ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই হাজারি ক্লাবে আসাদ শফিক

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৮ মে ২০১৫

দুই হাজারি ক্লাবে আসাদ শফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিয়ারের শুরুতে ধারাবাহিকতার দারুণ অভাব ছিল। তবে ১৩তম ইনিংসে এসে নিজেকে ভালভাবে প্রমাণ করেছিলেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান। ওই সিরিজে পরের টেস্টেই অবশ্য আর আসাদ শফিকের ব্যাট থেকে তেমন বড় কোন ইনিংস দেখা যায়নি। সাড়ে তিন বছর পর আবারও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকালেন মিডলঅর্ডার এ তরুণ পাক ব্যাটসম্যান। খুলনায় ৮৩ রানের একটি দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে আউট হলেও এদিন ১০৭ রান করে ফিরে গেছেন। টেস্টের তিন ইনিংসের দুটিতেই সেঞ্চুরি পেলেন। ৬ নম্বরে নেমে তার করা এ ইনিংসের কল্যাণেই পঞ্চম উইকেটে আজহার আলীর সঙ্গে ২০৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে উঠেছিল এবং পাকিস্তান দলও বড় একটি সংগ্রহ পেয়ে যায়। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই। বরাবরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শফিকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটেছে। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে হারিয়ে ফেলে পাকরা। তবে আজহারকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শফিক। সতর্কভাবে শুরু করা শফিককে অবশ্য প্রথম রান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১১ বল। পরে আরও ১২ বলে কোন রান পাননি। এরপর সাকিবকে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপমুক্ত হন তিনি। এরপর স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাট চালিয়েছেন। এই সাকিবকেই টানা দুটি চার হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ২০০০ রান পূর্ণ করেন। মিরপুরে ব্যাট হাতে নামার আগে ২৬ রান দূরে ছিলেন দুই হাজার রান থেকে। ৩৫ টেস্টেও ক্যারিয়ারে ৫৪তম ইনিংসে তিনি নতুন এ মাইলফলক স্পর্শ করলেন। এরপর বেশ দ্রুতগতিতেই রান তুলেছেন। ৭৯ বলে অর্ধশতক পেয়ে যান। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর জন্য অবশ্য আরও ৭০ বল খেলতে হয়েছে তাকে। সেঞ্চুরি পাওয়ার পরই এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ। এ যাত্রাও বেঁচে যান তিনি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়ে ইতি ঘটে শফিকের ইনিংসে। ১৬৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ১০৭ রান করে সাজঘরে ফেরার আগেই পঞ্চম উইকেটে আজহারের সঙ্গে ২০৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন এবং অন্য যে কোন প্রতিপক্ষের চেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই তার ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪ টেস্টের ৪ ইনিংস ব্যাট করে ৮৪ গড়ে তিনি করেছেন ৩৩৬ রান। ইনিংসগুলো হচ্ছে-১০৪, ৪২, ৮৩ ও ১০৭। শফিকের জন্য বেশ পয়মন্ত প্রতিপক্ষই হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ!
×