ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাস দমনে আসছে আইন

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ১৪ মে ২০১৫

সন্ত্রাস দমনে আসছে আইন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার দেশে উগ্রবাদ দমনের জন্য সরকারের হাতে নতুন ক্ষমতা দিয়ে নয়া আইন তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ২৭ মে পার্লামেন্টে রাখার নির্ধারিত ভাষণে ওই বিলের উল্লেখ থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে জানাবেন। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। বিলটিতে নতুন অভিবাসন বিধিমালা, চরমপন্থীদের ব্যবহৃত ভবনাদি বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা এবং তরুণদের উগ্র মতবাদে দীক্ষিত করতে সচেষ্ট এমন ব্যক্তিদের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়ার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রস্তাবগুলো মার্চ মাসে গত পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু কনজারভেটিভরা সেগুলোর পক্ষে তাদের তৎকালীন লিবারেল ডেমোক্র্যাট কোয়ালিশন অংশীদারদের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে কনজারভেটিভদের ইশতেহারে সেগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হয়। কোন কোন পরিকল্পনায় জনগণের বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, এ যুক্তিতে নয়া পার্লামেন্টে সেগুলোর কিছুটা বিরোধিতা করা হতে পারে। বিবিসির সংবাদদাতা ড্যানিশ এ কথা জানান। ওই সব প্রস্তাবে কোন চরমপন্থী ব্যক্তির ক্ষতিকারক তৎপরতা সীমিত করার লক্ষ্যে আদালতের কাছে কোন নির্দেশ চাওয়ার ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হবে। ‘ক্ষতিকারক’ বলতে প্রকাশ্য বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি, হয়রানি, ভীতি বা দুর্দশার ঝুঁকি বা হুমকির গণতন্ত্রের কার্যকারিতার প্রতি হুমকি সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত হবে। লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে যারা ঘৃণা ছড়ায় ও উস্কে দেয়, কেবল তাদেরই নয়, গণতন্ত্র উৎখাত করার উদ্দেশ্যে যারা ক্ষতিকারক কার্যকলাপ চালায় তাদের ধরাও বিলটির উদ্দেশ্য। কোন প্রস্তাবিত প্রকাশনা প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না এ রকম প্রকাশনা ওয়েবে ও সামাজিক মিডিয়ায় বা ক্ষুদ্রাকারের প্রচারের আগে তা পুলিশের কাছে জমা দেয়ার বিধান করা যাবে। বিলটিতে প্রকাশ্য স্থানে ঘৃণা ছড়িয়ে ভাষণ দেয়, কিন্তু যাদের তৎপরতা কোন সন্ত্রাসী দলের হিসেবে নিষিদ্ধ হওয়ার মতো নয় এমন চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ থাকতে পারে। কনজারভেটিভ পার্টির গত বছরের সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসার দেয়া বিস্তারিত বর্ণনা অনুযায়ী এরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে, যদি কোন দল ধর্মীয় বা বর্ণগত বিদ্বেষ ছড়াতে বা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বলে মন্ত্রীদের বিশ্বাস করার মতো কারণ থাকে বা যদি জনসাধারণকে সহিংসতা, প্রকাশ্য বিশৃঙ্খলা, হয়রানি বা অন্যান্য অপরাধজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা জরুরী হতে দেখা দেয়। কোন সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এর সদস্য হওয়া বা এতে অর্থ যোগান দেয়া ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। একই কারণে ব্যক্তিদের কার্যকলাপও সীমিত করা যেতে পারে। বিলটিতে যেখানে চরমপন্থীরা অন্যদের প্রভাবিত করতে চায় মসজিদসহ এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়ার নতুন ক্ষমতাও সরকারকে দেয়া হবে। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের স্বার্থে তহবিল তছরূপ করে এমন দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিলুপ্ত করে দেয়ার আরও ক্ষমতা চ্যারিটি কমিশনকে দেয়া হবে। সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অফকম চরমপন্থী বিষয়বস্তু প্রচার করবে এমন চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারবে।
×