ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১৪ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

দোষের নয় ছাত্ররাজনীতি দোষের কিছু নয়, তবে এর জন্য ছাত্রদের লেখাপড়া শেষ করতে হবে। যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রাজনীতি করা উচিত। লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাজনীতির প্রতি দুর্বল হওয়া মোটেই সমীচীন নয়। ছাত্ররা যদি রাজনীতিতে না আসে, তবে আমরা আগামী দিনের সৎ, যোগ্য এবং ভবিষ্যত কা-ারী কিভাবে তৈরি করব? বর্তমান অবস্থায় আমাদের অসৎ রাজনৈতিক নেতারা ছাত্রদের নিরাপদ শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেন। ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যত কা-ারী, তারাই পারবে সঠিকভাবে পড়াশোনা শেষ করে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করে, দেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে সঠিক ভূমিকা রাখতে পারে। তাই লেখাপড়াই রাজনীতির স্কুল দর্শন হওয়া উচিত। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। হাওড়ে সুদিন ভাটির দেশ বাংলাদেশ। অপার সম্ভাবনা আর অজস্র সমস্যা নিয়ে হাওড়-জনপদ বা ভাটি অঞ্চল। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলায় ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নিয়ে এ হাওড় অঞ্চল। এ অঞ্চলে ছোট-বড় মিলে ৩৭৩টি হাওড় রয়েছে। দেশের মোট উৎপাদন এক-পঞ্চমাংশ এবং মিঠা পানির মাছের আশি শতাংশের যোগানদার এ হাওড় জনপদ। একটি হাওড় যেন ধানের এক একটি গোলাঘর ও শস্যভা-ার। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার আবর্তে ঘুরপাক খায় হাওড়বাসীর জীবন। যাতায়াত, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সমস্যাকে মোকাবেলা করেই যুগ যুগ ধরে টিকে আছে হাওড় জীবন। এ সব সমস্যার মধ্যে হাওড়বাসীর একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভাঙ্গন সমস্যা। বর্ষায় যখন হাওড়গুলো জলমগ্ন হয়, তখন এগুলোর শান্ত সৌম্য মূর্তি দেখতে কতই না মনোরম। কিন্তু যখন জলেভাসা হাওড়ে বাতাসের স্পর্শ লাগে তখন হাওড়গুলো যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। শোঁ শোঁ শব্দে অসংখ্য ঢেউ এসে আঘাত হানে হাওড়ের বিভিন্ন আড়িতে (পোড়া, গ্রাম) ঢেউয়ের করালগ্রাসে পড়ে অনেকের স্বপ্ন ভিটেমাটি হাওড় উদরে হজম হয়। হাওড়ে ঘরবাড়ি ভাঙ্গার আরও একটি কারণ হলো ‘আফাল।’ আফাল মানে শুদ্ধ বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিও থাকতে পারে। বাতাসের বেগ আরও বেড়ে যায়। এ আফাল দুই-তিন দিন পর্যন্ত আসতে দেখা যায়। এ অবস্থায় হাওড়বাসী থাকে চরম আতঙ্কে। একে ঢেউ তার পরে আফাল সবে মিলে তটস্থ হয় হাওড় জীবন। ঢেউ আর আফাল কেড়ে নেয় অসহায় মানুষদের ঘর-বাড়ি। উদ্বাস্তু হয় অনেকে বসতি স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়। ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে হাওড় জনপদগুলোতে বর্ষা আসার পূর্বেই বাঁশ, চাইল্যা, বিচালি বনতুলসী, নলখাগড়া ইত্যাদি দিয়ে বাড়ি-পাড়া ঘিরে বাঁধ দেয়া হয়। এতে তাদের বাড়তি খরচও গুনতে হয়। হাওড়ের অনেক অঞ্চলে পাড়া গ্রামগুলোকে রক্ষার জন্য পাকা ব্লক দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে। অনেক হাওড় এলাকায় তৈরি হয়েছে ডুবো রাস্তা। সমস্যা থাকলেও হাওড় জনপদকে অপার সম্ভাবনার দ্বার হিসেবেও ধরা হয়। আশার বিষয়, হাওড় উন্নয়নে নেয়া হয়েছে হাওড় উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। এ পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে অবসান হবে হাওড়বাসীর শত বছরের বঞ্চনা। শ্যামল চৌধুরী মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা। অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য রাজধানীর মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে রূপগঞ্জের এ চনপাড়া বস্তির অবস্থান হওয়ায় রাজধানী ঢাকার অপরাধ জগতের অনেকেই এ বস্তিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ঘিঞ্জি বস্তির কারণে অপরাধীরা অপরাধ করে এখানে দিনের পর দিন নির্বিঘেœ পালিয়ে থাকতে পারে বলেই এটা তাদের এত পছন্দের। ওয়ান ইলেভেন, অপারেশন ক্লিনহার্ট, র‌্যাবের ক্রস ফায়ার, কোন কিছুই এ বস্তিতে প্রভাব ফেলে না। এখানে রয়েছে সন্ত্রাস, মাদক, কিলার, নারী ব্যবসা ও ছিনতাইকারীদের একাধিক গ্রুপ। চনপাড়াবাসীকে নিয়ে ৩৫ বছর ধরে চলছে ভোটের রাজনীতি। নির্বাচন আসলেই এদের ইউনিয়ন করে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। ভোট চলে গেলে আর কেউ খবর রাখে না। নজরুল ইসলাম লিখন [email protected]
×