ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রংপুরে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৮ মে ২০১৫

রংপুরে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ রংপুরে বসবাসের অযোগ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক পুরনো ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। ভূমিকম্পসহ যে কোন কারণে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানীসহ ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। গণপূর্ত বিভাগ অনেক আগেই এসব ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করলেও নানা কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে বাস করছেন মানুষ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিন দফা ভূমিকম্পে নগরীর আর কে রোডে অবস্থিত সরকারী ২০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্রের তিনটি স্টাফ কোয়ার্টার ভবনের কিছু অংশ হেলে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বড় ফাটলের। তারপরও সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষ। এসব মানুষের অধিকাংশরাই বলছেন, উপায়ন্তর না পেয়ে তারা চরম ঝুঁকি নিয়েই বাস করছেন সেখানে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানকার ব্যবস্থাপক খায়রুল আমিন বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, প্রতিবছর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে ঝুঁকি থাকার কথা নয়। রংপুরে শুধু এ স্টাফ কোয়ার্টারই নয়, সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে রয়েছে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের অফিস কক্ষ, জেলারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, জেলা জজ কোর্ট, রংপুর পুরাতন সদর হাসপাতাল ভবন, একই হাসপাতালের ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কোয়ার্টার, এডিএম কোর্ট ভবন, রংপুর সরকারী কলেজের শহীদ মোসলেম উদ্দিন ছাত্রাবাস, জোনাল সেটেলমেন্ট রেকর্ড রুম, পুরাতন পৌরভবন, ধাপ, মাহীগঞ্জ এবং নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িসহ অন্তত শতেক ভবন। এ সব ভবনের প্রায় সবগুলোই ইট সুরকি দিয়ে গাঁথা এবং প্রতিটি ভবনের বয়স শত বছর পূর্ণ হওয়ায় এমনিতেই এগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহাদুর আলী জানান, সম্প্রতি তিন দফা ভূমিকম্পের পর তারা বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করে সরকারী ১৫টি ভবনকে তারা ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন এবং ইতোমধ্যেই সে সবের সংস্কার কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মদ জানান, সরকারী যে সব ভবন রয়েছে সেগুলো সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে সরকারী অর্পিত বা পরিত্যক্ত যে সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে এবং সে সবে যারা লিজ নিয়ে বসবাস করছে তাদের অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা না সরে ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছেন। তাছাড়া এসব ভবন আইনগতভাবে ভেঙ্গে ফেলার কোন বিধান নেই।
×