ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৈষম্যের অবসান চাই

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৯ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

চলমান জাতীয় বেতন স্কেলে সরাসরি নিয়োগলাভকারী নবম গ্রেডের নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের একাংশ টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্যতায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। যেমন- কারও পদে পদোন্নতির কোন বিধান নাই এবং তা ব্লক পদ হিসেবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত, সেই কর্মকর্তা ১৫ বছর চাকরি করে ৩-৪টি উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন। আবার কারও পদে একটি পদোন্নতির সুযোগ থাকায় সময়মতো তা বাস্তবায়নে সেই কর্মকর্তাও ১৫ বছর চাকরি করে চারটি উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন। পক্ষান্তরে কারও পদে সর্বোচ্চ একটি পদোন্নতির বিধান আছে কিস্তু বাস্তবে পদোন্নতির কোন সুযোগ বা সম্ভাবনা থাকে না, সেই কর্মকর্তা ১৫ বছর চাকরি করে মাত্র একটি উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন। তিনি আরও পাঁচ বছর চাকরি করতে পারলে আরেকটি উচ্চতর স্কেল পেতে পারেন। সমগ্র বিষয়টি কি চরম বৈষম্যমূলক নয়? বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদফতর, দফতর ও অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণে কারিগরি ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে এরকম অনেক পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ পান যাদের চাকরিজীবনে মাত্র একটি পদোন্নতির বিধান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পদোন্নতি প্রদান সম্ভবপর হয় না। কারণ, শূন্যপদের অভাব, পদায়নরত কর্মকর্তাদের বয়সের ভেদাভেদ, পদোন্নতির পদে যোগ্যতার ঘাটতি ইত্যাদি সমস্যা। তাই, একই সময়ে নিয়োগপাপ্ত নন- ক্যাডার প্রথম শ্রেণীর সকল কর্মকর্তার প্রতি সুবিচারকল্পে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের প্রশ্নে বিদ্যমান বৈষ্যম্যমূলক বিধানের চিরঅবসান করে আসন্ন নতুন জাতীয় বেতনস্কেল প্রত্যাশা করছি। মোঃ শরিফ উদ্দিন শিকদার ফার্মগেট, ঢাকা। অভিনন্দন লিটন নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যায় টিএসটি মোড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি রক্ষা করেছেন কয়েকজন মেয়েকে, যারা তাঁর আত্মীয় বা পরিচিত নন, এমনকি সহপাঠীও নন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘুরতে আসা মেয়েদের লাঞ্ছনা ও শারীরিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। ভেঙ্গে গেছে তাঁর ডান হাত। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আগত মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর বিশেষ করে প্রক্টর এবং আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর- লিটন নন্দীর নয়। প্রক্টর এবং পুলিশের গাফিলতির কারণে ঘটে যাওয়া এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন লিটন নন্দী। লিটন নন্দী এ সমাজেরই মানুষ। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারাও সমাজের মানুষ নামক জানোয়ার। আমাদের সবার মানসিকতা যদি লিটন নন্দীর মতো হয় তাহলে কস্মিনকালেও এ জাতীয় ঘটনা আর ঘটবে না। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জেগে উঠবে যেরকম জেগে উঠেছিল একজন লিটন নন্দীর- এরকম প্রত্যাশা করি। শেখ ফরিদ আহমেদ ঢাকা। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ ২০১০ সালের জুলাইয়ে বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। তিন বছর সংযোগ বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় সারাদেশে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়। সরকারও আশ্বাস দিয়েছিল, আবাসিক বাসাবাড়িতে পর্যায়ক্রমে নতুন গ্রাহককে সংযোগ দেয়া হবে। শুধু অবৈধ সংযোগ নয়, যাদের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তারাও বৈধ সংযোগের সুযোগ পাবেন। নতুন কোন গ্যাসলাইন স্থাপন করা হবে না। শুধু যেসব স্থানে লাইন রয়েছে সেখানে নতুন করে সংযোগ দেয়া হবে এবং অবৈধ গ্রাহককে জরিমানার আওতায় এনে বৈধ করে নেয়া হবে। এতে অনেকেই আশান্বিত হয়েছিলেন কিন্তু দুই বছরের ব্যবধানে আবারও আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করা হবে বলে জানা যায়। তাই আমার অভিমত, যেসব এলাকায় অবৈধ লাইন রয়েছে সেসব এলাকার অবৈধ গ্রাহককে বিধিমালা অনুযায়ী জরিমানার আওতায় এনে এসব সংযোগ বৈধ করলে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করে লাভবান হবে এবং আবাসিকের গ্রাহকরাও উপকৃত হবেন। আগামী তিন বছরের জন্য এলপিজি সহজলভ্য করে সকলের ঘরে পৌঁছে দেয়ার যে পরিকল্পনা এজন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। আবাসিক বাসাবাড়িতে জ্বালানির জন্য কোটি কোটি গাছ কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যেসব এলাকায় অবৈধ সংযোগ রয়েছে সেসব এলাকার সংযোগ বৈধ করে জনগণের কষ্ট লাঘব করুণ এবং জ্বালানির জন্য গাছ কাটা বন্ধ করে দেশকে সবুজ অরণ্যে পরিণত করতে সহায়তা করুন। মোঃ নূরুদ্দিন সাভার, ঢাকা। গাধা পানি খায় তবে... নির্বাচনে হেরে গেলে বলবেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে, ভোট ছিনতাই হয়ে, পোলিং এজেন্টদের জোরপূর্বক বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, ভোটরদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি। পুলিশ অহেতুক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে ভয়ভীতি সৃষ্টি করেছে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ছিল না, বর্তমান সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে- এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নয়, অভিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকলের পদত্যাগ করতে হবে, প্রহসনের নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি, সরকার নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে, তাই এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করে সরে দাঁড়াতে হবে, না হয় এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যে সরকার পালাবারও পথ পাবে না। এ কথা নতুন নয়, অনেক পুরাতন। গাধায় সে পানিই খায় তবে ঘোলা করে খায়। এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা তারা বার বার দিয়েছে কিন্তু নিজ অবস্থানে নিজেদের ঠিক রাখতে পারেনি। উপজেলা নির্বাচনে ঠিকই অংশগ্রহণ করেছে। ২৮ এপ্রিলের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও প্রার্থী দিয়েছেন, অংশগ্রহণ করেছেন এবং দলীয় প্রধান নিজেই রাজপথে বাস টার্মিনালে শপিংমলে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। ভাগ্যের কী পরিহাস বিগত তিন মাস আন্দোলনের নামে যে বর্বরতা তারা চালিয়েছে বিশ্ব মানবতা লজ্জাবোধ করেছে, পেট্রোলবোমার মাধ্যমে যে চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে যাত্রী-হেলপার-ড্রাইভার পুড়িয়ে মেরেছেন, ঠিক সেই বাস প্রতীক মার্কাই দলীয় প্রার্থী নিয়েছে বা পেয়েছে। মানুষ যদি তাদের অপছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয় এবং ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় তাহলে সেখানে সরকারের কী করার আছে? সরকার কি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে বা ঘোষণা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এখনও সময় আছে পুরনো অভ্যাস পরিহার করুন, সোজা পথে চলতে শিখুন, সত্যকে সত্য বলুন, মিথ্যাকে না বলুন। কাজী নরুল আমিন শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। নগরপিতা না নগরপতি? সিটি মেয়রকে ‘নগরপিতা’ অভিধায় অভিহিত করাটা আদৌ প্রযোগ্য কিনা তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, গত ৩০ এপ্রিল তারিখ একটি জাতীয় দৈনিকে নবনির্বাচিত তিন সিটি মেয়রের সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়। চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত জনাব আ জ ম নাছির উদ্দিন তাঁর প্রদত্ত সাক্ষাতকারে ‘নগরপিতা নয়, নগর সেবক হতে চান’ উল্লেখ করেছেন। কথাটা সুন্দর শোনালেও ‘নগরপিতা’ শব্দটি গণতান্ত্রিক নয় বলেই মনে করি। কোন ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ছাড়া মেয়র পদের একজন জনপ্রতিনিধিকে ‘নগরপিতা’ বলা সমীচীন বলে মনে হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সিটি মেয়রকে ‘নগরপিতা’ বলাটা সঠিক বিবেচিত হয় না। নেতা বা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনোত্তোর পরিবর্তন হলেও পিতা তো পরিবর্তনযোগ্য নয়। গণতান্ত্রিক পরিভাষা বা রীতিনীতি অনুযায়ী একটা সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি নির্বাচনোত্তোর মেয়রগণ ‘নগরপিতা’ অভিধায় অভিহিত হন কী করে? সঙ্গত কারণে বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে ইংরেজী গঅণঙজ শব্দের বঙ্গানুবাদ করে তৎশব্দেও অভিহিত বরা যায়। তবে এক্ষেত্রে সর্বদিক থেকে সাজুয্য ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি যৌক্তিক শব্দের প্রয়োজন। বাংলা ভাষায় মেয়র গঅণঙজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘নগরপাল’, ‘নগরাধ্যক্ষ’, ‘নগরকর্তা’ হয়, যা সাধারণ্যে শ্রুতিমধুর ও সহজবোধ্য নয়। তবুও এক্ষেত্রে আরও অপেক্ষাকৃত সাবলীল তাৎপর্যবাহী ও অর্থবোধক শব্দের প্রয়োগ দরকার। ফলে শব্দের অর্থবহতার পাশাপাশি উচ্চারণ সারল্যতাসহ শ্রুতিমাধুর্যতা আসবে। বিষয় প্রাসঙ্গিকতায় বলা চলে, রাষ্ট্রের প্রধানকে ‘রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সেনাপ্রধানকে বলা হতো ‘সেনাপতি’ ঠিক তেমনিভাবে সমাজের প্রধান ব্যক্তিকে ‘সমাজপতি’ এবং ধন-সম্পদের মালিককে ‘ধনপাল’ বা ‘ধনপতি’ বলা হয়ে থাকে। এখানে ‘পতি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘স্বামী’, ‘প্রভু’ বা ‘মালিক’। ‘প্রধান’ বা ‘মালিকত্ব’র সেই মনস্তাত্ত্বিক অভিধায় কোন কোন ক্ষেত্রের ‘প্রধান’কে ‘পতি’ যুক্ত দ্বারা যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি, সেনাপতি, সমাজপতি ইত্যাদি বিশেষণে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তথাপিও সঙ্গত কারণে প্রস্তাব থাকে যে, রাষ্ট্রের প্রধান যেমন রাষ্ট্রপতি, তেমনি নগর ভবনের (ঈরঃু ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ) প্রধানকে বাংলা শব্দেও ‘নগরপতি’ হিসেবে অভিহিত করা যায়, যা বর্তমান প্রচলিত ‘নগরপিতা’ শব্দের তুলনায় অনেক মানানসই ও গণতান্ত্রিক সাজুয্যতা পাবে বলে মনে করি। খন্দকার মাহবুবুল আলম আনন্দ বাজার, চট্টগ্রাম। অত্যাবশ্যক দেশে নানা স্থানে অসংখ্য নৌ-বাণিজ্যবন্দর রয়েছে যেসব বন্দরে কোন টার্মিনাল বা কোন পন্টুন নেই। অসংখ্য বন্দরে নৌযান নোঙর করার জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে জনসাধারণ তথা যাত্রীদের অবর্ণনীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এবং ব্যবসায়ীদের পণ্যসামগ্রী লোড-আনলোডে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বহু উত্তরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদী বেষ্টিত প্রাচীন জেলা শহর গাইবান্ধা অবস্থিত গাইবান্ধায় একাধিক নদীবন্দর থাকলেও এসব নৌ-বাণিজ্যবন্দরে কোন স্থায়ী অথবা অস্থায়ী টার্মিনাল না থাকায় ও যাত্রী সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানি হচ্ছেন। যমুনায় ফুলছড়ি ঘাট, ব্রহ্মপুত্রে বালাসী ঘাট, তিস্তায় সুন্দরগঞ্জের বেলকা নৌবন্দর এবং তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে যমুনার সংযোগ বা মিলন স্থলে কামারজিনি নৌ-বাণিজ্যবন্দর অবস্থিত। সাতকন্যার প্রদেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যর পাহাড়ের পাদদেশে একখ- অতি চিকন বাংলাদেশের ভূখ- রৌমারি নদীবন্দরটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত ও অবহেলিত অবস্থায় রযেছে। যমুনার পূর্ব তীরে ঢাকা বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, ইসলামপুর উপজেলার প্রসিদ্ধ নৌবন্দর বাহাদুরাবাদ ও জগন্নাথগঞ্জ ঘাট অক্ষত অবস্থায় থাকলেও ব্রিটিশ আমলে প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর নৌযান নোঙর করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পূর্বে এ দুটি বন্দরের মাধ্যমে সমগ্র উত্তরবঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু ছিল ফেরি সার্ভিস সচল থাকার মাধ্যমে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার উভয় তীরের লাখ লাখ মানুষ দৈনন্দিন এবং অফিসিয়াল কাজ করার জন্য ট্রলার ও লঞ্চে নদী পারাপার হয়ে থাকে। নদীর তীরে এসব গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দরে কোন নৌ-টার্মিনাল ও পন্টুন নেই। ঢাকা থেকে প্রতিদিন তেলবাহী নৌযান ও নৌ-ট্যাঙ্কার গাইবান্ধার বালাসী ঘাটে নোঙর করে থাকে। বালাসী ঘাট উত্তরবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বাণিজ্যবন্দর। ঢাকা থেকে অসংখ্য জাহাজ, লঞ্চ ও ট্রলার যমুনায় গাইবান্ধার বালাসী ঘাটে নোঙর করে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে মালামাল খালাস করে থাকে। বালাসী ঘাটে ১শ’ গজের মধ্যে স্থাপিত রেলগাড়ির মাধ্যমে দ্রব্যাদি গাইবান্ধাসহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে সাপ্লাই করা হয়। তাছাড়া যমুনার পূর্ব তীরের জেলা-উপজেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ট্রলারযোগে নদীর পশ্চিমপাড়ে যাতায়াত করে থাকে। এসব ট্রলার নৌ-টার্মিনাল ও পন্টুন না থাকার কারণে নদীর তীরে কাদা মাটিতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। লক্ষ্য করা গেছে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০-৩৫টি ট্রলার উভয়পথে চলাচল করছে। এসব নৌযান বন্দরে নোঙর করতে নানা সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকরা। প্রতিটি বন্দরে পন্টুন থাকলে অতি সহজে নৌযান নোঙর করে মালামাল খালাস করতে পারে। সরকার পেতে পারে বিপুল অর্থের রাজস্ব। উপকৃত হতে পারে ব্যবসায়ীগণ। প্রতিটি নৌবন্দর সচল রাখতে মাঝে মাঝে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করে দিতে হবে। সারাদেশে প্রতিটি নৌবন্দর সচল রেখে নৌ-টার্মিনাল ও পন্টুন এবং ফেরি সার্ভিস চালু রাখলে নৌপথে জলযান চলাচল ও দ্রব্যাদি আনানেয়ার সুযোগ থাকলে সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীগণ উপকৃত হবেন। মোঃ মেছের আলী মুন্সীগঞ্জ।
×