নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৬ মে ॥ মহানগরীতে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় রিনা আক্তার নামের এক কাজের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে নিহতের লাশ কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে পালিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নাজনীন আক্তার। দিনভর লাশের পরিচয় পাওয়া না গেলেও রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ নগরীর জিলা স্কুল রোডের সমতট নামের একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক গৃহকর্তী নাজনীনের স্বামী জাহের মোল্লা ফেনীর ফুলগাজী থানার এএসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মৃত ওই কিশোরীকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে এক মহিলা। লাশ রেখেই সে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিহতের নাম- রিনা আক্তার (৩২) প্রযতেœ : জাহের মোল্লা, পিতা : আলী হোসেন মোল্লা, টমছম ব্রিজ, কুমিল্লা লিখা হয়। কিন্তু ওই ঠিকানাটি ছিল ভুয়া। নিহতের সারা শরীরে নির্যাতনের দাগ রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। পুলিশ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী দিনভর অনুসন্ধান চালিয়ে নিহতের প্রকৃত পরিচয় বের করতে না পারলেও রাতের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জিলা স্কুল রোডের সমতট নামের একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে গৃহকর্ত্রী নাজনীনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আটক গৃহকর্ত্রীর স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা জাহের মোল্লা জানান, গত মঙ্গলবার রিনা আক্তার বাসায় ভাত রান্না করার সময় গরম পানিতে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল বুধবার রান্না ঘরে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে তিনি দাবি করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: