ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কালবৈশাখীতে চার জেলায় ১১ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৮ মে ২০১৫

কালবৈশাখীতে চার জেলায় ১১ জনের প্রাণহানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি মৌসুমে মৃত্যুর সংখ্যা এক শ’ ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারও ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় ১৩ জন। সুনামগঞ্জে ঝড়ে মারা যায় দু’শতাধিক গরু। শিলাবৃষ্টিতে অনেক জেলার বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি মাসে আরও কালবৈশাখী ঝড় হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন বজ্রসহ মাঝারি/ তীব্র কালবৈশাখী/বজ্রঝড় ও দেশের অন্যত্র ৩ থেকে ৪দিন হাল্কা/মাঝারি কালবৈশাখী /বজ্রঝড় হতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং অন্যত্র ২ থেকে ৩টি মৃদু /মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই স্কুল ছাত্রসহ মারা গেছে ৫ জন, আহত হয়েছে ৩ জন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোশাররফ হোসেন ও ধোবাউড়া সদরের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র দেলোয়ার হোসেন (১২), হালুয়াঘাট উপজেলার রুবেল মিয়া(৩০) ও জামসেদ আলী (৫০) এবং ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ধলারভিটা গ্রামের কছিম উদ্দিন (৬০)। নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ থেকে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় তিন শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের দোলনা বেগম (২২) নামের এক গৃহিণী ঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। বজ্রপাতে মারা গেছেন ধর্মপাশা উপজেলা মধ্যনগর থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের হোসেন আলী এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ববীরগাঁও ইউনিয়নের ধরমপুর গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩০) নামের দু’ কৃষক। সদর উপজেলার কাঠইর গ্রামে হাওড়ে ধানকাটার সময় বজ্রপাতে ১০জন আহত হয়েছেন। ঝড়ে জামালগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুর ও ধর্মপাশায় দুই শতাধিক গরু মারা গেছে। এসব উপজেলায় আরও তিন শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে বজ্রপাতে মন্টু মিয়া (৫৬) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মন্টু মিয়া বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের মধ্যকামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালে প্রচ- শিলাবৃষ্টিতে উঠতি পাকা বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন কৃষকের সম্পূর্ণ জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, বরুড়ায় বজ্রপাতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাচিয়াপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
×