ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরা-নাভারণ রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১০ মে ২০১৫

সাতক্ষীরা-নাভারণ রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা

মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরাবাসীর দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণা দেয়ার পরও নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন বাস্তবায়নের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত সাতক্ষীরাবাসী। ইতোমধ্যে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন নির্মাণের কাজের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হলেও এরপরে আর কোন অগ্রগতি নেই। প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমে ধীরগতি সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ। আগামী বাজেটে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরাবাসী। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। নাব্য হারানোর ফলে নৌপথ মরে গেছে। অবস্থানগত কারণে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যেমন পর্যটন কেন্দ্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাদা সোনা হিসেবে পরিচিত চিংড়ি সম্পদ সাতক্ষীরার সম্পদ। পাশাপাশি অবস্থানগত কারণে ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সাতক্ষীরা জেলা। ফলে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একমাত্র সড়ক পথটি ব্যস্ততম ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। ভোমরা বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি রফতানিতে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে বিশিষ্টজনেরা আশঙ্কা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণে রেললাইন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন ২০১০ সালের ২৩ জুলাই। এর পরই এই রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। ২০১৪ সালের মে মাসে সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পের প্রস্তাবনা অনুযায়ী যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার রেললাইনে মোট আটটি স্টেশন থাকবে। জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেললাইন এখন সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণের দাবি। মুন্সীগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরা শহর হয়ে ঢাকায় যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক রয়েছে। বিকল্প হিসেবে নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেললাইন দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আগামী বাজেটে নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে।
×