ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত

শিক্ষাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১২ মে ২০১৫

শিক্ষাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়

দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশে চিকিৎসা বিষয়ক লেখাপড়ার গুণগতমান সমুন্নত রাখা সম্ভব এবং এই মর্মে সফলতা দরজায় কড়া নাড়ছে। শিক্ষা বর্তমানে দেশীয় বা আঞ্চলিক নয়, শিক্ষা এখন আন্তর্জাতিক। শিক্ষা একটা ক্লান্তিহীন চলমান প্রক্রিয়া। পা-িত্য বা জ্ঞান আহরণের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত সবাইকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে, যাতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে আমরা উন্নত দেশ থেকে পিছিয়ে না থাকি। মেডিসিনের ফাদার স্যার উইলিয়াম অসলারের একটি উক্তি, Doctor is a student till his death and when he fails to be a student he dies. এ কথা শুধু চিকিৎসক নয়, সব মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু লেখাপড়া এবং গবেষণার প্রতি বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। যতবারই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাঁর সান্নিধ্যে গিয়েছি, ততবারই এ নির্দেশ পেয়েছি। শিক্ষাজীবনের সমাবর্তনের এই দিন আমাদের কিছু দিক চিহ্নিত করে দেয়। আজকে যারা শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বশেষ ধাপ অতিক্রম করে ডিগ্রী অর্জন করতে যাচ্ছে, তাদের আজকের দিন কিন্তু তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আমিও কিন্তু এ রকমের একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। দুর্ভাগ্য! আমাদের সময়ে অর্থাৎ সত্তরের দশকে এমন জাঁকজমকপূর্ণ সমাবর্তন হতো না এ দেশে। বর্তমান বিশ্বে আমরা এক নিত্যনতুন প্রযুক্তির মধ্যে বাস করছি। সময় এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে চলে। আজ থেকে ৩৪ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮০ সালে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি লেখা, টেলিগ্রাম করা অথবা টেলিফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করা। আমি ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরের পাড়ে অদেসা শহরে লেখাপড়ার জন্য অবস্থান করছি, পিএইচডি ছাত্র হিসেবে। বিয়ের ৬ মাস পরই বিদেশ যাত্রা। সেখানে গিয়ে একবার ইচ্ছা হলো টেলিফোনে কথা বলার জন্য প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে। শহরের টেলিফোন সেন্টারে গিয়ে কথা বলতে চাইলে, টেলিফোন অপারেটর ভদ্রমহিলা একটি কলবুক করলেন। টেলিফোন কলের রাস্তাটা হলো, অদেসা-মস্কো, মস্কো-লন্ডন, লন্ডন-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম। অর্থাৎ মস্কো-লন্ডন এবং ঢাকার অপারেটরের অক্লান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও ১০ ঘণ্টা টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বসে থেকে কথা বলতে না পেরে ফিরে যাই। যখন চলে যাচ্ছি বয়স্ক রাশিয়ান ভদ্রমহিলা গায়ে পড়ে উপদেশ দিতে ভুল করেননি। উপদেশটা হলোÑ ‘সিনক্, মস্কো গিয়ে কলবুক করলে কথা বলতে পারবে।’ পরের শনিবার ২২ ঘণ্টা রেলভ্রমণের পর মস্কো থেকে কলবুক করে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও একই পরিণতি। পুনরায় ২২ ঘণ্টার ফিরতি ভ্রমণ শেষে নিজ শহরে হোস্টেলে ফিরি। মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি আর কখনও টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করব না। ‘সিনক্’ শব্দটা সোভিয়েতে বয়স্ক মহিলারা আদরের ছেলেদের এই বলেই সম্বোধন করে। তাঁর সদয় অনুভূতির প্রতি কথা বলতে না পেরেও আমি কৃতজ্ঞ। বর্তমানে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় নয়, ইচ্ছা করলে মহাশূন্যেও কথা বলতে পারা সম্ভব। তবে যথেচ্ছ প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে বা করছে তরুণ শিক্ষার্থীরা এবং নতুন প্রজন্ম। মোবাইল ফোনে মিথ্যা কথা বলা, কাউকে ফাঁকি দেয়া, হুমকি দেয়া, উত্ত্যক্ত করা যেন এক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্যই কি মোবাইল প্রযুক্তির আবিষ্কার? সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে আমরা শুধু হিমশিম খাচ্ছি না, মাঝে মধ্যে খেই হারিয়ে ফেলছি। এখনই সময় তরুণদের নেতৃত্ব গ্রহণ করার। অনিশ্চয়তাই খুলে দেবে নিশ্চয়তার পথ। সময়ই মানুষের জীবনে সুযোগ যেমন সৃষ্টি করে দেয়, তেমনি প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করে। ফেসবুক কাদের থাকবে, কী স্ট্যাটাসের জন্য ফেসবুকের জন্ম? পৃথিবীর বড় বড় ব্যক্তিত্ব, মহৎ ব্যক্তি ও গুণী ব্যক্তিত্বরা কিভাবে ফেসবুক পরিচালনা করেন, তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পৃথিবীর সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যা আছে। গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত আমাদের বেকারত্ব, দুর্নীতি, হতাশা, অর্থনৈতিক অক্ষমতা এবং দারিদ্র্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সমস্যা আছে বলেই আমরা সমাধান খুঁজে পাই। এ প্রসঙ্গে আমি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের একাদশতম রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রণিধানযোগ্য চারটি বাক্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি মাত্র, যা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করাদের জন্য প্রযোজ্য। কুড়ি বছর বয়সের আগে জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। ধারাবাহিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোন সমস্যাকে পরাস্ত করতে হবে। প্রচ- ইচ্ছাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে নিজের কাজ সম্পাদন করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটসদের জন্য ত্রয়োদশ শতাব্দীর পার্সিয়ান লেখক কবি জালালউদ্দীন রুমীর ইংরেজী কবিতার একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্যারা তুলে ধরছি- I am born with potential./I am born with goodness and trust./I am born with ideas and dreams./I am born with greatness./I am born with confidence./I am born with wings./So, I am not meant for crawling,/I have wings, I will fly,/ I will fly and fly. সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস আমরা কাটিয়ে দিতে পারি। আলোচনা বাদ দিয়ে সমস্যাকে সমষ্টিগতভাবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলেই সমাধান হয়ে যাবে। আমি বাস্তববাদী, স্রষ্টায় বিশ্বাসী, তোমাদের নিয়েও আশাবাদী, তোমাদের তারুণ্য আছে এবং তার জন্য সব জয় করতে পার। সৎ এবং সাহসী ব্যক্তিই শুধু চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। কাপুরুষ কখনও তা পারে না। আমি মানুষের সৃজনশীলতা, শক্তি এবং ভবিষ্যতকে বিশ্বাস করি। তোমাদের বলতে চাই, পৃথিবীতে এখনও অনেক বড় উদ্যোগ বিকাশ লাভ করেনি। অনেক কিছুই আবিষ্কৃত হয়নি, যা তোমাদের জন্যই অনাবিষ্কৃত। তোমরা গ্যালারিতে বসে সমস্যা নিয়ে তর্কবিতর্ক করো না। মাঠে নেমে সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করে দাও। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন সবচেয়ে কঠিন কাজ। কিন্তু মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেয়ে মহৎ কাজ নেই। মহৎ কাজ বাস্তবায়নে চিলির সাবেক রাষ্ট্রপতি (২০০৬-২০১০) মিশেল ব্যাশেলের সাতটি পরামর্শের কথা তোমাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। সাত সংখ্যাটিকে কিন্তু অনেকেই সৌভাগ্যের সংখ্যা মানে। এক সপ্তাহে দিনের সংখ্যা সাত, আমাদের বাস সাত মহাদেশে, সাত মহাসাগরের পাড়ে। গণিতবিদ পিথাগোরাস পারফেক্ট সংখ্যা বলতেন তিন ও চারকে। কারণ ত্রিভুজের বাহু তিন, চতুর্ভুজের চার। তিন আর চার যোগ করলে হয় সাত। আমাদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাত সৌভাগ্যের সংখ্যা এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাতটি স্তম্ভ। আমাদের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ। ৭ মার্চের তর্জনী হেলনে সিংহপুরুষ জাতির জনকের বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত হয়Ñ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ৭ মার্চের এ বক্তৃতার ফসল ২৬ মার্চ এবং স্বাধীনতা। ব্যাশেলের প্রথম পরামর্শ হলো, তোমাদের সাধারণ মানুষের কথা শুনতে হবে, তাদের জিজ্ঞাসার জবাব দিতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা শোনার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। তোমাকে ঘরে আটকে থাকলে চলবে না। তাঁর দ্বিতীয় পরামর্শ হলো, আগের মতো প্রাসাদে না থেকে তোমাকে এখন প্রকাশ্যে আসতে হবে। সবকিছুতে তোমার অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নেতা হতে হলে তোমাকে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তোমাকে সর্বজনীন গুণাবলী অর্জন করতে হবে। মানুষের কী প্রয়োজন তা জানতে হবে। তৃতীয়টি হলো নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিতে হবে। আমার চতুর্থ পরামর্শ হবে, সমাজের নানা শ্রেণীর, নানা বর্ণের, নানা ভাষার মানুষ সম্পর্কে তোমার জানাশোনা থাকতে হবে। কাদের কী সমস্যা, তা তোমার জানতে হবে। তোমাকে সত্যিকারের নেতা হতে হলে সামাজিক মূল্যবোধ ও মানুষকে বুঝতে হবে। এ জন্য তোমাকে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম নীতি হিসেবে যথাক্রমে মানবিকতা, নিজের ও অন্যের ওপর আস্থা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর দৃঢ়বিশ্বাস থাকতে হবে। আমি আমার জীবনটাকে সাধারণ মানুষের সেবায়, পীড়িত মানুষের সেবায়, নিঃস্বের সেবায় উৎসর্গ করার চেষ্টায় আছি। জীবনে তিনটি বাক্য সর্বদা স্মরণে এবং মননে ধারণ করবেÑ যা হলো কোনকিছুই গোপন নয়, কোনকিছুই অসম্ভব নয়, কোন মানুষই অত্যাবশ্যকীয় নয়। যদি কোন কিছু গোপন রাখা যেত তাহলে সিআইএ বা কেজিবির দলিল বাতাসে ভাসত না। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়টির বেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট দিকপাল ক্লাইভ লয়েডের একটি ব্যাখ্যা। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের কাছে পরাজয় বরণ করে সপ্তাহখানেক পরে লর্ডসে ক্লাইভ বাহিনী ব্রিটিশবাহিনীর সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি। ভিভিয়ান রিচার্ড তখন ক্লাইভ বাহিনীর একমাত্র ব্যাটিং স্তম্ভ। ড্রেসিং রুমে সময়মতো না আসার কারণে ক্লাইভ লয়েড তার ব্যাটিং একাদশে তাকে রাখেননি। সাংবাদিকরা অধিনায়ক লয়েডকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছিলেন, যার একটি প্রশ্ন ছিলÑ ঐড়ি ফড় ুড়ঁ ফধৎব ঃড় ভধপব ইৎরঃরংয ঈৎরপশবঃ ঞবধস রহ ইৎরঃরংয ওংষধহফ রিঃযড়ঁঃ ঠরা? অধিনায়কের জবাবÑ ঊাবৎুনড়ফু রং ফরংঢ়বহংধনষব রহপষঁফরহম ঈষরাব খড়ুফ এবং ওই টেস্টে ভিভকে ছাড়াই লয়েড জয়ী হয়েছিলেন। আমার কাছে নেতৃত্ব হলো এক রোমাঞ্চকর, মহাকাশ অভিমুখে মহাযাত্রা, যেখানে তোমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে, তোমার মন যা সত্য এবং সঠিক বলে মনে করবে, তা-ই তুমি করবে। ক্ষুদ্র এই জীবনটাকে সঠিকভাবে কর্মের মাধ্যমে উৎসর্গ কর। তোমরা কেউ চাকরির জন্য সরকার বা পরমুখাপেক্ষী না হয়ে, সৃষ্টিশীল এমন কিছুতে আত্মোৎসর্গ কর, যাতে হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তোমরা করতে পার। তোমাদের সৃষ্টিতে পরিবার, সমাজ, দেশ এবং বিশ্ব আরও সমৃদ্ধশালী হবে। তোমরা নিশ্চয়ই জান বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি, সবচেয়ে বড় দাতা বিল গেটস হার্ভাড ইউনিভার্সিটির একজন ঝওে পড়া ছাত্র। কিন্তু আজকে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে এবং মাতৃস্বাস্থ্যের পরিচর্যায় তার গেটস ফাউন্ডেশন কী অনন্য ভূমিকা রেখে চলছে। মনে রাখবে, পৃথিবীতে তিনটি জিনিসের বিকল্প নেই, তার প্রথমটি হলো লেখাপড়া, দ্বিতীয়টি হলো মা-বাবা, তৃতীয়টি হলো মা-বাবার কাছে পুত্র-কন্যা। যদি বিকল্প খোঁজ তাহলে মা-বাবার বিকল্প হলো বাবা-মা, লেখাপড়ার বিকল্প হলো পড়ালেখা, পুত্র-কন্যার বিকল্প হলো মেয়ে-ছেলে। সুপ্রিয় গ্র্যাজুয়েটস, সামনের দিনগুলো হোক তোমাদের জন্য মসৃণ, কুসুমাস্তীর্ণ এবং আলোকিত। সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিকতা এবং নিজের ওপর আস্থা তোমাদের আগামী দিনের পাথেয় হোক। তোমাদের সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা, দীর্ঘ কর্মময় জীবন এবং মঙ্গল কামনা করছি। মনে রাখবে, জাতির জনকের একটি মহান উক্তিÑ ‘মহৎ কিছু অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন।’* * ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের তৃতীয় সমাবর্তনে প্রদত্ত সমাবর্তন বক্তৃতার সংক্ষেপিত রূপ। লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সাবেক ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×