ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএলে মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল চার দিনের ম্যাচ ড্র

রান বন্যার পর ধীর ব্যাটিং

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১১ মে ২০১৫

রান বন্যার পর ধীর ব্যাটিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন ব্যাটসম্যান ধীরগতির ব্যাটিং করলেই উদাহরণ হয়ে যান সুনীল গাভাস্কার। সবাই আঙ্গুল উঁচিয়ে বলেন, ‘গাভাস্কারীয় ব্যাটিং’ করেছ। সাবেক এ ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্লথগতির ব্যাটিংয়ের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটেও টেস্ট মেজাজে ব্যাট চালিয়ে। সেই গাভাস্কারীয় ব্যাটিং দেখা গেল রবিবার ফতুল্লায়। চতুর্থ দিন ৫৬ ওভার ব্যাটিং করে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ৪ উইকেটে ৬৯ রান তোলে দ্বিতীয় ইনিংসে। এর আগেই প্রথম ইনিংস ৫৪১ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। পরে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংসে করা ৪১৩ রানের জবাবে তৃতীয় দিনশেষে ৮ উইকেটে ৫৩৮ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে। শাহরিয়ার নাফীস ১৬১ এবং মোসাদ্দেক হোসেন ১৫৩ রান করে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি হাঁকানো সোহাগ গাজী তখনও অপরাজিত ছিলেন ১০৬ রানে। তবে চতুর্থ দিন তিনি আর কোন রান করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১০৬ রানেই। আর মাত্র ৩ রান যোগ হতেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ইনিংস। মোশাররফ হোসেন ১৭৩ রানে ৭টি এবং দেওয়ান সাব্বির ৬২ রানে ২টি উইকেট নেন। ১২৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে মধ্যাঞ্চল। জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল শেষ দিন পর্যন্ত দুই দলের একটা করে ইনিংস শেষ হওয়ায়। তবে মধ্যাঞ্চল বিপদের মধ্যেই ছিল। কারণ দ্রুত অলআউট হয়ে গেলে জয় তুলে নেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের। তাই ড্র করার লক্ষ্য নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামে মধ্যাঞ্চল। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসেই গাভাস্কার ভর করলেন। অবিস্মরণীয় এক কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের এ ওপেনার। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ক্রিকেট ইতিহাসের ১৯তম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৬০ ওভারের ম্যাচে ৩৩৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করা ইংল্যান্ডের জবাব দিতে গিয়ে গাভাস্কার মাত্র ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। খেলেন ১৭৪ বল! তখন থেকেই ধীরগতির ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে গাভাস্কারের নামটা চলে আসে। মধ্যাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে ছিল সেই ছাপটাই। ৫৬ ওভার ব্যাট করে মাত্র ৬৯ রান তোলে তারা ৪ উইকেটে। সর্বোচ্চ ২০ রান করা মেহরাব হোসেন জুুনিয়র ইতিবাচক ব্যাটিং করে ৫০ বল খেলেন। এছাড়া রকিবুল হাসান অপরাজিত ১৭ (১২০), মোশাররফ হোসেন অপরাজিত ৮ (৭৪) এবং ওপেনার রনি তালুকদার ৪ (৫৪) রান করে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যায় ম্যাচটা। দারুণ বোলিং করা বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ২৫ ওভারে ১৫ মেডেনসহ মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। স্কোর ॥ মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ৪১৩/১০; ১৩৮.২ ওভার (রনি ১০৬, মোশাররফ ৮৯, ইলিয়াস ৫৮*; মুস্তাফিজুর ৩/৪০, রাজ্জাক ৩/১১৩) এবং দ্বিতীয় ইনিংস- ৬৯/৪; ৫৬ ওভার (মেহরাব ২০, রকিবুল ১৭*; রাজ্জাক ৩/২০)। দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ৫৪১/১০; ১৩৩.৪ ওভার (নাফীস ১৬১, মোসাদ্দেক ১৫৩, সোহাগ ১০৬, এনামুল ৮৩; মোশাররফ ৭/১৭৩, দেওয়ান ২/৬২)। ফল ॥ ড্র। ম্যাচ সেরা ॥ মোশাররফ হোসেন (ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল)।
×