প্রভাবশালী সাহেদ সেক প্রচার করে আমার স্বামী আবজাল সরদার তাকে হেবা দলিল করে দিয়েছে। এরপর থেকেই সাহেদ সেক আমাকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছিল। হুমকির মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট বালিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। মামলা দায়েরের পর থেকে সাহেদ সেক আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। গত ৬ মার্চ সাহেদ তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর ও আমাদের পরিবারের সকলকে বেদম মারধর করে। এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। ওইদিন যাবার সময় সাহেদ সেক বলে যায়- আমাদের খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। এ ঘটনায় গত ৯ মার্চ আমার ছেলে সুজন আদালতে মামলা করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে সাহেদ সেক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে। এখন আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। তিনি অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রতিকার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলিজা খাতুনের ছেলে সুজন (২৫), আলাহী (১৫), আলামিন (৭) ও নাতনি অনামিকা (৫)।
×