ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতীয় ঋণে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ মে ২০১৫

ভারতীয় ঋণে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতীয় ঋণে ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহের লক্ষ্যে দুটিসহ ৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনুমোদিত ৯টি প্রস্তাবের মধ্যে ৪১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি ক্রয় প্রস্তাব এবং ৩টি ভেরিয়েশন প্রস্তাব রয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় ঢাকা-টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডবল ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ডিটেইল্ড ডিজাইন ও নির্মাণ কাজ সুপারভিশনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘আর্ভি এ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যান্ড কনসালট্যান্টস’ এবং ‘আয়েশা ইঞ্জিনিয়ারিং’। এ কাজে ব্যয় হবে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিনি জানান, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সন) এবং এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন মুদ্রণ কাগজ ও ১২০০ মেট্রিক টন কার্টিজ কাগজ ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ খাতে ব্যয় হবে ১০০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ১৭টি লটে এ কাগজ সরবরাহ করবে টি কে কেমিক্যাল ও এমএএফ নিউজ পেপার। এ ছাড়া ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সন) এবং এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের ৯ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৫ কপি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ (কাগজসহ), বাঁধাই ও সরবরাহের পৃথক আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ১৩০টি লটে এ বই সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি এ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন’-এর সম্প্রসারণে দুই বেজমেন্ট ও আনুষঙ্গিক সেবা সুবিধাসহ ১৪তলা ফাউন্ডেশনবিশিষ্ট ১২তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হবে ১০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে যৌথভাবে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ও জে কে বিল্ডার্স। ‘কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’-এর সহায়তায় ‘তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর প্রথম অংশ’ (শাহ আমানত সেতু) নির্মাণে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অব্যয়িত তহবিল দ্বারা দ্বিতীয় অংশ নির্মাণ কাজের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে এবং মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বৈঠকে তিনটি কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজের (ডব্লিউআই-৪) আওতায় ত্রিশালের রায়মনি থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ২৭ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন অর্ডার-১ অনুমোদন দেয়া হযেছে। এ কাজে ৪ কোটি টাকা ব্যয় কমে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২৬২ কোটি টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজের প্যাকেজ নম্বর-৫ এর বাতিশা বাজার (চেইনেজ ১২৫+২৬৭) থেকে মহিপাল বাজার (চেইনেজ ১৪৫+২৬৭) পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ চুক্তির ভেরিয়েশন অর্ডার-১ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজে ১১ কোটি টাকা ব্যয় কমে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ১৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাগভ নেট প্রকল্পের আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে অতিরিক্ত সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং এ্যান্ড কমিশনিং অব পাবলিক নেটওয়ার্ক টু কানেক্ট গবর্নমেন্ট এনটিটিজ এ্যান্ড প্রোভাইড এ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস কাজের চুক্তি সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
×