ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটে প্রতিবছর ৪২৫ প্রসূতি মারা যায়

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৬ মে ২০১৫

সিলেটে প্রতিবছর ৪২৫ প্রসূতি মারা যায়

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সারাবিশ্বে প্রতিবছর ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রসূতি মা নানা কারণে সন্তান জন্মদানের সময় মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর লাখে এক হাজার ৯৪ মা জীবিত বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। সারাদেশে দক্ষ মিডওয়াইফ আছেন ১৮০ জন। কিন্তু দক্ষ মিডওয়াইফের প্রয়োজন ২০ হাজার। যে কারণে মা এবং শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি। সারাদেশের মধ্যে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার সিলেটে সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর সিলেটে ৪২৫ মা-শিশু মারা যায়। বাংলাদেশে শিশুর মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও মাতৃকালীন মৃত্যুর হার বেড়েছে। তবে ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভবপর হবে বলে বর্তমান সরকার আশাবাদী। মা ও শিশু মৃত্যু হার কমাতে পারলে দেশের উন্নয়ন সূচক বাড়বে। আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফারি দিবস উপলক্ষে সিলেট সদর উপজেলার খাদিম নগরে চারিমার হলরুমে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামের উদ্যোগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও এফআইভিডিবি’র সহযোগিতায় আলোচনা সভা, র‌্যালি, নাটক, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সিএমডিপির শাহিদা আক্তারের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমডিপি ও এফআইভিডিবির পরিচালক জাহিদ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট নার্সিং কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর রেনু আরা আক্তার, ডিপ্লোমা মিডওয়াইফ প্রোগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়কারী উসাং চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোবহান আলী, ফাইন্যান্স এ্যান্ড এ্যাডমিন কর্মকর্তা আশফাক হোসেন, কোর্স সমন্বয়কারী আজবাহার, ডাঃ ইশিতা, ফাতেমা-তু-জোহরা, মারুফা আক্তার, ক্লিনিক্যাল প্রিসেপটর সৈয়দা রওশন আরা পারভীন, হোস্টেল সুপার ফরিদা আক্তার প্রমুখ।
×