ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১১ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

আমরাও পারি ৪১ বছর পর আলোর মুখ দেখল মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি। গত ৭ মে এই চুক্তি সর্বসম্মতিক্রমে ভারতীয় লোকসভায় পাস হয়েছে। স্থল সীমান্ত চুক্তির ফলে দেশের রাজনীতিতে সূচিত হলো এক যুগান্তকারী অধ্যায়। বিশ্লেষকরা এই চুক্তিকে ইতিহাসের রঙিন পাতা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেকরা বলছেন, এই ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে দীর্ঘদিনের ঢাকা- দিল্লী সম্পর্কের টানাপড়েনের অবসান হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর পিতা অসমাপ্ত কাজের সফল সমাপ্তি টেনে প্রমাণ করলেন রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্ন সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিলেন। শুধু তাই নয় এই স্থল চুক্তি সীমান্ত সম্পাদনে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হলো। স্থল সীমান্ত চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ১৭১৫৮ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহলের অধিকার পেল। অন্যদিকে ভারত পেল ৭১১০ একর আয়তনের ৫১টি ছিটমহল। এছাড়া বাংলাদেশ অপদখলীয় জমি পেয়েছে ২২৬৭.৬৮২ একর ও ভারত পেয়েছে ২৭৭৭.০৩৮ একর। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষ যেন নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেল। ছিটমহলবাসী গণমাধ্যমের কাছে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘদিনের অবহেলা, উপেক্ষা আর অধিকারহীনতার জীবন থেকে তারা মুক্তি পাবেন। তাদের সন্তানরা জীবনের মৌলিক অধিকারগুলো যথাযথাভাবে ভোগ করে মাথা উঁচু করে জানান দেবে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরাও পারি দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। এম এ সালেহ নারিন্দা রোড, ঢাকা। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে... স্থল সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ার পর বিএনপির শীর্ষ নেতারা মুখে কুলুপ আটলেও পরিস্থিতির সামাল দিতে দলের চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া অনেকটা বাধ্য হয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া তার আর উপায়ই বা কী! ক্ষমতায় যাবার সময় ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে বিএনপি কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেনি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, ভারত সফরে পানি চুক্তির কথা বলতে তিনি ভুলেই গিয়েছিলেনÑ এ কথা সে সময় পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিতও হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখে প্রাপ্য অধিকার আদায়ে আন্তরিক থাকে। আওয়ামী লীগের কূটনৈতিক বিজয়ে বিএনপি লাজুক অবস্থায় পড়ে গেছেÑ তাদের অবস্থা এখন অনেকটা ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। এনায়েত উল্লা রনি শুক্রাবাদ, ঢাকা। শোচনীয় পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সূত্রাপুর বাজারটির বর্তমান অবস্থা করুণ ও শোচনীয়। বাজারের ভবন বা বিল্ডিংটি দুর্বল ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করার কারণে তা এখন পরিত্যক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজারের ভবনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে কিংবা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও ভবনের ওপরে বছরের পর বছর ধরে সতর্কীকরণের একটি সাইন বোর্ড লাগানো রয়েছে। কার্যত তা কেউ তোয়াক্কা করছে না। ভবনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। আর দুর্ঘটনা ঘটলে বহু লোকের হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, গে-ারিয়া।
×