ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কালকিনিতে চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১০ মে ২০১৫

কালকিনিতে চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর), ৯ মে ॥ জেলার কালকিনিতে দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরমভাবে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের আর্কষণীয় প্রচারে বিশ্বাস করে অপারেশন করে অন্ধত্ব বরণ করছে রোগীরা। দিনের পর দিন রোগীদের অভিযোগ প্রকট আকার ধারণ করলেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। তাই ব্যাপক দাপটের সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনা করে জমজমাটভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে কিছু ব্যবসায়ী আর সাধারণ রোগীরা হচ্ছে ভোগান্তির শিকার। অনুসন্ধানে গেলে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানান, উপজেলার ভূরঘাটা-কালকিনি সড়কের পাশে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ব্যাপকভাবে শোভাবর্ধন করে গত বছর দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর হাসপাতালের প্রতি রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার আনা হয় বলে প্রচার করা হয়। এতে রোগীরা প্রলোভনে পড়ে চক্ষুরোগ সারাতে এসে অন্ধত্ব বরণ করে ফিরে যাচ্ছে। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও প্রতিদান মিলছে না। অপরদিকে ছানি অপারেশনের সময় লেন্স লাগানোর কথা বলে কনটাক্ট করা হয়। অথচ লেন্স না লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল শিক্ষক মোতালেব সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতালের প্রচারপত্রে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ডাঃ রাহাত আনোয়ার চৌধুরী আমার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানমের চক্ষু অপারেশন করে। কিন্তু অপারেশনের পরে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় সে এখন অন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে খবর নিয়ে জানতে পারি সেখানে রাহাত আনোয়ার চৌধুরী নামের কোন ডাক্তার নাই। এটি রোগীদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে।’ একইভাবে অভিযোগ করে গোপালপুর এলাকার পূর্বপূয়ালী গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মজিবুর রহমানের স্ত্রী রেহানা পারভীন বলেন ‘লেন্স লাগানোর কথা বলে উক্ত হাসপাতালে সাড়ে দশ হাজার টাকা কন্টাকে আমার মা সামচুন নাহার বেগমের চক্ষু অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পরে সে চোখে দেখতে না পারায় ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিলে কর্মরত ডাক্তাররা জানায় কোন লেন্স লাগানো হয়নি। একইভাবে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে লিনার সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে। সেও এখন চোখের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আমরা দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরকারীভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এসব অভিযোগ হাসপাতালের পরিচালক নজরুল ইসলাম (শামীম) অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ আঃ রকিব বলেন, এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×