ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা ও তার পুত্রের সব দুর্নীতির বিচার হবে ॥ কামরুল

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ মে ২০১৫

খালেদা ও তার পুত্রের সব দুর্নীতির বিচার হবে ॥ কামরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির না হওয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করা। তবে যতই কূটকৌশল অবলম্বন করা হোক না কেন খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব অনিয়ম, দুর্নীতির বিচার করবে সরকার। এ ক্ষেত্রে কোনভাবেই উনি পার পাবেন না। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার অভাবের অজুহাতে বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে যাননি খালেদা জিয়া। অথচ ভোট চাওয়ার নামে সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সংঘাতপূর্ণ করতে যখন মাঠে নেমেছেন তখন তাঁর কোন নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়নি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে জীবিত রেখেছে সাংবাদিকরা। তারা বলে, বিএনপি মাঠে আছে। অথচ মাঠে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের (৫ মে) এই দিনে সৃষ্টি হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের তা-ব। কী ধ্বংসযজ্ঞই না তারা করেছিল! অথচ মাত্র দুই বছরের মাথায় তাদের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তারা মূলত বিএনপি-জামায়াতের কাঁধে সওয়ার হয়ে জš§ নিয়েছিল। এরা পরগাছা। পরগাছারা বেশি দিন বাঁচে না। বিএনপির অবস্থাও একদিন এই পরগাছা হেফাজতের মতো হবে। বিএনপির উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, এ দলটি যে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছিল, তাতে দেশের সাধারণ মানুষ ও বিদেশীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে সিটি নির্বাচন অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। নির্বাচনের পর আবার সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথে ফিরে যায়নি বলে তিনি বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান। সংগঠনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নেই- মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ॥ জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছে। অথচ তারা এখনও পর্যন্ত জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। তাই জামায়াত এ দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখে না। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বাধীনতাযোদ্ধা অধিকার ফোরাম আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ আইনজীবী জিওফ্রে রবার্টসন মুক্তিযোদ্ধাদের ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। দেশে-বিদেশে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ব্রিটিশ আইনজীবী রবার্টসনের অবমাননাকর বক্তব্যটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। যেহেতু তিনি বিদেশী নাগরিক তাই তার বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে জটিলতা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, একজন বিদেশী নাগরিক কিভাবে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এসব কথা বলে, এতটা ধৃষ্টতা ও স্পর্ধা সে কোথায় পায়! দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাবিশ্বে কোন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়া হয়, যাবজ্জীবন নয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী ও ফোরামের মহাসচিব মোঃ জামাল উদ্দিন শিকদার।
×