ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণিজগতের আত্মীয়

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৯ মে ২০১৫

প্রাণিজগতের আত্মীয়

প্রাণের উদ্ভব ও বিকাশ অন্যান্য গ্রহের মধ্যে পৃথিবীকে দিয়েছে অন্যরকম মাত্রা। এককোষী থেকে বহুকোষী প্রাণীর সংখ্যাও এখানে কম নয়। বিবর্তনের ধাপে ধাপে সরল আণুবীক্ষণিক প্রাণী পরিণত হয়েছে বৃহৎ বহুকোষীতে। জল, স্থল ও আকাশে রয়েছে প্রাণীর অবাধ বিচরণক্ষেত্র। কিভাবে, কখন এবং কেন প্রাণিজগতের সদস্যরা আলাদা হলো? তারা কি পানি থেকে ডাঙায় উঠেছে, নাকি ডাঙা থেকে নামতে বাধ্য হয়েছে? কেনইবা আলাদা বাসস্থান বেছে নিতে হলো তাদের? এ প্রশ্নের উত্তর ব্যাঙ, সাপ কিংবা অন্যান্য উভচর প্রাণী কিছুটা পথ বাতলে দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের দরকার আরও অকাট্য প্রমাণ। চীনে পাওয়া একটি প্রাগৈতিহাসিক উভচর আপাতত তাদের একটুখানি নিস্তার দিয়েছে। সামুদ্রিক এ বৃহৎ সরীসৃপের পৃথিবীজুড়ে বিচরণ ছিল ডাইনোসরের সময়ে, আজ থেকে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বছর আগে। খুব সম্ভবত টিকে থাকার দ্বন্দ্বে ডাইনোসররা তাদের হারিয়ে দিয়েছে। সে জন্য ইচথাইওসার প্রজাতির এ প্রাণীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, প্রাণিজগতের প্রথম উভচর সরীসৃপ এ প্রজাতি ডলফিনদের দূরতম আত্মীয় হতে পারে। সাংহাই নগরীর ১৫০ মাইল দূরে ইয়াংসি নদী থেকে বিজ্ঞানীরা প্রজাতিটির ক্ষুদ্রতম প্রাণী কার্টোরেইনচাজ লেনটিকার্পাসের একটি জীবাশ্ম পান, যার দৈর্ঘ্য মাত্র ১ দশমিক ৫ ফুট। তবে এদের বৃহত্তম প্রাণীটি ৩০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। কার্টোরেইনচাজটির শরীরে দুটি কবজিসদৃশ অঙ্গ পাওয়া গেছে, ডাঙায় যেগুলো বেশ কার্যকর ছিল বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। সূত্র : এ্যানিমেল সায়েন্স
×