ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চার হাজারের নিচে পুঁজিবাজারের সূচক

পতন ঠেকাতে কার্যত কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৫ মে ২০১৫

পতন ঠেকাতে কার্যত কোন উদ্যোগ নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের কোন উদ্যোগ নেই। উল্টো মন্দা বাজারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিচ্ছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারালেও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের কোন মাথা ব্যথা নেই। সব দায় যেন বাজারে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের। অথচ সরকার বাজার দেখভালের দায়িত্বে রেখেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের। একইসঙ্গে বাজারে আস্থা ফেরাতে উভয় পুঁজিবাজারকে ডিমিউচুয়ালাইজড করে দিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোও কার্যত বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাদের কাজ কিছুটা একটা গ-ির মধ্যে থেকে গেছে। সংস্থাগুলোও ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরে উচ্চঃস্বৈরে কথাও বলতে পারছে না। উভয় প্রতিষ্ঠানই একটি পাপেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একই পরিস্থিতিতে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমতে কমতে প্রতিদিনই নেমে যাচ্ছে সর্বনিম্ন অবস্থানে। সোমবার বড় দরপতনে ডিএসইএক্স নেমে গেছে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে। ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই এক্স কমেছে ৮৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় ৭১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিএসইএক্স সূচক ৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে; যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর এই সূচকের অবস্থান ছিল ৩ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সোমবারেও সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। এদিন ডিএসইতে ৩৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৮২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার। সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮, কমেছে ২১৮ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯ শেয়ার দর। ডিএসইএস বা শরীয়াহ্ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯৭৩ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, এসিআই ফরমূলেশনস, এসিআই লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, গ্রামীণফোন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। দিনটিতে ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজার চট্টগ্রামেও সব ধরনের সূচক কমেছে। সেখানেও দর কমার কারণে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। সারাদিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ২১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২০ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ১৫৪ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
×