ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ জয় পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য শুভ লক্ষণ ॥ মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১০ মে ২০১৫

এ জয় পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য শুভ লক্ষণ ॥ মিসবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে অবশেষে কাক্সিক্ষত জয়ের দেখা পেল সফরকারী পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বর দল হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই দারুণ ধারাবাহিক পাকরা। আর সেটা অটুট থাকায় দারুণ খুশি অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। ওয়ানডে সিরিজ ও টি২০ জেতায় বাংলাদেশ ছিল দারুণ অবস্থানে। আত্মবিশ্বাসী একটা দলের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়টা তাই পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য শুভ লক্ষণ বলে মনে করেন পাক অধিনায়ক। দু’দিন উইকেটে থেকে ৫৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেললে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলেরও এমন পরিস্থিতিই ঘটত। তাই বাংলাদেশের হেরে যাওয়াটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মিসবাহ। গত বছর পাকিস্তানের ঠিক এই দলটিই দুবাই ও আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়াকে একইভাবে পরাজিত করেছিল। সে কারণে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পরাজয় বরণকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘দু’দিন আছে, ১৮০ ওভার টিকে থেকে ৫৫০ রান করতে হবে। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে যেকোন দলের ক্ষেত্রেই এরকম ঘটতে পারে। আবুধাবি ও দুবাইয়ে এমনটাই অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থেকে ব্যাটিংয়ে আসা সহজ ছিল না।’ টি২০ ও ওয়ানডে সিরিজ কোন পাত্তা পায়নি পাকরা। শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচে। নিজেদের মুখ রক্ষাও হলো এতে। এ বিষয়ে মিসবাহ বলেন, ‘না, আমি সেরকম মনে করি না। বাংলাদেশ দল আমাদের চেয়ে ওয়ানডে ও টি২০ ক্রিকেটে অনেক বেশি অভিজ্ঞ ছিল। গত পাঁচ বছর ধরে তারা একই দল নিয়ে খেলছে। সে কারণে তাঁরা এটা করেছে এবং জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে পরিস্থিতি বিপরীত ছিল। আমরা অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং সেটা আবার প্রমাণ করেছি আমরা।’ স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটে জিতে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। সেই ছন্দটা কেটে গেছে টেস্ট ম্যাচে। কোন একটা সফরে জিততে থাকা দলকে হারিয়ে দেয়া অনেক বড় ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরেই আমরা ভাল খেলছি টেস্ট ক্রিকেটে। আমার মনে হয় এ সিরিজেও আমরা ভালভাবেই নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ ছন্দটার কারণে পারফর্মেন্সের পর্যায়টা আরও উন্নীত হবে। দল যেভাবে পারফর্মেন্স দেখিয়েছে আমি খুবই সন্তুষ্ট। আপনি শুধু আপনার সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারেন এবং প্রতিপক্ষ যদি খুব ভাল খেলে কিছুই করার থাকে না। শুধু নিজের সেরাটা দিয়ে সামর্থ্য কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করতে হয় ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে। সবচেয়ে বড় ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে শুরু থেকেই আমরা ফর্মের তুঙ্গে থাকা দলের বিরুদ্ধে যে চাপে ছিলাম সেটা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ধারাবাহিক সেটা করে দেখাতে পেরেছি। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য নিশ্চিতভাবেই শুভ লক্ষণ।
×