ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরানের সঙ্গে ভারতের বন্দর নির্মাণ চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৭ মে ২০১৫

ইরানের সঙ্গে ভারতের বন্দর নির্মাণ চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা

ভারত ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নেবে এ সপ্তাহে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রয়েছে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ এবং ইরানের সঙ্গে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রতিরোধের প্রস্তুতি। ভারত ও ইরান ২০০৩ এ পাকিস্তান সংলগ্ন ইরানী সীমান্তের কাছে ওমান উপসাগরবর্তী চাবাহারে একটি বন্দর নির্মাণে সম্মত হয়। কিন্তু ইরানের ওপর পাশ্চাত্য দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে সে উদ্যোগে অগ্রগতি হয়েছে খুব কম। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তানের সঙ্গে ৪ হাজার ৬শ’ ডলারের জ্বালানি ও অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করলে মোদি এখন ইরান ও অন্য উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে চাইছেন। জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নীতীন গাডকারি চাবাহার বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য এক দিনের সফরে ইরান যাবেন। এটি বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। বিশ্বের ছয় শক্তি ও তেহরানের মধ্যে ৩০ জুনের মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে উৎসাহী হয়ে ভারত সম্প্রতি ইরানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় বাণিজ্য, জ্বালানি ও অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে। যুক্তরাষ্ট্র ওই চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরকে সামনে রেখে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে সতর্ক করে দেয় ভারতকে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, নয়াদিল্লী জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করতে পারে না এবং তারা এক রিপোর্টের উল্লেখ করেন যে, একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ইরান সফর করছে। জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে। আমরা এ সুযোগ হারাতে চাই না এবং অতি সত্বর সম্ভব এ উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যাব। ভারতের মন্ত্রিসভা গত বছর চাবাহার বন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, ভারতের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাবও রেখেছে ইরান। ভারত চাবাহার বন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ২শ’ ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করেছে। খবর ডন অনলাইনের। কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেরি চলাচলের অনুমতি যুক্তরাষ্ট্র ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার কিউবায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ফেরি অপারেটররা এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় কয়েক দশকের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রেক্ষিতে ফ্লোরিডার অন্তত একটি কোম্পানি জানায়, কিউবায় ফেরি সার্ভিস চালু করতে তারা লাইসেন্স পেয়েছে। খবর এএফপির। এই ফেরি সেবার আওতায় কিউবায় মালামাল পরিবহনেরও সুযোগ দেয়া হবে। মায়ামিভিত্তিক ইউনাইটেড আমেরিকাস শিপিং সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট জোসেপ হিনসন জানান, তাদের কোম্পানি ফেরি চলাচলের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দফতর থেকে অনুমতি পেয়েছে। অপর একটি ফেরি কোম্পানি এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
×