ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দণ্ডাদেশ স্থগিত, স্বস্তিতে সালমান

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ৯ মে ২০১৫

দণ্ডাদেশ স্থগিত, স্বস্তিতে সালমান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জেলে যেতে হচ্ছে না ভারতীয় অভিনেতা সালমান খানকে। মুম্বাইয়ে গাড়ি চাপা মামলায় সালমানের পাঁচ বছরের কারাদ-ের আদেশ শুক্রবার স্থগিত করেন বোম্বে হাইকোর্ট। বুধবার মুম্বাইয়ের একটি নিম্ন আদালত ২০০২ সাল থেকে চলতে থাকা গাড়ি চাপা মামলায় দণ্ডনীয় নরহত্যার অপরাধে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সে দিনই দুদিনের শর্ত সাপেক্ষ জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরেন সালমান। রায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলও করেন তিনি। আপিলের শুনানির দিন ধার্য হয় শুক্রবার দুপুরে। ভারতে আদালতের বাৎসরিক গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগে এটিই ছিল শেষ কর্মদিবস। ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে ৮ জুন থেকে। অর্থাৎ, সালমানের আপিলের শুনানি শুরু হবে কমপক্ষে আরও এক মাস পরে। আর এর মধ্যে রায়ে স্থগিতাদেশ পাওয়ায় সালমান জামিনে মুক্ত থাকতে পারবেন বেশ কিছুদিন। স্থগিতাদেশ জারি করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভয় ঠিপসে এক ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা জুন অথবা জুলাই মাসে আপিলের তারিখ চূড়ান্ত করতে পারি। তখন আমরা খতিয়ে দেখব তিনি আসলেই দোষী নাকি নির্দোষ। এদিকে রায়ের আগে আদালত প্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। একদলকে দেখা যায়, আমরাই শহর, কুকুর নই লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে। সালমানের রায় নিয়ে গায়ক অভিজিত ভট্টাচার্যের বিতর্কিত টুইটের প্রতিবাদ করতে তারা জড়ো হন। ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সালমানের সাদা রঙের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে বান্দ্রার একটি বেকারির সামনের ফুটপাথে। এই দুর্ঘটনায় ফুটপাথে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হন এবং দু’জন আহত হন। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি সে সময় মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার কাছে লাইসেন্সও ছিল না। প্রথমে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা চললেও ২০১৪ সালের এপ্রিলে এই মামলায় নতুন করে বিচার শুরু হয়। তখন সালমানের বিরুদ্ধে আনা হয় দণ্ডনীয় নরহত্যার (কাল্পেবল হোমিসাইড) অভিযোগ।
×