ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রাণ বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নীলফামারীতে ঝড়ে বিধ্বস্ত গ্রাম এখনও লণ্ড ভণ্ড

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৬ মে ২০১৫

নীলফামারীতে ঝড়ে বিধ্বস্ত গ্রাম এখনও লণ্ড ভণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত নীলফামারীর গোলনা ইউনিয়নের তালুক গোলনা গ্রামে ঘরবাড়ি এখনও বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে রয়েছে। মানুষজনের আহাজারি থামছে না। কেউ খোলা আকাশে নিচে কেউবা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম সার্বিকভাবে কাজ করছে। এদিকে সরকারী এবং ব্যক্তিগতভাবে দেয়া ত্রাণ বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কা-ের কারণে মঙ্গলবার সকালে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে পৃথক তালিকা করে ২৭৯টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি দ্রুত সরকারী ভাবে ঝড়ে গৃহনির্মাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে পারব। পাশাপাশি সংসদ সদস্য জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল হতে ২১৬ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে এক হাজার করে টাকা বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রদান করেছি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬টি পরিবার এ অর্থ না পাওয়ায় মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা হয়। এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস থেকে সরকারীভাবে যে ৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০৫ পিস কম্বল, চাদর ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব বিতরণেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর অভিযোগÑ চাল, কম্বল এবং চাদর ইউপি চেয়ারম্যান তার সমর্থক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করলেও ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেনি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অপর ৫৬ পরিবারকে সব ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান বঞ্চিত করছেন। মঙ্গলবার সকালে এলাকায় যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে। জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার মাসুদ সরকার জানান, ত্রাণ বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে। ফলে তারা নিজেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৭৯টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে এক কেজি করে চিড়া ও আড়াই শ’ গ্রাম করে গুড় বিতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। এসব কাজে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। যা বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে তা সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চার শ’ কেজি চিড়া, দু’শ’ কেজি মুড়ি ও একশত কেজি গুড় বিতরণ করেছেন বলে জানান।
×